কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযানে দুই র্যাব সদস্যের গুলিবিদ্ধের ঘটনায় আনোয়ার সাদেক (৪০) নামে এক রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত হয়েছেন।
নিহত ডাকাত সদস্য সাদেক দক্ষিণ লেদা এলাকার সফিউল্লার ছেলে ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক ডাকাত জাকিরের সহযোগী।
র্যাব-১৫ উপ-অধিনায়ক মেজর রবিউল ইসলাম সাংবাদিকদের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব জানায়, সোমবার বিকালে উপজেলার মোচনী রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প-২৬ সংলগ্ন বক্কর মেম্বারের রাস্তার পশ্চিমে এই ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ র্যাব সদস্যরা হলেন, কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর সিপিসি সদস্য সৈনিক ইমরান ও করপোরাল শাহাব উদ্দিন।
মাদক বেচাকেনার গোপন সংবাদে র্যাবের একটি দল সোমবার বিকালে অভিযানে গেলে র্যাবকে লক্ষ করে গুলি চালায় ডাকাতরা। এ সময় দুই র্যাব সদস্য গুলিবিদ্ধ হন। র্যাবও পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে আনোয়ার সাদেক নামে এক ডাকাত সদস্য নিহত হন।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে ইয়াবা, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
আহত র্যাব সদস্যদের প্রথমে টেকনাফ মেরিন সিটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখান থেকে তাদেরকে রামু সেনানিবাস হয়ে র্যাবের হেলিকপ্টার যোগে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয়।
টেকনাফ মেরিন সিটি হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফরহাদ সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘বিকাল ৫টার দিকে র্যাবের গাড়িতে করে গুলিবিদ্ধ দুই ব্যক্তিকে আনা হয়েছে। তাদের কোমরের পেছনে গুলির আঘাত রয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের কক্সবাজারে পাঠানো হয়েছে।’
র্যাব আরও জানিয়েছে, এর আগে গত শনিবার আনোয়ার সাদেক ও সনাইয়া নামে দুই ডাকাত স্থানীয় কমিউনিটি পুলিশ সদস্য শুক্কুরকে গুলিবর্ষণ করলে তিতনি দূরত্বের কারণে রক্ষা পান। পরদিন শিয়াইল্যা ঘোনা এলাকায় জুয়া খেলার আসরে হানা দিলে তারা মোচনি পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি করে। সর্বশেষ তারা সোমবার বিকালে র্যাব সদস্যদের সঙ্গে গোলাগুলিতে লিপ্ত হলে দুই র্যাব সদস্য আহত ও আনোয়ার সাদেক নিহত হন।
বিডি প্রতিদিন/কালাম