মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন ভবনে গ্যাস বিস্ফোরণে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে তিনটি ভবনে বিস্ফোরণ হয়েছে। এসব ঘটনায় নিহত হয়েছেন তিনজন। আহত হন ১৫-২০ জন। বেশির ভাগ বিস্ফোরণই হয়েছে জমে থাকা গ্যাস ও গ্যাস লাইনের লিকেজ বা ত্রুটি থেকে।
জানা গেছে, ২৬ ফেব্রুয়ারি ফতুল্লার রামারবাগে একটি দোতলা ভবনের নিচতলায় বিস্ফোরণে পোশাক কারখানার শ্রমিক দম্পতি আল আমিন ও সুখী আক্তার দগ্ধ হয়ে মারা যান। বিস্ফোরণে ওই ফ্ল্যাটের ঘরের জানালা ও দেয়ালে ফাটল দেখা দেয়। আশপাশের কয়েকটি বাড়ির জানালা ভেঙে যায়। এরপর ১২ মার্চ ফতুল্লার মাসদাইরে খন্দকার ম্যানশনে ১০তলা ভবনের ছয় তলার ফ্ল্যাটের বিস্ফোরণে চারটি ফ্ল্যাটের জানালা-দরজা এমনকি লিফটের দরজা পর্যন্ত ভেঙে যায়। দগ্ধ হন আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ কুলসুম আক্তার ও তিন বছর বয়সী ছেলে খালিদ। ঘটনার দুই দিন পর দগ্ধ গৃহবধূ কুলসুম সন্তান প্রসব করেন। এ ছাড়া গত শনিবার শহরের নিতাইগঞ্জে শত বছরের পুরনো একটি দোতলা ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে আওলাদ হোসেন নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এ তিনটি বিস্ফোরণের বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক ফখরুদ্দীন জানান, ২৬ ফেব্রুয়ারি ও ১২ মার্চ দুটি ঘটনাই জমে থাকা গ্যাস থেকে ঘটেছে।
আর শহরের নিতাইগঞ্জে খাদ্য গুদামে বিস্ফোরণের ঘটনাটি আজ দেখব। সেখানে কি ঘটেছিল। ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আমরা ভবনে ঢুকতে পারিনি।