বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দকে ফরিদপুর জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘোষণা করা হয়েছে। ৩০তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের মেধাবী এ কর্মকর্তা গত ১৪ অক্টোবর বোয়ালমারীতে যোগদান করেন। যোগদানের পরপরই তিনি সুধীজন ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে গ্রহণ করেন এক দীর্ঘ মেয়াদী কর্ম পরিকল্পনা।
এর অংশ হিসেবে শিক্ষকদের মাসিক সভায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করে তাদের কার্যক্রম ইনোভেশন ও শিক্ষা সহায়ক পরিবেশ তৈরির দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। উপজেলা রিসোর্স সেন্টারে বিভিন্ন সাব-ক্লাস্টারের আয়োজিত পরীক্ষা গ্রহণ, মূল্যায়ন ও বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সে শিক্ষা কর্মকর্তাদের পারদর্শিতা ও সক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত মনিটরিং করেন। এছাড়াও আকস্মিকভাবে স্কুল পরিদর্শন করে ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের উপস্থিতির হার পর্যবেক্ষণ করেন। আধুনিক শিক্ষা উপকরণ ব্যবহার করে যুগোপযোগী পাঠদানের পরামর্শ দেন।
জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বোয়ালমারী উপজেলায় প্রতি মাসের প্রথম শুক্রবার আয়োজন করেন ‘মিট দ্য ইউএনও’ প্রোগ্রাম। এর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সেরা শিক্ষার্থীরা ইউএনওর সাথে সাক্ষাৎ করে সরাসরি কথা বলার সুযোগ পায়।
ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের জন্য বোয়ালমারী উপজেলায় আয়োজন করা হয়েছে সুন্দর হাতের লেখা, ওয়ান ডে ওয়ান ওয়ার্ড ও সাবলীলভাবে পঠন দক্ষতা যাচাই প্রতিযোগিতা। আয়োজিত এ সকল প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণের ফলে শিক্ষার্থীদের মাঝে সৃজনশীল ও সুন্দর হাতের লেখা, শব্দ ও বাক্যের গঠন এবং ভাষা প্রয়োগের দক্ষতা বৃদ্ধি, পাঠ্যপুস্তক ব্যতীত সমশ্রেণীর অন্যান্য বই, ম্যাগাজিন ও পত্রিকায় লেখার অভ্যাস বৃদ্ধি পায়।
২০২০ সাল ও আসন্ন ‘মুজিব বর্ষ’কে সামনে রেখে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা, সকল প্রধান শিক্ষক, সর্বস্তরের জনপ্রতিনিধি,অভিভাবক, এসএমসি’র সভাপতি ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। সার্বিক কর্মকাণ্ড ও মূল্যায়নের উপর ভিত্তি করে সম্প্রতি জেলা পর্যায়ের প্রাথমিক শিক্ষা পদক কমিটি ঝোটন চন্দকে ফরিদপুর জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘোষণা করেছেন।
প্রসঙ্গত, তিনি ইতিপূর্বে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকাকালে সেখানকার প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে দুই বছরে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম