শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই, ২০১৭ আপডেট:

প্রয়োজনে ঘরে ঘরে মশারি বাঁধবেন, তাতে দোষ কী?

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
প্রয়োজনে ঘরে ঘরে মশারি বাঁধবেন, তাতে দোষ কী?

সত্যিই মাঝে-সাঝে কিছু কিছু অপ্রীতিকর, অপ্রত্যাশিত ঘটনা অনেক কিছু উল্টাপাল্টা করে দেয়। একেবারে বিনা কারণে গণতন্ত্র ও নাগরিক অধিকারের জন্য তেমন এক চরম নিন্দনীয় ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলক জেএসডি-প্রধান জননেতা আ স ম আবদুর রবের বাড়িতে। গণতান্ত্রিক দেশে রাজনীতি ও সভা-সমিতি করা প্রতিটি নাগরিকের জন্মগত অধিকার। আর নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের যখন তখন যেখানে সেখানে দেশের কল্যাণে আলোচনায় বসা সাংবিধানিক অধিকার এবং সেই অধিকার অক্ষুণ্ন রাখা যে কোনো নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারের অবশ্য পালনীয় দায়িত্ব। মনে হয় সেই দায়িত্ব থেকে সেদিন সরকার হয়তো অনেকটাই বিচ্যুত হয়েছে। ‘হয়তো’ বললাম এই কারণে যে সেদিনের সেই কর্মকাণ্ডে সরকারের আদৌ সমর্থন ছিল কিনা, এখনো আছে কিনা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বেশ কয়েকটি পত্রিকা এ ব্যাপারে যথার্থই লিখেছে যে, সেদিন জননেতা আ স ম আবদুর রবের বাড়িতে বেশ কয়েকটি নিবন্ধিত দলের নেতৃবৃন্দের বৈঠকে পুলিশের ন্যক্কারজনক বাধায় যদি সরকারের নৈতিক সমর্থন না থেকে থাকে তাহলে যারা এই চরম নিন্দনীয় কাজটি করেছেন তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হোক এবং যথাযথ শাস্তি দেওয়া হোক। যদি যথার্থই তা দেওয়া হয় তাহলে নিশ্চয়ই আমরা ভাবব বর্তমান সরকার স্বৈরাচারের পথে পা দেয়নি, গণতন্ত্রের পথেই আছে। মাঝেমধ্যে তাদের চলার পথে কোনো অপশক্তি এসে ভিড় জমালেও সত্যিকার রাজনীতির প্রবল বাতাসে সেসব শেষ পর্যন্ত খড়কুটোর মতো উড়ে যায় বা যাবে।

প্রায় দুই সপ্তাহ আগে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলক স্বাধীনতাযুদ্ধের অবিসংবাদিত নেতা জননেতা আ স ম আবদুর রব ফোন করেছিলেন, ‘কাদির, একটু বসতে চাই। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী, সংবিধানপ্রণেতা ড. কামাল হোসেনসহ অন্য আরও কিছু প্রবীণ দেশের এই গুমোট পরিস্থিতি নিয়ে বসতে চান। তুমি এলে ভালো হয়।’ আমার ডাকনাম বজ্র। হুজুর মওলানা ভাসানী ডাকতেন ‘কাদরী’ বলে, বঙ্গবন্ধু ‘আমার কাদের’, শেখ রেহানা বুক উজাড় করে ডাকে ‘কাদের ভাই’, বাবা-মার ‘বজ্র ’ এখন বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কণ্ঠে শোভা পায়। ‘বজ্র’ ডাক আমার খুবই প্রিয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রীর ‘বজ্র’ ডাকার রহস্য তার শ্বশুরের নাম আবদুল কাদের মিয়া। তাই তিনি কাদের নাম মুখে আনেন না। সাধারণত বজ্র নামেই সব সময় ডাকেন। তাতে আমি বেশ পুলকিত বোধ করি। মানুষ বড় হলে তার ছোট নাম প্রিয় হয়। আমারও তেমন হয়েছে। ইদানীং সব নতুনের কেতন উড়ছে, সবকিছু তাদের দখলে। তাই প্রবীণদের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি সম্মান করার চেষ্টা করি। জনাব আ স ম আবদুর রবও তার মধ্যে একজন। কোনো কিছু বললে খুব একটা না করি না। তাই ১৩ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মোহাম্মদপুরের বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলাম। রাস্তায় প্রচণ্ড জ্যাম ছিল। তবে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত গিয়েছিলাম ২৫-৩০ মিনিটে। কিন্তু সেখান থেকে প্রায় ৫০ মিনিট লেগেছিল নেতার বাড়ি যেতে। ঘরে ঢুকেই এক বিব্রতকর পরিবেশ। কী হয়েছে? ‘না তেমন কিছু না। তবে পুলিশ তাড়াতাড়ি আলোচনা শেষ করতে বলেছে।’ শুনে অবাক! বলে কী? আলোচনা শুরুই হয়নি। প্রবীণ নেতারা আসবেন। তাদের রেখে আলোচনা করা যায়? আনুষ্ঠানিক আলোচনার বাইরেও কথা বলা খুব একটা ভালো নয়। বিস্মিত হয়ে নানা কিছু ভাবছিলাম। চা-নাস্তা দেওয়া হচ্ছিল। ভাবী তানিয়া রব তদারক করছিলেন। প্রায় এক ঘণ্টা হয়েছিল। শুনলাম সাবেক রাষ্ট্রপতি রাস্তায়। ড. কামাল হোসেনের আসার সম্ভাবনা। কিন্তু রাস্তায় প্রচণ্ড জ্যাম। হঠাৎই দেখি এক বেঁটেখাটো পুলিশ বৈঠকখানায়। চমকে গিয়েছিলাম। সত্যিই আমি আমার জীবনে কখনো এ রকম অবস্থার সম্মুখীন হইনি। আক্রমণ করে মিটিং-মিছিল ভেঙে দিয়েছে, ঘর থেকে ধরে নিয়েছে। কিন্তু এভাবে একেবারে একটি নির্বিবাদী আলোচনায় অনুমতি ছাড়া বৈঠকখানায় পুলিশ কল্পনায়ও ছিল না। একটি পত্রিকা লিখেছে, মিলিটারি শাসনের সময় একবার ড. কামাল হোসেনের বৈঠকখানা থেকে ওইভাবে কাউকে কাউকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সে তো ছিল গ্রেফতার। কিন্তু আলোচনা করা যাবে না, বৈঠক শুরুর আগেই শেষ করতে হবে— এ তো হিটলার মুসোলিনিকেও হার মানায়। সব নাগরিক অধিকারের খেলাপ। কোনো সভ্য সমাজে এটা চিন্তাই করা যায় না। পুলিশি অপতৎপরতা বা নিন্দনীয় আচরণের প্রতিবাদে চলে এসেছিলাম। পরদিন টাঙ্গাইলে নির্ধারিত সভা ছিল। ভেবেছিলাম সেখানেও অমন করবে কিনা। কিন্তু কই, কতজনের সঙ্গে কত ঘরে-বাইরে আলোচনা করলাম কোনো পুলিশ দেখলাম না। তাহলে সেদিন অমন হলো কেন জনাব আ স ম আবদুর রবের বাসায়? কোনো উত্তর পাইনি। কেউ কেউ বলছেন, মাহমুদুর রহমান মান্নার জন্য হতে পারে। তা কেন হবে? তিনি কি কোনো গুপ্ত সংগঠন করেন, নাকি ফেরারি? ক্ষমতাবান অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছেন, এটা কোনো সরকারি সিদ্ধান্ত নয়। তাহলে যারা অমন করেছে তাদের কী হবে? কোনো বিচার-আচার হবে? দেশটা যে একেবারে জাহান্নামের দিকে চলে যেতে বসেছে সেদিকে কি কারও কোনো খেয়াল আছে? সরকার কি সত্যিই সবাইকে বৈরী করে খুব আনন্দ পায়? দেখা যাক কোথাকার পানি কোথায় গড়ায়। জনাব রবের আহূত ওই সভাকে বিএনপির সঙ্গে মিলেমিশে একটা কিছু করার প্রয়াস বলে অনেকের মনে হতে পারে, তবে তা সত্য নয়। আমি যত দূর জানি গোপনে গোপনে দু-এক জনের তেমন আশা থাকলেও প্রায় সবার ইচ্ছা একটি সুস্থ সমাজ ও সুন্দর রাজনীতির জন্য একটা নিরপেক্ষ প্রয়াস। কারও দালালি নয়। প্রকৃত দালালি যদি করতেই হয় তা হবে দেশের, দেশের জনগণের আর শুধুই দেশের অতন্দ্র প্রহরী হওয়ার প্রয়াস। বঙ্গবন্ধু নিহত হলে তার প্রতিবাদে যখন ভারতে ছিলাম সেটা ছিল জীবনের সবচেয়ে কষ্টকর দিন। বিবিসি শোনার জন্য একমাত্র ছোট্ট রেডিও সম্বল। ’৭৭ সালে ইন্দিরা গান্ধীর সরকারের পতন হলো জনতা সরকারের কাছে। বড় বেশি নির্যাতিত নিগৃহীত অবহেলিত হলাম। আশির দিকে ছোট বোন শুশুকে শান্তিনিকেতনে আর সম্ভব হলে নিজে পড়তে বর্ধমানে গিয়েছিলাম। তারও এক বছর পর ১২০০ টাকা দিয়ে ১৫-১৬ ইঞ্চির একটি সাদা-কালো টেলিভিশন কিনেছিলাম। অ্যান্টেনা অনেক উঁচুতে বাঁধলে মাঝে মাঝে বিটিভি ধরা পড়ত। সেখানে জনাব আনিসুল হকের উপস্থাপনা শুনতাম। বিদেশে থাকলে দেশের কাকপক্ষীর জন্যও মায়া লাগে। তা-ই লাগত। দেশে ফিরে আনিসুল হককে অনেক দেখেছি। আমরা একসময় অনেক কিছু ছিলাম। আমাদের হাত ছোঁয়ার জন্য অনেক সময় অনেক মানুষ দাঁড়িয়ে থাকত। বঙ্গবন্ধু নেই, প্রাণহীন দেহের কোনো মূল্য নেই। তাই হয়তো ইদানীং আমরা অনেকটাই অপাঙেক্তয়। জনাব হকেরা কোনো দিন পুলিশের লাঠি খাননি, রোদ-বৃষ্টিতে ভেজা-পোড়া হননি। জননেত্রীর কল্যাণে ঢাকা উত্তরের মেয়র হয়েছেন। জন্ম দিয়ে লালন-পালন করে সর্বস্ব দিয়েও শেষ পর্যন্ত অনেকে পিতা হতে পারেন না, কিন্তু তিনি নগর পিতা। সেদিন বলেছেন, ‘ঘরে ঘরে গিয়ে মশারি বেঁধে দিতে পারবেন না।’ ঘরে ঘরে ভোট চাইতে দোষ নেই, মশারি বাঁধতে যত দোষ। কত বড় কথা! আমরা রাজনীতি করে ফুলচন্দন দিয়ে জনতার পা ধুয়েও দোষী। অরাজনৈতিক লোকেরা গাড়ির চাকার কাদা ছিটিয়েও প্রিয়। এসবই বিধির লিখন। জনাব আনিসুল হকের অমন অরাজনৈতিক বক্তব্য আমাকে দারুণ মর্মাহত করেছে। এসব কথার নিন্দার ভাষা নেই। বড় মারাত্মক শব্দ ব্যবহার করেছেন বিনা ভোটে নির্বাচিত মেয়র জনাব আনিসুল হক। লোকটিকে আমি সারা জীবন গভীর মমতায় হৃদয়ে লালন করেছি। এ-কাজে ও-কাজে তিনি প্রায়ই সাহায্য করেছেন। আগে ধনবানেরা আমাদের সম্মান করে সহযোগিতা করতেন, এখন মোটেই তেমন করেন না। কারণ দেশে উপযুক্ত ধনবান নেই। যে কোনো স্থানে উপযুক্ত লোক না থাকলে যেমন হয় আমাদের সমাজে প্রায় সব ক্ষেত্রে তেমন হয়েছে। সমস্ত জীবন সমস্ত শক্তি ও অস্তিত্ব দিয়ে আনিসুল হকের এই বক্তব্যের নিন্দা জানাচ্ছি।

