বিশ্বজুড়ে আরও ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। এই ভাইরাসের দাপটে আবারও বিপর্যস্ত গোটা পৃথিবী। বিশ্বজুড়ে সংক্রমণ যখন বিদ্যুৎ গতিতে বাড়ছে তখন ব্রিটেন বেশ কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করেছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, তিনি আরও কার্যকর বিকল্প একটি টিকার জন্য বিজ্ঞানীদের কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
গত বছর ডিসেম্বরে প্রথম ব্রিটেনে আইন মেনে ছাড়পত্র পায় ফাইজারের কোভিড ভ্যাকসিন। এর পরে এক-এক করে মডার্না, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, জনসন অ্যান্ড জনসন-সহ একাধিক সংস্থার প্রতিষেধক হাজির হয়েছে বাজারে।
কিন্তু বহু ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, তা যথেষ্ট কার্যকর হচ্ছে না। বিশেষ করে কিছু ক্ষেত্রে নতুন মিউটেটেড স্ট্রেনের সামনে প্রায় অকেজো প্রতিপন্ন হচ্ছে প্রতিষেধক।
দক্ষিণ আফ্রিকা যেমন জানিয়েই দিয়েছে, তাদের স্ট্রেনে অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রতিষেধক কোনও কাজ দিচ্ছে না।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, লকডাউন থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসবে ব্রিটেন। এই ধাপে অতি-প্রয়োজনীয় নয়, এমন দোকান খুলে দেওয়া হচ্ছে। খোলা হয়েছে জিম, সেলুন, পাব, আউটডোর রেস্তরাঁ। চিড়িয়াখানাতেও যেতে পারবেন মানুষ। গত তিন মাস সরকারি নির্দেশে বন্ধ ছিল এসব।
জনসন বলেন, “আমি নিশ্চিত, সরকারের এই সিদ্ধান্তে ব্যবসায়ীরা অনেকটাই স্বস্তি পাবেন। সাধারণ মানুষও এত দিন ধরে ঘরবন্দি। এবার তারা এই সব জায়গায় যেতে পারবেন। তবে প্রত্যেকের কাছে অনুরোধ, নিজেদের দায়িত্ব ভুলবেন না।’
বিডি প্রতিদিন/কালাম