অক্টোবর মাসে ৪২৯ সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৩৭ জন নিহত, ৬৮১ জন আহত হয়েছেন। একই সময় রেলপথে ২৯টি দুর্ঘটনায় ৫৩ জন নিহত, ১৫৫ জন আহত হয়েছেন। নৌপথে ছয়টি দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত, আহত ২ এবং দুজন নিখোঁজ রয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌপথে মোট ৪৬৪টি দুর্ঘটনায় ৫০২ জন নিহত এবং ৮৩৮ জন আহত হয়েছেন। এ সময়ে ১৩১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৪৪ জন নিহত, ৭৬ জন আহত হয়েছেন। যা মোট দুর্ঘটনার ৩০.৫৩ শতাংশ; মোট নিহতের ৩৩.৫৬ শতাংশ ও আহতের ১৭.৭১ শতাংশ। গতকাল বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়, অক্টোবরে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে ঢাকা বিভাগে। ১৩৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪১ জন নিহত ও ১৩২ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে বরিশাল বিভাগে। ২৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত ও ৮৪ জন আহত হয়েছেন। যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর স্বাক্ষর করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে চারজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ১২০ জন চালক, ৩৬ জন পথচারী, ২৮ জন পরিবহন শ্রমিক, ৫২ জন শিক্ষার্থী, তিনজন শিক্ষক, ৬৮ জন নারী, ৩০ জন শিশু, দুজন সাংবাদিক, দুজন চিকিৎসক, একজন আইনজীবী, একজন প্রকৌশলী এবং ১০ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীর পরিচয় মিলেছে। এদের মধ্যে নিহত হয়েছেন- দুজন পুলিশ সদস্য, একজন ফায়ার সার্ভিস সদস্য, দুজন চিকিৎসক, দুজন সাংবাদিক, একজন আইনজীবী, একজন প্রকৌশলী, ৯৮ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ৩৬ জন পথচারী, ৪৭ জন নারী, ২৬ জন শিশু, ১৯ জন শিক্ষার্থী, ১১ জন পরিবহন শ্রমিক, তিনজন শিক্ষক ও ১০ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে কারণ ও প্রতিরোধে ১৪টি সুপারিশ দিয়েছে।