এবার মেজর কামরুল হাসানের কথা বলি। দিনপঞ্জির শেষ প্যারায়, ‘এই পরিস্থিতিতে মন্ত্রিপরিষদ জরুরি সিদ্ধান্ত নিল গ্রুপ ক্যাপ্টেন খন্দকার বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন। ঢাকায় পৌঁছার পর খন্দকার সাহেব দেখেন যে, তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চরম বিশৃঙ্খলা। এত লোকের সমাবেশে কিছুই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছিল না। শৃঙ্খলা তো দূরের কথা তার ওপর ছিল আত্মসমর্পণকারী পাকিস্তানিদের নিরাপত্তার প্রশ্ন। তাই ওই পরিস্থিতিতে যত দ্রুত সম্ভব দলিলে দস্তখত করে ওখান থেকে চলে যাওয়াই ছিল শ্রেয়।’ এখান থেকেই বোঝা যায় কার কত কৃতিত্ব বা কর্তৃত্ব ছিল। এ কে খন্দকার তার বইয়ে লিখেছেন, যখন তিনি হাফশার্ট গায়ে কলকাতা নিউমার্কেটে ঘুরছিলেন তখন সেখান থেকে তাকে ধরে এনে দমদম বিমানবন্দর দিয়ে আগরতলা পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে এতিমের মতো তিনি ঢাকায় এসেছিলেন এবং সেভাবেই কলকাতা ফিরেছিলেন।

একাত্তরের দিনপঞ্জির ২১২ পাতা থেকে ‘ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে, বিশেষ করে ৩ ডিসেম্বর ভারত তথা মিত্রবাহিনী প্রত্যক্ষ যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধক্ষেত্র অত্যন্ত দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছিল। আজ যেখানে যুদ্ধ হচ্ছে, কাল সেটা মুক্ত হয়ে নতুন আরেকটা ফ্রন্ট খুলে গেছে। যুদ্ধের পরিচালনা বিষয়াদির দায়িত্বে ছিলেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন খন্দকার। তার ওপর সদর দফতরের দায়িত্ব দিয়ে কর্নেল ওসমানী চলে যান শত্রুমুক্ত সিলেটে। ১৩/১৪ ডিসেম্বর কর্নেল ওসমানী সিলেটের উদ্দেশে যাত্রা করেন। তার পরিবহন ছিল বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার। ১৬ ডিসেম্বর সকালে যখন সংবাদ এলো যে, ওই দিনই বিকালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করবে সেই সময় অনেক চেষ্টা করেও মন্ত্রিসভায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।’

কামরুল হাসানের লেখামতো বিশৃঙ্খলা দেখে দলিলে স্বাক্ষর করে যত তাড়াতাড়ি সরে পড়া যায় সেটাই মঙ্গল তাই তারা করেছিলেন। আমি কিন্তু তা করতে পারিনি। কাদেরিয়া বাহিনীর ৪-সাড়ে ৪ হাজার এবং ভারতীয় বাহিনীর ২ হাজার যোদ্ধা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নিরাপত্তায় ছিল। এটা ঐতিহাসিক সত্য সেদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিন্দুমাত্র কোনো বিশৃঙ্খলা ঘটেনি।

তিনি নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধে এক রোজনামচা দিয়েছেন একাত্তরের দিনপঞ্জিতে। ভারতের মহামান্য রাষ্ট্রপতি শ্রী প্রণব মুখার্জি ডায়েরি লেখেন। কিন্তু তিনিও কাজের চাপে ওভাবে তারিখ দিয়ে প্রতিদিন লিখতে পারেন না। যুদ্ধের সময় শুধু খাবার নয়, কাগজেরও অভাব ছিল। তিনি কীভাবে অমন রোজনামচা লিখলেন? মনে হয় তার যেন কোনো কাজ ছিল না। রোজনামচা লেখাই ছিল প্রধান কাজ। স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর এভাবে লিখলে কীভাবে তাকে সাধুবাদ দেব। ’৭২-’৭৩-এ লিখতেন। তা না লিখে পাকাপোক্ত হয়ে এখন লিখেছেন। যখন তার লেখার কোনো সাক্ষী-সাবুদ পাওয়া যাবে না। আমি না থাকলে এসবের আলোচনাও হতো না।

নিজের এবং নিজের জায়গা নিয়ে কিছু আলোচনা করি। আমাদের যতই অবহেলা করা হোক কাদেরিয়া বাহিনীই একমাত্র মুক্তিবাহিনী যাদের হাত থেকে বঙ্গবন্ধু রাজধানীর বাইরে প্রথম অস্ত্র নিয়েছেন। সে ছিল ২৪ জানুয়ারি ’৭২। ৩১ জানুয়ারি ’৭২ পল্টনে শেখ ফজলুল হক মণি, জননেতা আবদুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদের মুজিববাহিনীর কাছ থেকে বঙ্গবন্ধু অস্ত্র নিয়েছিলেন। প্রশিক্ষণহীন ছাত্ররা যেভাবে অস্ত্র দিতে পারেন সেভাবেই দিয়েছিলেন। কারও গায়ে ছিল পাঞ্জাবি, কারও গায়ে হাফশার্ট তবু তারা দিয়েছিলেন। আমরা কাদেরিয়া বাহিনী সম্পূর্ণ সামরিক কায়দায় বঙ্গবন্ধুর পায়ের সামনে অস্ত্র বিছিয়ে দিয়েছিলাম।

এখন আওয়ামী নেতা এবং সরকারের কর্মকাণ্ড দেখে মনে হয় ওভাবে অস্ত্র দিয়ে মারাত্মক ভুল করেছিলাম। কয়েক বছর আগে প্যারিসের এক ছাত্র পিএইচডির উপকরণের জন্য মুক্তিযুদ্ধে কাদেরিয়া বাহিনী সম্পর্কে জানতে এসেছিল। বঙ্গবন্ধুর পায়ের কাছে অস্ত্র বিছিয়ে দেওয়া বা জমা দেওয়ার প্রসঙ্গ এলে প্রশ্ন করেছিল, ‘আপনার ওপর না হয় শেখ মুজিব বা বঙ্গবন্ধুর প্রভাব ছিল; কিন্তু আপনি যে আপনার দলের সব অস্ত্র এক দিনে দিয়ে দিলেন দলের লোকজন বা সদস্যরা কোনো আপত্তি তোলেনি?’ না, সেদিন কেউ কোনো আপত্তি তোলেনি। মনে হয় সেদিন আমার নির্দেশের বাইরে তারা মনে মনেও ভাবেনি। কিন্তু এখন হয়তো ভাবত। জানুয়ারিতে অস্ত্র দিয়ে দিলেও ’৭২-এর মে, জুন পর্যন্ত প্রশাসনের প্রায় সবকিছুই আমাদের করতে হতো। আমরা সানন্দে তা করতাম। ৩১ জানুয়ারি যেদিন পল্টন ময়দানে মুজিববাহিনী অস্ত্র জমা দেয় সেদিন বাতেনসহ আলমগীর খান মেনুর তিন-চারটি গাড়ি কাদেরিয়া বাহিনী আটক করেছিল। কারণ কাদেরিয়া বাহিনীর অনুমতি ছাড়া শহরে অস্ত্র নিয়ে চলাফেরার পথ ছিল না। ৭২টি অস্ত্রসহ এক শ কজনের তালিকা আমাকে যখন দেওয়া হয় আমি তখন তাদের সসম্মানে আগে-পিছে স্কট করে কালিয়াকৈর পর্যন্ত এগিয়ে দিতে বলেছিলাম। সেই বাহিনীর খন্দকার আবদুল বাতেন কোনো কমান্ডার ছিলেন না। মুজিববাহিনীর টাঙ্গাইল জেলা কমান্ডার ছিলেন আলমগীর খান মেনু, সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন খন্দকার আবদুল বাতেন। খন্দকার আবদুল বাতেনের কেউ কখনো কোনো যুদ্ধ করেনি বা করতে পারেনি। জুন মাসে কাদেরিয়া বাহিনীর কমান্ডার লাবিবুর রহমান এবং জাহাঙ্গীর তাদের হাতে লাউহাটি-কেদারপুরের মাঝামাঝি নিহত হলে তারা সেই যে পালিয়ে বেড়াতে শুরু করে স্বাধীনতার আগ পর্যন্ত সে পালানোর শেষ ছিল না। অথচ জনাব কামরুল হাসান তার একাত্তরের দিনপঞ্জির ১৪২ পৃষ্ঠায় লিখেছেন, ‘মে মাসের ৪ তারিখ খন্দকার বাতেনের দল সিঙ্গাইর থানা আক্রমণ করে। বাহিনীপ্রধান খন্দকার বাতেন তার হাতে চাইনিজ স্টেনগান দিয়ে গুলি ছুড়ে আক্রমণের সূচনা করে। দুই ঘণ্টা লড়াই হয়, তাতে বিপুল প্রাণহানি ঘটে। শত্রুরা মৃতদেহ ফেলে থানা ত্যাগ করলে বাতেনের হাতে বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ অস্ত্রশস্ত্র দখলে আসে। সিঙ্গাইর থানা দখলের পর ২টা স্যাবরজেট জঙ্গি বিমান বাতেন বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালায়। তখন সুবেদার আবদুল বারী বিমান দুটিকে গুলি করার জন্য কমান্ডারের অনুমতি চায়। খন্দকার বাতেন তাকে অনুমতি দিলে সুবেদার বারী ও নায়েক আজহার জে-থ্রি রাইফেল দিয়ে বিমান দুটিকে গুলি করে। জে-থ্রির গুলির মুখে অতি দ্রুত বিমান দুটি পালিয়ে যায়। সিঙ্গাইর থানা আক্রমণ করে সফলতা পাওয়ায় যোদ্ধাদের উৎসাহ-উদ্দীপনা ব্যাপক বেড়ে যায়।’ সেনাবাহিনীতে থাকা এমন একজন চৌকস লেখকের লেখায় ২টা স্যাবরজেটকে জি-থ্রি রাইফেল দিয়ে গুলি করে তাড়িয়ে দেওয়ার কথা মুক্তিযুদ্ধের এত দিন পর শুনলাম। সিঙ্গাইর, দৌলতপুর, ঘিওর আমাদের কাছাকাছি। একটু ভাটির মানিকগঞ্জের হরিরামপুর থেকে ঢাকা পর্যন্ত বিশাল এলাকা নিয়ন্ত্রণ করেছেন ক্যাপ্টেন হালিম চৌধুরী। লেখক একবারও তার নাম নেননি। ক্যাপ্টেন হালিম চৌধুরীর বাহিনীর তুলনায় বাতেনের কোনো বাহিনীই ছিল না। বাতেন যদি মুজিববাহিনীর উপ-আঞ্চলিক অধিনায়ক হয়, ৩১ জানুয়ারি ৭০-৮০ বা ১০০ জন ৭২টি অস্ত্র জমা দিয়ে থাকে তাহলে বাতেন বাহিনী কোথায়? আর এটা শতসিদ্ধ শতভাগ সত্য মুক্তিযুদ্ধের পর মেনু, বাতেন, শাজাহান সিরাজ এরা গণবাহিনী গঠন করে মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য এখনো তারা জননেত্রীর ছায়ায়— এটা কী করে সম্ভব ভেবে পাই না। পরের কথা না হয় ছেড়েই দিলাম ৪ মে বাতেন বাহিনী নামে কোনো বাহিনী ছিল না, যুদ্ধ তো দূরের কথা। ওই সময় অস্ত্রের জন্য খন্দকার আবদুল বাতেন আমার কাছে ধরনা দিয়েছেন। আমি তাকে কিছু অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করতে চেয়েছিলাম। লেখককে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি, খন্দকার বাতেন এখনো যদি কোনো চাইনিজ রাইফেল অথবা স্টেনগান লোকজনের সামনে চালিয়ে দেখাতে পারে লেখকের সব বক্তব্য মেনে নেব। মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে প্রথম দিকে কোনো চাইনিজ অস্ত্র ছিল না। তিনি চাইনিজ অস্ত্র পাবেন কী করে? আমরা শুরুর দিকে চাইনিজ রাইফেল দ্বিতীয় বেঙ্গলের সৈন্যদের কাছ থেকে পেয়েছিলাম। এরপর এপ্রিল, মে মাসে নানা দিক থেকে পালিয়ে আসা বেঙ্গল রেজিমেন্টের লোকজনের কাছে ৫-৬টা চাইনিজ এলএমজি, ১৫-২০টা রাইফেল, ৬-৭টা কারবাইন বা স্টেনগান পেয়েছিলাম। সে সময় বাতেনের দলের কোনো নামগন্ধ ছিল না। জার্মানির তৈরি ২-৪টা জি-থ্রি রাইফেল দেখেছি আগস্টের পরে। মে মাসে আমাদের সম্বল ছিল একনলা দোনলা বন্দুক, ২-৪টা রিভলবার, পিস্তল আর পুলিশের মার্ক থ্রি-ফোর রাইফেল। মেজর সাহেব কী বলছেন! একটা থানা দখলের পর সেখানে ২টা স্যাবরজেট আক্রমণ করার পরও প্রশিক্ষণহীন বাতেন বাহিনী টিকে ছিল— এটা ভাবা যায়? ছেলেবেলায় কত শুনেছি, গাঁজার নৌকা পাহাড় দিয়ে যায়। এ তো দেখছি তার চাইতেও মারাত্মক গাঁজা!

লেখক : রাজনীতিক।

এই বিভাগের আরও খবর
ইসলামের মহান খলিফা হজরত ওমর (রা.)
ইসলামের মহান খলিফা হজরত ওমর (রা.)
ব্যবসায় দুর্দিন
ব্যবসায় দুর্দিন
দেশবাসী কী চায়
দেশবাসী কী চায়
ব্ল্যাক ট্রায়াঙ্গেল ও মাদক বাস্তবতা
ব্ল্যাক ট্রায়াঙ্গেল ও মাদক বাস্তবতা
মানবকল্যাণে আহেদ আলী বিশ্বাস ট্রাস্ট
মানবকল্যাণে আহেদ আলী বিশ্বাস ট্রাস্ট
ভ্যাদা মাছের ক্যাদা খাওয়ার রাজনীতি
ভ্যাদা মাছের ক্যাদা খাওয়ার রাজনীতি
অজ্ঞাত লাশ বাড়ছে
অজ্ঞাত লাশ বাড়ছে
সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি
সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি
নিজের বিচারে নিজেই বিচারক ট্রাম্প
নিজের বিচারে নিজেই বিচারক ট্রাম্প
ধর্মীয় আলোচনায় শিষ্টাচার
ধর্মীয় আলোচনায় শিষ্টাচার
হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি চায় জাতি
হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি চায় জাতি
আমাদের বিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের সমস্যা!
আমাদের বিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের সমস্যা!
সর্বশেষ খবর
ঢাকা-১৭ আসনে প্রার্থী হবেন হিরো আলম
ঢাকা-১৭ আসনে প্রার্থী হবেন হিরো আলম

এই মাত্র | শোবিজ

আইসিসিতে নাকভির বিরুদ্ধে অভিযোগ করবে ভারত
আইসিসিতে নাকভির বিরুদ্ধে অভিযোগ করবে ভারত

৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

বিলাসবহুল বলরুম তৈরিতে ব্যস্ত ট্রাম্প, বিপাকে লাখো আমেরিকান
বিলাসবহুল বলরুম তৈরিতে ব্যস্ত ট্রাম্প, বিপাকে লাখো আমেরিকান

৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাংবাদিক মোদাব্বেরের কাছে দুঃখ প্রকাশ আব্দুস সালামের
সাংবাদিক মোদাব্বেরের কাছে দুঃখ প্রকাশ আব্দুস সালামের

১০ মিনিট আগে | নগর জীবন

নর্থ-সাউথে দুই দিনব্যাপী ফার্মা ফেস্ট শুরু বুধবার
নর্থ-সাউথে দুই দিনব্যাপী ফার্মা ফেস্ট শুরু বুধবার

১০ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু
ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু

১১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লিভারপুল ম্যাচের আগে রিয়াল শিবিরে ধাক্কা
লিভারপুল ম্যাচের আগে রিয়াল শিবিরে ধাক্কা

২০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

লালমনিরহাটে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
লালমনিরহাটে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

২০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণ গেল কৃষকের
বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণ গেল কৃষকের

২২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কেদারপুরে যুব সমাজের স্বেচ্ছাশ্রমে সড়ক মেরামত
কেদারপুরে যুব সমাজের স্বেচ্ছাশ্রমে সড়ক মেরামত

২৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফেডারেশন কাপ টেবিল টেনিসে নতুন চ্যাম্পিয়ন খৈ খৈ ও হৃদয়
ফেডারেশন কাপ টেবিল টেনিসে নতুন চ্যাম্পিয়ন খৈ খৈ ও হৃদয়

২৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

গোবিন্দার ‌‘পরকীয়া’ নিয়ে মুখ খুললেন তার স্ত্রী
গোবিন্দার ‌‘পরকীয়া’ নিয়ে মুখ খুললেন তার স্ত্রী

২৮ মিনিট আগে | শোবিজ

৪৫ দিন ঘুমাতে পারিনি, এখন সব সার্থক: মান্ধানা
৪৫ দিন ঘুমাতে পারিনি, এখন সব সার্থক: মান্ধানা

২৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

মনোনয়ন পেলেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শ্রাবণ
মনোনয়ন পেলেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শ্রাবণ

৩১ মিনিট আগে | জাতীয়

টঙ্গীতে বিএনপির বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা
টঙ্গীতে বিএনপির বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা

৩৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

'এদের হেলাফেলা করা যায় না, এরা স্মার্ট ও শক্তিশালী'
'এদের হেলাফেলা করা যায় না, এরা স্মার্ট ও শক্তিশালী'

৪০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকার আসনগুলোতে বিএনপির প্রার্থী হলেন যারা
ঢাকার আসনগুলোতে বিএনপির প্রার্থী হলেন যারা

৪৯ মিনিট আগে | রাজনীতি

নারায়ণগঞ্জে চারটি আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন যারা
নারায়ণগঞ্জে চারটি আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন যারা

৪৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

জামায়াত আমিরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শফিকুল ইসলাম
জামায়াত আমিরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শফিকুল ইসলাম

৪৯ মিনিট আগে | জাতীয়

সিরাজগঞ্জে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন যারা
সিরাজগঞ্জে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন যারা

৪৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

টাঙ্গাইলে গ্রামীণ রাস্তায় জনদুর্ভোগ, স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও পাকাকরণ হয়নি
টাঙ্গাইলে গ্রামীণ রাস্তায় জনদুর্ভোগ, স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও পাকাকরণ হয়নি

৫০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হলে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে: মাসুদ সাঈদী
গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হলে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে: মাসুদ সাঈদী

৫৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দিনাজপুরে মাছ চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ
দিনাজপুরে মাছ চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাইবান্ধায় গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার
গাইবান্ধায় গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অতিরিক্ত কফি পানে কি স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়তে পারে?
অতিরিক্ত কফি পানে কি স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়তে পারে?

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

জুলাইশহীদ মাসুদ রানার মরদেহ উত্তোলনে পরিবারের আপত্তি, ফিরে গেলেন ম্যাজিস্ট্রেট
জুলাইশহীদ মাসুদ রানার মরদেহ উত্তোলনে পরিবারের আপত্তি, ফিরে গেলেন ম্যাজিস্ট্রেট

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন ফজলুর রহমান
কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন ফজলুর রহমান

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কি ঘটছে সুদানের নতুন রণক্ষেত্রে?
কি ঘটছে সুদানের নতুন রণক্ষেত্রে?

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বালুর বস্তার ওপর দাঁড়িয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ, দ্রুত সংস্কার চান স্থানীয়রা
বালুর বস্তার ওপর দাঁড়িয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ, দ্রুত সংস্কার চান স্থানীয়রা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নেত্রকোনা-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী সাবেক প্রতিমন্ত্রী বাবর
নেত্রকোনা-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী সাবেক প্রতিমন্ত্রী বাবর

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা
২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আসতে পারে ১০ শৈত্যপ্রবাহ
আসতে পারে ১০ শৈত্যপ্রবাহ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শীত নামবে কবে, জানাল আবহাওয়া অফিস
শীত নামবে কবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দলগুলোকে আলোচনা করে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছাতে বলল সরকার
দলগুলোকে আলোচনা করে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছাতে বলল সরকার

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এনসিপি নেতা নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে মামলা
এনসিপি নেতা নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে মামলা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বেনজীর-ইমরানসহ ১০৩ জনের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ
বেনজীর-ইমরানসহ ১০৩ জনের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চার সিনেমায় বক্স অফিসে দাপট রাশমিকার
চার সিনেমায় বক্স অফিসে দাপট রাশমিকার

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শিগগিরই আমাদের সারা বছরের একটা আমলনামা প্রকাশ করব : বিডা চেয়ারম্যান
শিগগিরই আমাদের সারা বছরের একটা আমলনামা প্রকাশ করব : বিডা চেয়ারম্যান

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

প্রাইজ বন্ডের ‘ড্র’ অনুষ্ঠিত, যেসব নম্বর পেল পুরস্কার
প্রাইজ বন্ডের ‘ড্র’ অনুষ্ঠিত, যেসব নম্বর পেল পুরস্কার

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জামায়াতের নির্বাচনী ক্যাম্পেইন ও ‘নোট অব ডিসেন্ট’ নিয়ে যা বললেন রুমিন ফারহানা
জামায়াতের নির্বাচনী ক্যাম্পেইন ও ‘নোট অব ডিসেন্ট’ নিয়ে যা বললেন রুমিন ফারহানা

৮ ঘণ্টা আগে | টক শো

ট্রাম্পের হুমকির কৌশলী জবাব নাইজেরিয়ার
ট্রাম্পের হুমকির কৌশলী জবাব নাইজেরিয়ার

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনে বগুড়া-৭, দিনাজপুর-৩ ও ফেনী-১ আসন থেকে লড়বেন খালেদা জিয়া
নির্বাচনে বগুড়া-৭, দিনাজপুর-৩ ও ফেনী-১ আসন থেকে লড়বেন খালেদা জিয়া

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পোশাকের কার্যাদেশ চলে যাচ্ছে অন্য দেশে
পোশাকের কার্যাদেশ চলে যাচ্ছে অন্য দেশে

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আগামী বছরেই পাকিস্তানের নৌবাহিনীতে দেখা যাবে চীনের সাবমেরিন
আগামী বছরেই পাকিস্তানের নৌবাহিনীতে দেখা যাবে চীনের সাবমেরিন

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার খরচ বাড়ছে
গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার খরচ বাড়ছে

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মেট্রোরেলের নকশায় ভুল থাকতে পারে : ডিএমটিসিএল পরিচালক
মেট্রোরেলের নকশায় ভুল থাকতে পারে : ডিএমটিসিএল পরিচালক

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দক্ষিণ আফ্রিকার স্বপ্ন ভেঙে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
দক্ষিণ আফ্রিকার স্বপ্ন ভেঙে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিসিবির পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেলেন রুবাবা
বিসিবির পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেলেন রুবাবা

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আমাদের যথেষ্ট পারমাণবিক অস্ত্র আছে, পৃথিবীকে ১৫০ বার উড়িয়ে দেওয়া যাবে: ট্রাম্প
আমাদের যথেষ্ট পারমাণবিক অস্ত্র আছে, পৃথিবীকে ১৫০ বার উড়িয়ে দেওয়া যাবে: ট্রাম্প

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপিকে আলোচনায় বসতে জামায়াতের আহ্বান
বিএনপিকে আলোচনায় বসতে জামায়াতের আহ্বান

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বঙ্গোপসাগরে নতুন লঘুচাপ, বাড়তে পারে বৃষ্টির প্রবণতা
বঙ্গোপসাগরে নতুন লঘুচাপ, বাড়তে পারে বৃষ্টির প্রবণতা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জেলেদের সঙ্গে মাছ ধরছেন রাহুল গান্ধী, ভিডিও ভাইরাল
জেলেদের সঙ্গে মাছ ধরছেন রাহুল গান্ধী, ভিডিও ভাইরাল

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পা পিছলে ট্রেনের নিচে ব্যক্তি, তবুও বেঁচে গেলেন
পা পিছলে ট্রেনের নিচে ব্যক্তি, তবুও বেঁচে গেলেন

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রং সাইড দিয়ে আসা ট্রাকের ধাক্কায় ছিন্নভিন্ন বাস, নিহত বেড়ে ১৯
রং সাইড দিয়ে আসা ট্রাকের ধাক্কায় ছিন্নভিন্ন বাস, নিহত বেড়ে ১৯

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪ দফতরে নতুন সচিব নিয়োগ দিল সরকার
৪ দফতরে নতুন সচিব নিয়োগ দিল সরকার

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন চলছে
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন চলছে

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সংকটময় মুহূর্তে দেশ, কোনদিকে যাবে তা নির্ভর করছে নির্বাচনের ওপর : সিইসি
সংকটময় মুহূর্তে দেশ, কোনদিকে যাবে তা নির্ভর করছে নির্বাচনের ওপর : সিইসি

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে বোমা হামলা-গুলি বর্ষণ, শিক্ষক নিহত
খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে বোমা হামলা-গুলি বর্ষণ, শিক্ষক নিহত

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কখনোই তাইওয়ানের কিছু করবে না চীন, কারণ পরিণাম জানে: ট্রাম্প
কখনোই তাইওয়ানের কিছু করবে না চীন, কারণ পরিণাম জানে: ট্রাম্প

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিএনপির পাশে শক্ত অবস্থানে মিত্ররা
বিএনপির পাশে শক্ত অবস্থানে মিত্ররা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিপুল অর্থে ঝকঝকে স্টেশন, থামে না ট্রেন
বিপুল অর্থে ঝকঝকে স্টেশন, থামে না ট্রেন

পেছনের পৃষ্ঠা

ভ্যাদা মাছের ক্যাদা খাওয়ার রাজনীতি
ভ্যাদা মাছের ক্যাদা খাওয়ার রাজনীতি

সম্পাদকীয়

অন্য দেশে সরকার বদলের মার্কিন নীতি সমাপ্তি
অন্য দেশে সরকার বদলের মার্কিন নীতি সমাপ্তি

পেছনের পৃষ্ঠা

৩০০ আসনে লড়বে এনসিপি, প্রতীক শাপলা কলি
৩০০ আসনে লড়বে এনসিপি, প্রতীক শাপলা কলি

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

রাজাপুর-কাঁঠালিয়ায় বিএনপির মনোনয়ন চান সাতজন
রাজাপুর-কাঁঠালিয়ায় বিএনপির মনোনয়ন চান সাতজন

নগর জীবন

সাংবাদিকের সঙ্গে অপ্রীতিকর আচরণে  সালামের দুঃখ প্রকাশ
সাংবাদিকের সঙ্গে অপ্রীতিকর আচরণে সালামের দুঃখ প্রকাশ

নগর জীবন

প্রতারকদের প্রযুক্তিমুক্ত নেটওয়ার্ক
প্রতারকদের প্রযুক্তিমুক্ত নেটওয়ার্ক

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপিকে আলোচনায় বসার আহ্বান
বিএনপিকে আলোচনায় বসার আহ্বান

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রেমের টানে চীন থেকে নাসিরনগরে
প্রেমের টানে চীন থেকে নাসিরনগরে

পেছনের পৃষ্ঠা

গণভোট যেন গণপ্রতারণা না হয়
গণভোট যেন গণপ্রতারণা না হয়

প্রথম পৃষ্ঠা

যোগাযোগে শৃঙ্খলা না এলে অর্থনীতির গলায় ফাঁস
যোগাযোগে শৃঙ্খলা না এলে অর্থনীতির গলায় ফাঁস

প্রথম পৃষ্ঠা

চার পাশে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষায় গুপ্ত স্বৈরাচার ওত পেতে
চার পাশে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষায় গুপ্ত স্বৈরাচার ওত পেতে

প্রথম পৃষ্ঠা

আবারও জামায়াত আমির ডা. শফিকুর
আবারও জামায়াত আমির ডা. শফিকুর

প্রথম পৃষ্ঠা

পাহাড়ি জনপদে সরব সম্ভাব্য প্রার্থীরা
পাহাড়ি জনপদে সরব সম্ভাব্য প্রার্থীরা

নগর জীবন

বাসায় ঢুকে তরুণীকে ধর্ষণ
বাসায় ঢুকে তরুণীকে ধর্ষণ

দেশগ্রাম

রোনালদো পরিবারে অন্যরকম রাত
রোনালদো পরিবারে অন্যরকম রাত

মাঠে ময়দানে

গভীর রাতে আওয়ামী লীগের মিছিল
গভীর রাতে আওয়ামী লীগের মিছিল

দেশগ্রাম

মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে বাংলাদেশের শত্রুরা
মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে বাংলাদেশের শত্রুরা

প্রথম পৃষ্ঠা

মানবকল্যাণে আহেদ আলী বিশ্বাস ট্রাস্ট
মানবকল্যাণে আহেদ আলী বিশ্বাস ট্রাস্ট

সম্পাদকীয়

ভোট প্রস্তুতি প্রশাসনে
ভোট প্রস্তুতি প্রশাসনে

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএসএফের অনুপ্রবেশ, প্রতিরোধ স্থানীয়দের
বিএসএফের অনুপ্রবেশ, প্রতিরোধ স্থানীয়দের

খবর

দিল্লির নাম বদলে ইন্দ্রপ্রস্থ করার দাবি বিজেপির
দিল্লির নাম বদলে ইন্দ্রপ্রস্থ করার দাবি বিজেপির

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনের পর বিশ্ব ইজতেমা
নির্বাচনের পর বিশ্ব ইজতেমা

প্রথম পৃষ্ঠা

যুুক্তরাষ্ট্রে ঘড়ির কাঁটা পেছাল এক ঘণ্টা
যুুক্তরাষ্ট্রে ঘড়ির কাঁটা পেছাল এক ঘণ্টা

পেছনের পৃষ্ঠা

বারে ব্যবসায়ী খুনে স্বীকারোক্তি দুজনের
বারে ব্যবসায়ী খুনে স্বীকারোক্তি দুজনের

পেছনের পৃষ্ঠা

পুলিশে এখনো বঞ্চনার সুর
পুলিশে এখনো বঞ্চনার সুর

প্রথম পৃষ্ঠা

আদানিসহ অধিকাংশ বিদ্যুৎ চুক্তিতে ছিল অনিয়ম-দুর্নীতি
আদানিসহ অধিকাংশ বিদ্যুৎ চুক্তিতে ছিল অনিয়ম-দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

১২ কেজি এলপিজি  সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ২১৫ টাকা
১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ২১৫ টাকা

পেছনের পৃষ্ঠা