শুদ্ধসংগীতের মায়াজালে অনন্য হয়ে উঠল ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনের মিলনায়তন। শাস্ত্রীয় সুরের মূর্ছনার ধ্রুপদি ইন্দ্রজালে তন্ত্রমুগ্ধের পিনপতন নীরবতায় মিলনায়তনজুড়ে ছিল শুদ্ধসংগীতের সমঝদারদের সুরে ডুবে থাকার মগ্নতা। পরিবেশনার পরতে পরতে শুদ্ধতার পরশে মুগ্ধতার চাদর বিছিয়ে দিয়েছিলেন শিল্পীরা। শুদ্ধসংগীত উৎসব, ১৪২৯-এর দুই দিনের প্রথম দিনের আসরে গতকাল এমন দৃশ্যই চিত্রিত ছিল ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনের মিলনায়তনে। পৌষের হিমস্নাত শীতের সন্ধ্যা ৬টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়েই শুরু হয় সংগীতজ্ঞ মিথুন দেকে উৎসর্গ করে এ সুরের আসর। এরপর মুলতানি রাগে দলীয় কণ্ঠে খেয়াল পরিবেশন করেন ছায়ানটের শিল্পীরা। এতে শিল্পীদের তবলায় সংগত করেন ইফ?তেখার আলম ডলার। আসরের দ্বিতীয় পরিবেশনায় রাগ পুরিয়ায় কণ্ঠে খেয়াল পরিবেশন করেন ঢাকার শিল্পী দীপ্তি সমদ্দার দীপু। শুদ্ধতার অনন্যতায় শিল্পীর পরিবেশনা মিলনায়তনে বইয়ে দেয় ধ্যানমগ্ন পরিবেশ। এ পর্বে শিল্পীকে তবলায় সংগত করেন প্রশান্ত ভৌমিক, হারমোনিয়ামে অভিজিৎ কুন্ডু ও তানপুরায় ছিলেন লায়েকা বশীর। এরপর সেতারে খেয়ালের দ্যুতি ছড়ান ঢাকার এবাদুল হক সৈকত। শিল্পীর সঙ্গে তবলায় ছিলেন সুরাজ নিরওয়ান ও তানপুরায় সংগত করেন এম ডি রিদওয়ান রহমান। অনুষ্ঠানে মারবা রাগে কণ্ঠে ধামার পরিবেশন করে মিলনায়তনে সুরের বৃষ্টি ঝরান সৌমিতা বোস। শিল্পীকে পাখোয়াজে সংগত করেন শুষেণ কুমার রায়।

ধ্রুব সরকারের হারমোনিয়ামের সঙ্গে তবলা লহরায় আসরে সুরের ধারা বইয়ে দেন কুমার প্রতিবিম্ব। প্রথম দিনের আসরের শেষ পরিবেশনায় মঞ্চে শুদ্ধতা নিয়ে আসেন পারমিতা মুমু। শুদ্ধ?কল্যাণ রাগে কণ্ঠে খেয়াল পরিবেশন করে ব্যাকরণগত সুরপিয়াসীদের স্নাত করে শুদ্ধতার মায়াজাল ছড়িয়ে দেন এই শিল্পী। শিল্পীর সঙ্গে তবলায় ছিলেন গৌতম সরকার ও হারমোনিয়ামে সংগত করেন বিজনচন্দ্র মিস্ত্রী।