নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পূর্বাচল উপশহর এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত যুবকের লাশের পরিচয় মিলেছে। তার নাম সোহেল মিয়া (৩৫)। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানার ঝগড়ারচর এলাকার আব্দুল লতিফ মিয়ার ছেলে।
এর আগে গত বুধবার দুপুরে পূর্বাচল উপশহরের সাত নম্বর সেক্টরের ২১৯ নম্বর রোডের ৪ নম্বর প্লটের সামনে ড্রেন থেকে ওই যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত সোহেল মিয়ার ভাই জামাল মিয়া বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সোহেলের শ্বশুড় বাড়ির আত্মীয় নবী হোসেন ও নবী হোসেনের বন্ধু আলামিনকে আসামি করা হয়।
মামলার পর নুরুন্নবী নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রূপগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত আতাউর রহমান।
মামলার বাদী জামাল মিয়া জানান, প্রায় পাঁচ বছর আগে তার ভাই সোহেল মিয়া রূপগঞ্জ উপজেলার রূপসী এলাকার শহিদুল্লাহর মেয়ে সাইদাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর মরিয়ম নামে তিন বছর বয়সের এক কন্যা সন্তান হয়। জীবিকার তাগিদে সাইদা বিদেশে আছেন। আর কন্যা সন্তানটি তার দাদার কাছে লালিত-পালিত হচ্ছে। সোহেল মিয়া নোয়াপাড়া এলাকার দায়েন মিয়ার বাড়িতে ভাড়া বসবাস করে স্থানীয় একটি কারখানায় চাকরি করছিলেন।
গত ২২ ডিসেম্বর সোহেল মিয়া নিখোঁজ হন। ২৩ ডিসেম্বর বাড়িতে না ফেরায় নিখোঁজের বিষয়টি পরিবারের লোকজন নিশ্চিত হন। এরপর গত ২৮ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে পূর্বাচল উপশহরের ৭ নম্বর সেক্টর এলাকা থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই খবরে পরিবারের লোকজন সেখানে গিয়ে লাশটি সোহেলের বলে শনাক্ত করেন। লাশের বাম হাতের কব্জি এবং আঙ্গুল কাটা ছিল, চোখ উপড়ানো ছিল।
সূত্র জানায়, বেশ কিছুদিন ধরে সোহেলের সঙ্গে পাওনা টাকা নিয়ে শ্বশুড়বাড়ি এলাকার নবী হোসেন এবং নবী হোসেনের বন্ধু আলামিনের বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জেরে আসামিরা সোহেল মিয়াকে হত্যা করে।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এএফএম শায়েদ বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে নুরুন্নবী নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত বাকিদের দ্রুত খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল