নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতলে প্রেগনেন্সি রিপোর্টকে কেন্দ্র করে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট আসাদুজ্জামানকে মারধর করেছে রোগীর স্বজনরা। এসময় আসবাবপত্র ভাঙচুর করে তারা।
মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালের ভেতরে এই ঘটনা ঘটে। পরে অন্যারা আসাদুজ্জামানকে উদ্ধার করে পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি করে। এদিকে খবর পেয়ে নেত্রকোনার মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
এই ঘটনায় হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক নার্সরা কর্মবিরতি শুরু করলে সিভিল সার্জন রোগীদের কথা বিবেচনা করে চিকিৎসা দেয়ার অনুরোধ জানালে পুনরায় চিকিৎসা সেবা শুরু করে আন্দোলনকারীরা।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সকালে চৈতি নামের এক গৃহবধূর প্রেগনেন্সি টেস্ট করা হয়েছিল। এতে নেগেটিভ আসে। তখন তার স্বামী জয় এ নিয়ে আসাদুজ্জামানের সাথে তর্কে জড়ান। পরবর্তীতে হাসপাতাল থেকে তারা চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পর অন্য রোগীকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার সময় হঠাৎ এসে হামলা চালায় জয়, তার মা আসমা ও মামুন। তারা আসাদুজ্জামনকে কিল ঘুসি মারতে মারতে শ্বাসরোধ করে ফেলার চেষ্টা করে। এসময় হাসপাতালের অন্যরা এগিয়ে এসে উদ্ধার করে। খবর পেয়ে মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাক্তার তাজুল ইসলাম জানান, এই ঘটনায় মামলা করা হয়েছে থানায়। আমরা পুলিশের কাছে নিরাপত্তার বিষয়টিও জানিয়েছি।
এদিকে মডেল থানার ওসি মো. তাজুল ইসলাম জানান, আমরা সাথে সাথে ফোর্স পাঠিয়েছি। অভিযান চলবে।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসী জানান, কোন আসামি ছাড় যাবে না। পুলিশ তৎপর রয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় তাদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল