শনিবার, ২৮ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

বরিশালে মাছের বাজারে আগুন

রাহাত খান, বরিশাল

বরিশালে মাছের বাজারে আগুন

নদ-নদীর অঞ্চল বরিশালে মাছের বাজারে আগুন লেগেছে। সব মাছের দামেই পড়েছে এ প্রভাব। বিশেষ করে প্রতিদিন লাফিয়ে বাড়ছে মাছের রাজা ইলিশের দাম। সব শেষ গতকালের বাজারেও আগের দিনের চেয়ে বিভিন্ন সাইজের ইলিশের দাম মণপ্রতি গড়ে ৩ থেকে ৬ হাজার টাকা বেড়েছে।

খোঁজ নিতে গিয়ে ধারণা পাওয়া গেছে, মাছ কিনতে গিয়ে মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছেন ক্রেতারা। রমজান থেকেই বরিশালে মাছের বাজার চড়া। রোজার শেষদিকে ঈদের সময় আরেক দফা বাড়ে ইলিশসহ অন্যান্য মাছের দাম। এরপর লাফিয়ে বাড়ছে ইলিশসহ সব ধরনের মাছের দাম। গতকাল বরিশালের পাইকারি বাজারে স্থানীয় নদীর বড় সাইজের ইলিশ বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৭৭ হাজার টাকা মণ দরে। এর প্রভাবে বেড়েছে অন্যান্য মাছের দামও। ইলিশের পাইকার আরিফুর রহমান জানান, বরিশালের বাজারে আগের দিনের চেয়ে গতকাল সব ধরনের ইলিশের দাম মণপ্রতি ৪ থেকে ৬ হাজার টাকা করে বেড়েছে। দেড় কেজি সাইজের প্রতি মণ ইলিশ গতকাল পাইকারি বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৭৭ হাজার টাকায়, যা আগের দিন ছিল ৭২ হাজার টাকা। গতকাল এক কেজি ২০০ গ্রাম সাইজের প্রতি মণ ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৭০ হাজার টাকা, এক কেজি সাইজের ইলিশ প্রতি মণ ৬৫ হাজার, রপ্তানিযোগ্য এলসি (৬০০ থেকে ৯০০ গ্রাম) সাইজ ৫২ হাজার, ভ্যালকা (৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম) ৪২ হাজার, গোটলা সাইজ ৩২ হাজার এবং জাটকা সাইজের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ২০ হাজার টাকা মণ দরে। এ ধরনের প্রতিটি সাইজের মাছ গত মঙ্গলবারের বাজারে বিক্রি হয়েছে ৩ থেকে ৬ হাজার টাকা কমে। এ ছাড়া মঙ্গলবার রাতে তরকারিতে ব্যবহারযোগ্য দেশীয় চিংড়ি মাছ কেজিপ্রতি ১ হাজার টাকা, ছোট (গুঁড়া) চিংড়ি ৮০০ টাকা, মধ্যম সাইজের বেলে মাছ ১ হাজার, বড় সাইজের বেলে ১ হাজার ২০০ টাকা, পোয়া মাছ ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা, রামছোছ (তপসে) মাছ ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। দেশীয় রুই, কাতল, তেলাপিয়াসহ সব ধরনের মাছের বাজারে এ আগুন লেগেছে। জেলা মৎস্য আড়তদার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য নাসির উদ্দিন বলেন, ইলিশের দাম বেশি, যার প্রভাব পড়েছে অন্যান্য মাছে।

আড়তদার ফরিদ উদ্দিন বলেন, বর্ষা ও ঝড়-ঝঞ্চা হলে মাছের আহরণ বাড়ে। এবার বর্ষা বিলম্ব হওয়ায় মাছের আহরণ কম। নিষেধাজ্ঞার কারণে সামুদ্রিক মাছও আসছে না। এ কারণে সব ধরনের মাছের দাম বেশি।

এ ব্যাপারে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, সমুদ্রে মাছ শিকারে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলছে। চাষের মাছও আহরিত হয়ে গেছে। নদীতেও মাছ পাওয়া যাচ্ছে কম। এ কারণে মাছের দাম চড়া। জুনের শেষদিকে অভ্যন্তরীণ নদীতে আশানুরূপ মাছ পাওয়া যাবে। নিষেধাজ্ঞা শেষে সামুদ্রিক মাছের সরবরাহও বাড়বে। তখন সব ধরনের মাছের দাম কমবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর