ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জনস্বাস্থ্য রক্ষায় নকল ভেজালবিরোধী ও সরকার নির্ধারিত মূল্যে ওষুধ বিক্রয়ে মঙ্গলবার র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করে কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতি। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জেলা শহরের সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন থেকে র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের সরোদ মঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। পরে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
জেলা কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি জহিরুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবু কাউসারের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. শাহ আলম। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও জেলা স্বাচিপের সভাপতি ডা. আবু সাঈদ। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি আহমেদ হোসেন, সহ-সভাপতি মোবারক আলী চৌধুরী, কসবা কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি আব্দুল খালেক ও জেলার জনপ্রিয় ফার্মেসীর স্বত্বাধিকারী কাঞ্চন পাল প্রমুখ। অনুষ্ঠানের জেলার বিভিন্ন উপজেলার কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সভায় জেলার কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির প্রায় ৪ শতাধিক লোক অংশগ্রহণ করেন।
এর আগে বক্তারা বলেন, ফার্মেসি ব্যবসা চিকিৎসা ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে থাকে। চিকিৎসকের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে ফার্মেসিতে পাঠান। ফার্মেসি যদি একটু ভুল করেন তাহলে রোগীকে সুস্থ করার সকল সম্ভব প্রচেষ্টা ও প্রয়াস শেষ হয়ে যাবে। তাই আপনারা সতর্কতার সাথে রোগীদের কাছে ওষুধ বিক্রি করবেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসকদের রোগীদের ব্যবস্থাপত্রে ফুড সাপ্লিমেন্ট লেখার জন্য বাধ্য করা হতো। আপনাদের সহযোগিতায় আমরা ফুড সাপ্লিমেন্ট লেখা বন্ধ করতে পেরেছি। শুক্রবারে জেলার বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে অনেক চিকিৎসক চর্চা করেন। তাদের তালিকা সংগ্রহ করে ডাক্তারি সকল বৈধ সনদ আছে কিনা তা যাচাই করার জন্য সিভিল সার্জনের নিকট অনুরোধ জানানো হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার