চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য খালাস না হওয়ায় ভোগ্যপণ্যের পাইকারি আড়ুত খাতুনগঞ্জ ও পাহাড়ুতলী বাজারে পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। গত চার দিনে এসব বাজারে পেঁয়াজ, আদা, রসুনসহ প্রায় সব ধরনের পণ্যের সরবরাহ ৮৫-৯০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে। আবার পরিবহন সংকটে পাইকারদের কাছে যেসব পণ্য আগে থেকে ছিল সেগুলোও বিক্রি হচ্ছে না। যেসব পাইকারের পণ্য শাটডাউনের আগে শেষ হয়েছে তারা নতুন করে তা সংগ্রুহ করতে পারছেন না। খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ ছগীর আহমদ বলেন, ‘খাতুনগঞ্জে যেখানে প্রতিদিন হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়, সেখানে গত তিন দিনে বেচাকেনাই বন্ধ। আবার বন্দর দিয়ে আমদানি পণ্য খালাস না হওয়ায় পণ্য আসছে না। যেসব পাইকারের কাছে পণ্য আছে পরিবহন সংকটে সেগুলোও বিক্রি হচ্ছে না।’ খাতুনগঞ্জের সৌমিক ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী জসিম উদ্দিন বলেন, ‘খুচরা দোকান, হোটেল রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকায় পণ্যের চাহিদা কমে গেছে। আবার পণ্যের সরবরাহও নেই। ফলে গত গত পাঁচ দিনে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের দাম চড়া। প্রতি কেজি রসুনে ২৫ এবং আদায় ৩৫-৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক না হলে এসব পণ্যের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে।’