নাটোরের বাগাতিপাড়ার বিহারকোল এলাকায় বড়াল নদীর তীরে পড়ে থাকা অবস্থায় উদ্ধার সেই নবজাতকের দায়িত্ব নিলেন এক নিঃসন্তান দম্পতি। রবিবার বিকালে নবজাতককে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়ার পর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের কার্য-সহকারী বজলুর রশীদ ও গৃহিণী ফাহমিদা বেগম দম্পতি তাকে বাড়ি নিয়ে যান।
বজলুর রশীদ ওই গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে। তিনি জানান, পরিচয়হীন নবজাতককে তিনি লালন-পালনের দায়িত্ব নিয়েছেন। এখন থেকে নিজের সন্তানের পরিচয়েই বড় করবেন এই কন্যাকে।
তিনি আরও জানান, উদ্ধারের পর থেকে চিকিৎসাধীন নবজাতকটিকে কোলে তুলে মায়ের যত্নে রেখেছেন তার স্ত্রী ফাহমিদা। চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। ছাড়পত্রে নবজাতকের বাবার নামের স্থলে তার নাম (বজলুর রশীদ) লিখেছেন। এদিকে সেই দম্পতি নবজাতকের নাম রেখেছেন ‘নূরজাহান’।
এ ব্যাপারে বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আরেফিন জানান, প্রাথমিকভাবে নবজাতকটিকে নিউমনিয়া আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় তাকে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে সুস্থ থাকায় তাকে ছাড়পত্র দিয়ে নিঃসন্তান দম্পতির দায়িত্বে দেয়া হয়েছে।
বাগাতিপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন বলেন, শনিবার দুপুরে কান্নার শব্দ পেয়ে সদ্য নবজাতকটিকে দেখতে পেয়ে স্থানীয় যুবকরা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ বড়াল নদীর তীরে লেবু গাছের নিচ থেকে নবজাতকটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এরপর থেকে বেশ কিছু নিঃসন্তান দম্পতি তার লালন-পালনের দায়িত্ব নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত