ব্যাংক কর্মকর্তা সরদার আবদুর রাজ্জাকের মরণোত্তর বেতন-ভাতাসহ সব পাওনা চেয়ে রূপালী ব্যাংকের বিরুদ্ধে রিট করেছেন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন সন্তান সরদার আসাদুজ্জামান। রিটের শুনানি নিয়ে রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে বিষয়টি নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্ট। গতকাল বিচারপতি মাহমুদুল হক ও বিচারপতি মাহমুদ হাসান (এম এইচ) তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. কাজল রশিদ বিশ্বাস, রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমী। রিটকারী অ্যাডভোকেট মো. কাজল রশিদ বিশ্বাস সাংবাদিকদের জানান, দুদকের মামলা হওয়ায় ২০০৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সরদার আবদুর রাজ্জাককে চাকরিচ্যুত করে রূপালী ব্যাংক। এরপর ২০১০ সালে তিনি আদালত থেকে মামলায় খালাস পান। খালাসের রায়ের পর পদে ফিরতে তিনি বারবার আবেদন করলেও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাতে সাড়া দেয়নি। চাকরিতে ফিরতে দীর্ঘদিন লড়াই করে ২০২১ সালে তিনি মারা যান। এরপর তার সন্তান সরদার আসাদুজ্জামান তার বাবার পাওনা চেয়ে ২০২২ সালে ব্যাংকের কাছে আবেদন করেন। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সেই আবেদনে সাড়া না দেওয়ায় চলতি বছর মার্চে রিট করেন তিনি। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন।
আইনজীবী জানান, আসাদুজ্জামানের বড় দুই বোন রয়েছেন। বোনদের বিয়ে হয়ে গেছে। আসাদুজ্জামান খুলনা সিটি কলেজে বিএ (পাস কোর্স) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা নিয়ে জীবনযাপন করছেন তিনি। তিনি একজন বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধী। আইনজীবী এ মামলাটি কোনো ফি ছাড়াই পরিচালনা করেছেন বলে জানান আসাদুজ্জামান।