মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
রসিক নির্বাচনে হলফনামা

মোস্তফা ঋণী, ডালিয়ার টাকা বেশি, শফিয়ার সবচেয়ে ধনী

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে জাপার মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার ব্যাংকে ঋণ রয়েছে। তার কোনো কৃষি জমি নেই। তার বাৎসরিক আয়ের কোনো পরিসংখ্যানও উল্লেখ নেই। আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাড. হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়ার নগদ টাকা সব থেকে বেশি। জাসদ প্রার্থী শফিয়ার রহমান নগদ, সেভিংস ও জমিজমা মিলিয়ে সব থেকে ধনী। নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা প্রার্থীদের হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, মোস্তফার নগদ টাকা রয়েছে ৭ লাখ, স্ত্রীর রয়েছে ৯০ হাজার টাকা, ব্যাংকে জমা রয়েছে ১৬ লাখ ৭৭ হাজার ২৮৪ টাকা, ব্যাংকে স্ত্রীর রয়েছে ২ লাখ ২০ হাজার ৫০ টাকা, শেয়ার রয়েছে এক লাখ টাকার, ৭০ হাজার টাকা মূল্যের একটি  মোটরসাইকেল রয়েছে। স্বর্ণ ও মূল্যবান ধাতু রয়েছে ৫০ হাজার টাকার। স্ত্রীর রয়েছে ১৫ ভরি সোনা।  ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী রয়েছে ২ লাখ টাকার। আসবাবপত্র রয়েছে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকার। তবে তার ব্যাংকে ঋণ রয়েছে ১৫ লাখ টাকা। ২০১৭ সালের রসিক নির্বাচনে মোস্তফার বাৎসরিক আয় দেখানো হয়েছিল ৩ লাখ ৬৪ হাজার ২৭২ টাকা। এর মধ্যে বাড়ি ও দোকান ভাড়া থেকে ৭২ হাজার এবং ব্যবসা থেকে ২ লাখ ৯২ হাজার ২৭২ টাকা আয় দেখানো হয়েছিল। কিন্তু এবারের হলফনামায় বাৎসরিক আয়ের ঘরে কোনো পরিসংখ্যান দেওয়া হয়নি। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়ার নগদ টাকা রয়েছে ৪২ লাখ। কৃষি খাতে রয়েছে ৪২ হাজার টাকা, বাড়ি-অ্যাপার্টমেন্ট বাবদ রয়েছে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫০০ টাকা।  আইন পেশায় আয় রয়েছে ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা, সঞ্চয়পত্র রয়েছে ৯৫ হাজার ২০ টাকার। ব্যাংকে জমা রয়েছে ৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী রয়েছে ২ লাখ টাকার। আসবাবপত্র রয়েছে দেড় লাখ টাকার। কৃষি জমি রয়েছে ৩০ শতক। ৩ শতক জমিতে ৪ তলা বাড়ি রয়েছে। হলফনামা অনুযায়ী জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের শফিয়ার রহমান সবচেয়ে ধনী প্রার্থী। তার নগদ টাকা রয়েছে ৩৬ লাখ, জমি বিক্রি ও অন্যান্য বাবদ রয়েছে ৩৪ লাখ ২৯ হাজার ৯৩৪ টাকা। ব্যাংকে ১৫ লাখ ৯৩ হাজার টাকা, বন্ড ও সঞ্চয়পত্র রয়েছে ৭১ লাখ ১১ হাজার ১৭১ টাকার, পোস্টাল সেভিংস রয়েছে ৩৫ লাখ টাকা, কৃষি জমি রয়েছে ২৭ বিঘা। কৃষি খাতে আয়  রয়েছে ২ লাখ টাকা, শেয়ার ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকার, তার শিক্ষকতা ও চিকিৎসা পেশার আয় দেখানো হয়েছে ২ লাখ ২২ হাজার ৪৯২ টাকা। জাকের পার্টির খোরশেদ আলমের চাকরি বাবদ আয় দেখানো হয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। নগদ ১ হাজার টাকা, স্ত্রীর নামে ৩ হাজার টাকা। বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু রায়হানের ব্যবসায় রয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। নগদ ১ লাখ টাকা। ব্যাংকে ২ হাজার ১০০ টাকা রয়েছে। খেলাফত মজলিসের তৌহিদুর রহমান মন্ডলের কৃষি খাতে আয় রয়েছে ২ লাখ টাকা, অন্যান্য বাবদ ২ লাখ টাকা, নগদ ৯০ হাজার টাকা, ব্যাংকে ১ হাজার টাকা, কৃষি জমি রয়েছে ৩ একর। স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদি হাসান বনির ব্যবসা বাবদ রয়েছে আয় ৪ লাখ টাকা, নগদ ৫ লাখ টাকা, ব্যাংকে জমা ১২ লাখ টাকা, পোস্টাল সেভিংস রয়েছে ২০ লাখ টাকার। স্বর্ণ রয়েছে ১০ ভরি। অন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) লতিফুর রহমান মিলনের কৃষি খাতে আয় রয়েছে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা, ব্যবসায় ৪ লাখ টাকা, অন্যান্য সাড়ে ৪ লাখ টাকা, নগদ ২৫ লাখ ৯১ হাজার ৩৭৮ টাকা। ব্যাংকে জমা ৩ হাজার ৯০০ টাকা দেখানো হয়েছে। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী আমিরুজ্জামান পিয়ালের হলফনামা নির্বাচন অফিসের ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়নি।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা মোস্তফাকে লাঙ্গল, অ্যাড. হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়াকে নৌকা, লতিফুর রহমান মিলনকে হাতি, মেহেদী হাসান বনিকে হরিণ, আমিরুজ্জামান পিয়াল হাতপাখা, আবু রায়হান ডাব, তৌহিদুর রহমান মন্ডল দেওয়াল ঘড়ি, শফিয়ার রহমান মশাল ও খোরশেদ আলম গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। ২৭ ডিসেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর