জাপান থেকে মোংলা বন্দরে আমদানির পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ছাড় করে না নেওয়ায় অবশেষে নিলামে উঠছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১৪৭টি গাড়ি। মোংলা কাস্টমস হাউস রিকন্ডিশন এসব গাড়ি বিক্রির জন্য নিলামে তুলছে। ৫ জুন এ নিলাম প্রক্রিয়া শুরু হবে। প্রতি মাসে এ নিলাম প্রক্রিয়ার নিয়ম থাকলেও নানা জটিলতার কারণে এবার চার মাস পর এই নিলাম হচ্ছে বলে জানায় মোংলা কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ। মোংলা কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ জানায়, গত চার মাস মোংলা বন্দরে গাড়ির নিলাম বন্ধ ছিল। গত বছরের নভেম্বরে নিলামকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। সর্বশেষ কাস্টমসের নিয়োগকৃত নিলামকারী প্রতিষ্ঠান ছিল আল আমিন ট্রেডার্স। এরপর নিলামকারী প্রতিষ্ঠান খুঁজতে চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি দরপত্র আহ্বান করা হয়। এরপর আবার ২৮ মার্চ দরপত্র আহ্বান করা হলে ছয়টি প্রতিষ্ঠান কমিশন দাখিল করে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের কে এম করপোরেশন কোম্পানি নিয়োগ পায়। তারাই ৫ জুন মোংলা বন্দরে ১৪৭টি গাড়ি নিলামের জন্য উঠাবে। মোংলা কাস্টম হাউসের নিলাম শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা ছবি রাণী দত্ত জানান, মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানি করা এসব গাড়ি ৩০ দিনের মধ্যে ছাড় করানোর নিয়ম থাকলেও সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকরা তা করেনি। এরপর আমদানিকারকদের আরও ১০ কার্যদিবস সময় দেওয়ার পরও গাড়ি ছাড় না করায় নিয়মানুযায়ী পর্যায়ক্রমে নিলামে ওঠানো হচ্ছে এসব গাড়ি।১৭, ১৮. ১৯, ২০, ২১ ও ২০২২ সালের বিভিন্ন মডেলের গাড়ি রয়েছে। ৩১ মে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই নিলামের প্রস্তাবিত মূল্য গ্রহণ করা হবে।
মোংলা কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার মাহফুজুর রহমান জানান, মোংলা কাস্টমসের মোট রাজস্ব আয়ের শতকরা ৫২ শতাংশ আসে আমদানি করা গাড়ির শুল্ক থেকে। দীর্ঘদিন আমদানিকৃত গাড়ি বন্দরে পড়ে থাকলে অন্যান্য পণ্য রাখায় সমস্যা তৈরি হয়। নিলাম প্রক্রিয়া চালু রাখলে গাড়ি বা অন্যান্য পণ্য রাখতে ব্যবসায়ীদের সুবিধার পাশাপাশি সঠিক সময় সরকারের রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হবে।
এদিকে এ নিলাম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ রিকন্ডিশন ভেহিক্যালস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বারবিডা) সভাপতি হাবিবুল্লা ডন। তিনি জানান, বৈশি^ক মন্দার কারণে সরকারি সংস্থা ও ব্যাংকগুলো গাড়ি কেনা বন্ধ করে দিয়েছে। মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোও এখন গাড়ি কিনছে না। এর মধ্যে আমাদের আরেকটি বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে কাস্টমস নিলাম প্রক্রিয়া।