শনিবার, ১৮ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

চট্টগ্রাম কারাগারের নতুন বন্দিদের নিয়ে ভয়ংকর প্রতারণা

সতর্ক থাকার অনুরোধ কারা কর্তৃপক্ষের

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

একটি পারিবারিক মামলায় গ্রেফতার হয়ে কয়েকদিন আগে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আসেন আবদুল হালিম (ছদ্মনাম)। এরই মধ্যে তার পরিবারের কাছে কারাগারের একজন পদস্থ কর্মকর্তা পরিচয়ে ফোন দেন এক প্রতারক। বলা হয় হালিম মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাকে দ্রুত চিকিৎসা করাতে ১০ হাজার টাকা বিকাশ করার। টাকা পাঠানোর পর তারা বুঝতে পারেন প্রতারণার শিকার হয়েছেন। শুধু হালিমের পরিবার নন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আসা নতুন বন্দিদের কেউ কেউ অভিনব প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। এ প্রতারক চক্রগুলো থেকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার দেওয়ান মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘কারাগারে আসা নতুন বন্দিদের পরিবারকে ফোন করে চিকিৎসা এবং নানা কথা বলে প্রতারণার অভিযোগ শুনেছি। কারাগারের বাইরে থেকে এ ধরনের প্রতারণা হয় বলে আমাদের কিছু করার সুযোগ নেই। বন্দিদের পরিবারের প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে প্রতারকদের ফাঁদে পা না দেওয়ার।’

জানা যায়, কারাগারে আসা নতুন বন্দিদের সঙ্গে প্রতারণার নেপথ্যে রয়েছে পুরনো ও দাগী বন্দিরা। প্রতারক চক্রের সদস্যরা কারাগারে আসা সামর্থ্যবান বন্দিদের টার্গেট করে। অতপর কৌশলে পরিবারের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে। মোবাইল নম্বর নেওয়ার পর তা  প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের কাছে সরবারহ করে। বাইরে থাকা প্রতারক চক্রের সদস্যরা নতুন বন্দির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে চিকিৎসা, ওষুধ, ভালো সিটের কথা বলে ৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা দাবি করে।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে নতুন বন্দি কারাগারে মারামারি করার কারণে বন্দির বিরুদ্ধে মামলা হবে এ হুমকি দিয়ে টাকা দাবি করা হয়।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের এক ডেপুটি জেলার বলেন, প্রতারক চক্রের সদস্যরা অভিনব পদ্ধতি অনুসরণ করে। যে মোবাইল নম্বর দিয়ে নতুন বন্দিদের পরিবারকে ফোন করা হয় তা ‘ট্রু কলারে’ জেলার বা ডেপুটি জেলার হিসেবে সেভ করা হয়। অতপর ওই নম্বর থেকে ফোন দিলে নম্বরটি প্রতারকদের সেভ করা নামটি প্রদর্শন করে। ফলে প্রতারকদের ফোনে বিশ্বাস করে চাহিদা মতো টাকা দিয়ে দেয়। তারা বন্দি কারাগারে আসার চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যেই প্রতারণা করে। টাকার পরিমাণও থাকে ৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর