একটি ছবি সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ধু-ধু বালুমাঠে একটি রিকশাভ্যানের পাটাতনের ওপর তোশক বিছিয়ে নামাজ আদায় করছেন এক ব্যক্তি। সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি ও মাথায় নকশাদার টুপি পরিহিত কাঁচা-পাকা শ্মশ্রুমন্ডিত ভদ্রলোককে দেখে পরহেজগার মনে না করার কারণ নেই। সেই সঙ্গে এ ভাবনাও উদয় হবে যে, বোধকরি নামাজের সময় চলে যাচ্ছে বিধায় তিনি বালুমাঠের মধ্যেই তা আদায় করছেন। এমন ধার্মিক লোকদের সমীহ-সম্মান না করার কোনো কারণ থাকতে পারে না। তবে ভ্যানের ওপর তোশক বিছানো দেখে কারও কারও মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, ওই নির্জন এলাকায় এ তোশক এলো কোত্থেকে? ফলে নামাজ পড়ার এ দৃশ্যটি তাৎক্ষণিক ঘটনা, নাকি পূর্বপরিকল্পিত আয়োজন, এ সন্দেহ দেখা দেওয়া অসঙ্গত নয়। আমাদের একজন রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তিনি মাঝেমধ্যে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করতে গিয়ে বলতেন, ‘গত রাতে স্বপ্নে দেখলাম, আমি আপনাদের সঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করছি। তাই আজ চলে এলাম।’ অথচ এলাকাবাসী দুই দিন আগে থেকেই দেখছিল বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনের রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার তৎপরতা। সাবেক (বর্তমানে মরহুম) ওই রাষ্ট্রপতির ‘স্বপ্ন দেখে’ জুমার নামাজ আদায়ের জন্য ছুটে যাওয়া যে রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি ছিল সেটা বুঝতে কারও আর বাকি থাকেনি।
সৎ এবং ন্যায়নিষ্ঠ মানুষদের এ ধরনের স্ট্যান্টবাজির প্রয়োজন পড়ে না। তারা ইবাদত করেন আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য, মানুষকে দেখানোর জন্য নয়। ওপরে বর্ণিত ব্যক্তিটির ভ্যানের ওপর দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া যে শুধুই লোক দেখানো, তার প্রমাণ ওই দৃশ্যকে ফেসবুকে আপলোড করা। একজন নামাজি মানুষ ওয়াক্ত হয়ে গেলে বা পেরিয়ে যেতে থাকলে যে কোনো স্থানে নামাজ আদায় করতে পারেন। তবে যারা প্রকৃত ধার্মিক তারা সেটা প্রচারের জন্য ফেসবুকে ছবি দেন না।
এতক্ষণ ধরে যার কথা বলা হচ্ছিল, তিনি আর কেউ নন, সম্প্রতি ‘বিখ্যাত’ হয়ে ওঠা পিএসসির ড্রাইভার আবেদ আলী। অনেকে বলতে পারেন, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, রাজস্বের মতিউর এবং আরজিনা খাতুন, কাস্টমস কমিশনার এনামুল হক, তারা কি আবেদ আলীর কাছে পরাজিত? পরাজিত না হলেও আবেদ আলী তাদের টপকে গেছেন।
বেনজীর, মতিউর, আরজিনা, এনামুলরা রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন। প্রভাব-প্রতিপত্তি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাদের ‘পুকুর ডাকাতি’ অসম্ভব কিছু নয়। কিন্তু আবেদ আলী সামান্য একজন ড্রাইভার হয়ে যে জাদু দেখিয়েছেন, তাতে তাকে ‘সমীহ’ এবং তার কর্মদক্ষতার প্রশংসা না করে পারা যায় না। গাড়িচালক থেকে আপন দক্ষতায় পরিণত হন পিএসসির প্রশ্ন ফাঁসচক্রের মধ্যমণিতে। তিনি এতটাই দক্ষ ও করিৎকর্মা যে, গাড়ির স্টিয়ারিং ঘোরানোর সঙ্গে সঙ্গে পিএসসির স্টিয়ারিংও হাতে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন! অবশ্য এর আগেও আমরা আরেকজন শক্তিমান গাড়িচালকের সাক্ষাৎ পেয়েছিলাম। তিনি স্বাস্থ্যশিক্ষা ব্যুরোর গাড়িচালক আবদুল মালেক। তিনিও দুর্নীতির মাধ্যমে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। আর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কেরানি আবজালের দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়ার সংবাদ তো এখন কিংবদন্তি।
এতক্ষণ ধরে যাদের কথা বললাম, তারা ধরা খাওয়ার আগে কিন্তু আমাদের কাছে একেবারে পূতপবিত্র সাধু পুরুষ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন! তাদের চালচলন-কথাবার্তা, আচার-আচরণ দেখে কারও পক্ষেই বোঝা সম্ভব ছিল না- লোহাকাঠে ঘুণপোকার বাসা থাকতে পারে। এরা এক ধরনের বেগুনের মতো। চকচকে বেগুনি বা সবুজ রঙের ওইসব বেগুনের গায়ে কোনো স্পট বা ছিদ্র না থাকলেও কাটার পর দেখা যায় এক বা একাধিক ‘পোকাবাবু’ নিশ্চিন্তে ভিতরে বসে আছে। বাজার থেকে এ ধরনের বেগুন কিনে ধরা খাননি এমন কেউ নেই বলে মনে হয় না।
বর্তমানে আমাদের সমাজে ওই বেগুনসদৃশ মানুষের অভাব নেই। ‘ওপরে ফিটফাট, ভিতরে সদরঘাটের’ মতো তাদের বাইরের আবরণের অন্তরালে বিরাজ করে দুর্নীতি-অপকর্মের পোকায় কিলবিল করা একেকটি কদাকার মুখ। বেনজীর, মতিউর, আরজিনা, আবেদ আলীরা এর জলজ্যান্ত উদাহরণ। বাইরে তারা পরিচিত ছিলেন দায়িত্ববান কর্মকর্তা-কর্মচারী, নিরীহ ড্রাইভার এবং অতিশয় নীতিবাগিশ ও ধর্মাচারী হিসেবে। কিন্তু ভিতরে বাস করছিল অসৎ, ভ-, প্রতারক, অর্থলোভী-শকুন প্রকৃতি। বেনজীরের কথাই ধরুন। তার কথাবার্তা, ভাষণ-বিবৃতিতে কখনো কি বোঝার উপায় ছিল তলে তলে তিনি দুর্নীতি-অপকর্মের দৌড়ে অনেককে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছেন? তস্কর-দুর্বৃত্ত তথা অপরাধীদের দমন করার শপথ নিয়ে চাকরিতে যোগ দেওয়া বেনজীর এখন নিজেই মহাতস্করের নজির। রাজস্বের মতিউর নাকি তার বন্ধু-সুহৃদদের ধর্মের কথা, নীতিকথা শোনাতেন হরদম। কিন্তু তিনিও লোকচক্ষুর অন্তরালে কত অধর্মের কাজ করেছেন, এখন তা সবারই জানা। হিজাব-ঘোমটা পরিহিতা আরজিনা খাতুনকে দেখে কি বিশ্বাস করা যায়, তিনিও দুর্নীতির পচা ডোবায় সাঁতরে বেরিয়েছেন? মানুষের ধারণা ছিল, মহিলারা তুলনামূলকভাবে কম দুর্নীতিবাজ হন। কিন্তু আরজিনা সে ধারণা ভেঙে দিয়েছেন।
আসলে বাইরে থেকে মানুষকে পরিমাপ করা বড় কঠিন। সেই ষাটের দশকে প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী মোহাম্মদ আবদুল জব্বার গেয়েছিলেন, ‘মন রে... ভবের নাট্যশালায়/ মানুষ চেনা দায় রে, মানুষ চেনা দায়’। সত্যিই মানুষকে চেনা বড় কঠিন। মানুষের আবরণের ভিতরে অনেক সময় লুকিয়ে থাকে অমানুষ। এসব অসৎ, জোচ্চোর, ভ-, প্রতারক, লুটেরা, চরিত্রহীন, লম্পট ভালো মানুষের মুখোশ এঁটে বিচরণ করে আমাদের সামনে। আমরা তাদের বহিরাবরণ দেখে বিভ্রান্ত হই, প্রতারিত হই। আমরা তাদের সমীহ করি, সম্মান করি। যখন বাতাসে ধর্মের কল নড়ে ওঠে, বহিরাচ্ছাদনটি যখন উড়ে যায়, তখন বেরিয়ে আসে একটি কুৎসিত মুখ। আমরা তখন বিস্ময়ভরা কণ্ঠে শুধু বলতে থাকি- এর ভিতরে এই ছিল! ঠিক যেন সেই পোকা-বেগুন। আপনি যদি একটু চোখ-কান খোলা রাখেন, এসব ভ- প্রতারকের অস্তিত্ব লক্ষ্য করতে পারবেন। এরা তাদের অর্জিত পাপের কামাইকে জায়েজ করার লক্ষ্যে জন্য কখনো কখনো গড়ে তোলে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ব্রত হয় সমাজকর্মে। পবিত্র হজ পালন শেষে দেশে ফিরে নামের আগে ‘হাজি’ কিংবা ‘আলহাজ’ শব্দ বসিয়ে সমাজে কল্কে পাওয়ার চেষ্টা করে। বিভিন্ন সভা-সমিতিতে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি কিংবা সভাপতির আসন অলংকৃত করে। যখন তাদের আসল রূপটি বেরিয়ে পড়ে, আমরা জিভে কামড় দিয়ে বলি, একে দিয়েছি সম্মানের আসন! এরা ছদ্মবেশ ধারণে এতটাই পারদর্শী যে, মানুষ সহজে তাদের আসল রূপটি দেখতে পায় না। রাষ্ট্রীয় অর্থ লোপাট করে ব্যাংকে জনগণের আমানত খেয়ানত করে এরা কেউ সাজে সমাজসেবক, কেউ দানবীর, কেউ আবার বনে যায় জনপ্রতিনিধি। আর আমরা সাধারণ মানুষ তাদের পায়ে অর্ঘ্য দিই, সেলাম ঠুকি, যতক্ষণ না তাদের আসল চেহারা মোবারকের দর্শন পাই।
গত ১৫ বছরে এ ধরনের দুর্নীতিবাজ, ভ-, প্রতারক, রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাৎকারী লুটেরা বাংলাদেশকে গান্ডেপিন্ডে গিলে খেয়েছে। জনরোষে ক্ষমতাচ্যুত সরকার শেষদিকে এসে যদিও দু-চারজন দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হয়েছিল, তবে তা একেবারেই নগণ্য। লীগ সরকারের আমলটা দুর্নীতিবাজ-লুটেরাদের জন্য কেমন ভরা মৌসুম ছিল, তা বোঝা গেছে গদিচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন পিয়নের ৪০০ কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়ার খবরে। দেশটা যেন পরিণত হয়েছিল ভাগাড়ে পড়ে থাকা পশুর মৃতদেহে। চারদিক থেকে বুভুক্ষু শকুনেরা ওটাকে খাবলে খাবলে খেয়েছে। এই শকুনদের একজন ‘মাদক সম্রাট’ হিসেবে দেশজোড়া খ্যাতি অর্জন করেছেন। আত্মগ্লানির বিষয় হলো তাকেও আমাদের ‘মাননীয় সংসদ সদস্য’ বলে সম্বোধন করতে হয়েছে। আরেকজন শেয়ারবাজার লোপাটকারী তার বেশভূষার জন্য দেশবাসীর কাছে পরিচিত হয়েছেন ‘দরবেশ’ হিসেবে। সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি পরিহিত, মাথায় সাদা টুপি, শ্বেতশুভ্র শ্মশ্রুমন্ডিত বদন মোবারক মিলিয়ে সিনেমায় দেখানো দরবেশই বটে! কিন্তু তিনিও ছিলেন ওই চকচকে বেগুন। প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত তাকে আখ্যায়িত করেছিলেন ‘শুঁটকির হাটে বিড়াল চৌকিদার’ বলে। কিন্তু প্রচন্ড ক্ষমতাধর এবং সাবেক সরকার প্রধানের ‘একান্ত আপন’ ও আস্থাভাজন হিসেবে তিনি ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। গত ১৫ বছরে দেশে অনেক কিছুর অভাব থাকলেও এ ধরনের দরবেশ-আউলিয়ার অভাব ছিল না। ফাল্গুনের প্রথম বৃষ্টির পরে ফসলি জমিতে গজিয়ে ওঠা ঘাসের মতো এরা দেশটাকে ছেয়ে ফেলেছিল রাষ্ট্রীয় আশ্রয়-প্রশ্রয়ে। রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় এসব দুর্বৃত্ত ইউক্যালিপটাস গাছের মতো লকলকিয়ে বেড়ে উঠেছিল। তাদের মনে এ ধারণা জন্মেছিল যে, কেউ তাদের কেশাগ্রও স্পর্শ করতে পারবে না। কিন্তু প্রকৃতির প্রতিশোধ বড়ই নির্মম। কখন কোনদিক থেকে ঝোড়ো হাওয়া এসে ডালপালাসুদ্ধ মহিরুহকে মূলোৎপাটন করে ভূপাতিত করবে কেউ জানে না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ রব্বুল আলামিন বলেছেন, ‘তোমরা সীমা লঙ্ঘন কর না। সীমা লঙ্ঘনকারীকে আল্লাহ পছন্দ করেন না।’ প্রায় সব ক্ষেত্রেই এরা সীমা অতিক্রম করে গিয়েছিল। এখন সেসবের প্রায়শ্চিত্ত করার সময় এসেছে।
দেশের বিশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তী এ সরকার রাষ্ট্রের খোলনলচে পাল্টে দেবে দেশবাসীর ধারণা তেমনই। তাদের প্রত্যাশা, রাষ্ট্র সংস্কারের মাধ্যমে সব অনিয়ম-অনাচারের রাস্তা চিরতরে বন্ধ হবে। তবে পুরনো কারখানার মরচে পড়া মেশিনারিজ ওভারহোলিং করতে যেমন পর্যাপ্ত সময় লাগে, তেমনি দীর্ঘদিনের জমে থাকা দুর্নীতি-অনিয়মের মরিচায় নষ্ট হওয়া রাষ্ট্রযন্ত্রকে ঝকঝকে তকতকে করে তুলতেও সময়ের প্রয়োজন। সে সময়টা রাষ্ট্র মেরামতের কারিগর এ অন্তর্বর্তী সরকারকে দিতে হবে, যদি চার-ছয় বছর লাগে তাও। অবশ্য কোনো কোনো রাজনৈতিক দল মুখিয়ে আছে, কোন শুভক্ষণে রাষ্ট্রক্ষমতার সোনার চাবিটি হাতে নিয়ে মঞ্জিলে মাকসুদে প্রবেশ করবে। কিন্তু দেশবাসী এ মুহূর্তে সেটা চায় না। তারা চায় রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতির যে ঘুণপোকা বাসা বেঁধেছে, তার সমূল বিনাশ। তার আগে অন্য কারও হাতে রাজদন্ড দিলে অবস্থার কোনো উন্নতি হবে না। সমস্যা যে তিমিরে ছিল সে তিমিরেই থেকে যাবে, শুধু সম্রাট-দরবেশ-আউলিয়াদের চেহারাগুলো বদল হবে। এ বিষয়ে আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। শেখ হাসিনার পিয়ন হয়েছে ৪০০ কোটি টাকার মালিক। এমন অনেক পিয়ন-দারোয়ানের হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়ার নজিরও বিরল নয়।
দেশবাসী মনে করে, অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে সংস্কার করার যে উদ্যোগ নিয়েছে, তাতে অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত দুর্নীতি নির্মূল। রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গকে দুর্নীতিবাজ-দুর্বৃত্তমুক্ত করতে চিহ্নিত ব্যক্তিদের শুধু পদচ্যুত করলেই চলবে না, তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। বন্ধ করে দিতে হবে দুর্নীতির উৎসমুখ। আর তার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় এখন।
ছাত্র-গণ অভ্যুত্থানের ফসল অন্তর্বর্তী সরকার একসময় থাকবে না, আসবে রাজনৈতিক সরকার। তার আগে যদি দুর্নীতির বিষবৃক্ষের মূলোৎপাটন করা না যায়, তাহলে আবার জন্ম নেবে বেনজীর, মতিউর কিংবা আবেদ আলী, সম্রাট-দরবেশরা। কারণ ওরা মরে না, প্রতিকূল পরিবেশে সুপ্তাবস্থায় থাকে। মানুষের পুনর্জন্ম না হলেও ওদের হয়। কেননা ওরা যে মানুষ নয়, অমানুষ।
লেখক : সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক