বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে জেএসসিতে পাসের হার ৯৭.০৫ ভাগ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৯শ’ ৪৮জন।
বরাবরের মতো এবারও বরিশাল বোর্ডে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা পাসের হারে এগিয়ে রয়েছে।
এবার বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের ১ হাজার ৭শ’ ১৪টি স্কুলের মধ্যে ৭৮৩ স্কুলের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। তবে এবার শতভাগ ফেল করা কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই বরিশালে।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে জেএসসি’র পরিসখ্যানগত ফল ঘোষণা করেন বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুণ কুমার গাইন। এ সময় বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক বাহারুল আলমসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, এবার বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের অধীন ১ হাজার ৭শ’ ১৪টি স্কুলে জেএসসি পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ১৭ হাজার ৪শ’জন। এদের মধ্যে ১ লাখ ১৩ হাজার ৯শ’ ৮৫জন বোর্ডের আওতাধীন ১৮১টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।
এর মধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ১০ হাজার ৬১৯ জন। পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬০ হাজার ৯৮জন ছাত্রী এবং ৫০ হাজার ৫শ’ ২১ জন ছাত্র।
মোট পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৯শ’ ৪৮জন। গত বছরের চেয়ে এবার জিপিএ-৫ বেড়েছে ৪২টি।
এবার পাসের হারেও মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে রযেছে। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে এবার অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ৪২জন শিক্ষার্থী বহিষ্কার হয়।
এবার বরিশাল বোর্ডের ৭৮৩টি স্কুলের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। এর মধ্যে বরিশাল জেলার ২১২টি, ভোলার ১৪৮টি, পটুয়াখালীতে ১৩২টি, পিরোজপুরে ১০৮টি, বরগুনায় ১০০টি এবং ঝালকাঠীতে ৮৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাসের গৌরব অর্জন করেছে। গত বছর বরিশাল বোর্ডে ৮২১টি স্কুলের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছিল।
গত বছরও বরিশাল বোর্ডে পাসের হার ছিল ৯৭.০৫ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৪ হাজার ৯শ’ ৬জন। গত বছর বরিশাল বোর্ডে ১ লাখ ১৪ হাজার ৮শ’ ৫৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছিল ১ লাখ ১১ হাজার ৪শ’ ৬৯জন।
এদিকে মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে বরিশালের ঐতিহ্যবাহী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে ফলাফলের শিট টাঙিয়ে দেওয়ার পর উল্লাসে ফেঁটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। এবার সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
কৃতি শিক্ষার্থীরা ফল পেয়ে আনন্দিত এবং উদ্বেলিত। তারা সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আগামী দিনে ভালো মানুষ হতে চান। এই কৃতিত্বের জন্য শিক্ষক এবং অভিভাবকদের অবদানের কথা উল্লেখ করেন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী মল্লিকা চক্রবর্তী, তৃনা দে, তাহিরা তালুকদার, ঐশি চক্রবর্তী ও জারিন তাসনিমসহ অন্যরা।
সন্তানদের কঠোর পরিশ্রম এবং শিক্ষকদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ভালো ফলাফল সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন অভিভাবকরা।
বিডি প্রতিদিন/কালাম