মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশার কারণে দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকার বীজতলা হুমকির মুখে পড়েছে। তবে রোদ উঠলেই এ সমস্যা কেটে যাবে বলে কৃষি বিভাগ বলছে।
গত ৪ দিনে ৬ দশমিক ২ থেকে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে তাপমাত্রা উঠানামা করছে। শীতে জনজীবন অচল হওয়ার পাশাপাশি বীজতলার ক্লোড ইনজুরির কবলে পড়েছে। শীতের কুয়াশায় বীজতলা হলুদ বর্ণ হয়ে পড়েছে। বোরো বীজতলায় ঠান্ডার কারণে চারাগুলো বড় হতে পারছে না। কৃষক সাধারণ ঠান্ডা থেকে বীজতলা রক্ষা করতে না পারলে বোরো রোপন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়বে কৃষক। শীতে বীজতলা ভালো রাখতে ইউনিয়ন পর্যায়ের ব্লক অনুযায়ী উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণসহ পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে বলে জানান কৃষি বিভাগ।
ইরি-বোরোর বীজতলাকে শৈতপ্রবাহের হাত থেকে রক্ষা করতে দিনাজপুরের বিভিন্ন উপজেলার কৃষকরা বেড তৈরির মাধ্যমে শুকনা বীজতলা তৈরীর প্রতি ঝুঁকছে। জমিতে বেড তৈরি করে তাতে জৈব সার প্রয়োগ করে ধানের বীজ ছিটিয়ে উপরে পাতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়।
এদিকে, তীব্র শীত ও ঘনকুয়াশায় হিলিতে বোরো ধানের বীজতলাগুলো কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়েছে। হলুদ ও লালচে বর্ণের রঙ ধরে গোড়ায় পচন ধরে বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।
চিরিরবন্দরের নশরতপুরের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, কয়েকদিন ধরে সকাল ও রাতে তীব্র কুয়াশা ও শীতের কারণে বীজতলার রং হলুদ হয়ে পড়েছে।
বিরলের কৃষক সফিকুল ইসলাম জানান, বীজতলা হলুদ বর্ণ হয়ে নষ্টের হাত থেকে রক্ষা করতে স্প্রে ব্যবহার করতে হচ্ছে।
চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান, শৈত্যপ্রবাহ চললে বোরো চাষের জন্য সদ্য বপণকৃত বীজতলার ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে রোদ উঠলেই এ সমস্যা কেটে যায়। বীজতলাকে রক্ষা করতে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হচ্ছে যাতে কুয়াশা আর শীতে নষ্ট না হয়।
এদিকে, দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক তোফাজ্জল হোসেন জানান, রবিবার ভোরে দিনাজপুরে তাপমাত্রা ৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হলেও সূর্যের দেখা মেলায় বেলা বাড়ার সাথে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার