শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫

সেনাবাহিনীকে নয়, অপরাধীকে দায়ী করুন

ড. মো. মিজানুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
সেনাবাহিনীকে নয়, অপরাধীকে দায়ী করুন

বাংলাদেশের সেনাবাহিনী কেবল একটি সামরিক সংগঠন নয়; এটি জাতির অস্তিত্ব, মর্যাদা ও আত্মপরিচয়ের প্রতীক। স্বাধীনতার রক্তাক্ত সংগ্রাম থেকে জন্ম নেওয়া এই বাহিনী আজ দেশের সার্বভৌমত্বের রক্ষাকবচ, জাতীয় ঐক্যের প্রতিচ্ছবি এবং বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের গর্বের পতাকা বহনকারী শক্তি। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে এক দল তরুণ মুক্তিকামী বাঙালি যখন অস্ত্র হাতে নিয়েছিল, তখন থেকেই সেনাবাহিনীর জন্ম হয়েছিল এক অনন্য আদর্শে- দেশপ্রেম, আত্মত্যাগ ও নৈতিকতার মিশ্রণে। তাদের এই মর্যাদা কেবল সামরিক দক্ষতা বা অস্ত্রশক্তির কারণে নয়; বরং তা এসেছে নৈতিকতার দৃঢ় মেরুদন্ড থেকে।

আজ পাঁচ দশক পরেও সেই চেতনা অম্লান। রাষ্ট্র যখন প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত, তখন প্রথম এগিয়ে আসে সেনাসদস্যরা। যখন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে  বাংলাদেশের পতাকা ওড়ে, তখনো এই বাহিনীরই বীর সন্তানরা বিশ্বে শান্তি স্থাপনে আত্মনিয়োগ করে। আর যখন দেশের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক অস্থিরতা বা প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা দেখা দেয়, তখন জনগণের আস্থা ফিরে আসে এই বাহিনীর দিকেই।  বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সামরিক বাহিনীর মধ্যে দুর্নীতি, দলবাজি, বা স্বজনপ্রীতির কারণে কত মহৎ প্রতিষ্ঠানও ধ্বংস হয়েছে- এমন উদাহরণ অজস্র। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য এই শিক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তারা শুধু একটি সামরিক বাহিনী নয়, বরং দেশের জনগণের সর্বোচ্চ আস্থার প্রতীক। এই আস্থা শুধু অস্ত্রের জোরে নয়; এটি জন্ম নিয়েছে শৃঙ্খলা, সততা ও নিঃস্বার্থ সেবার ঐতিহ্য থেকে।

তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সমাজ, রাজনীতি ও প্রযুক্তির পরিবর্তনে নতুন চ্যালেঞ্জও তৈরি হয়েছে। গুজব, বিভ্রান্তি, ব্যক্তিগত স্বার্থ বা অল্পসংখ্যক সদস্যের অনৈতিক কর্মকান্ড এগুলো যদি প্রশ্রয় পায়, তাহলে পুরো প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হতে পারে। তাই এখনই প্রয়োজন, সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে সেই মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে আরও দৃঢ়ভাবে পুনর্জাগরিত করা- যেখানে প্রত্যেক সদস্য বলবে, ‘অপরাধীকে দায়ী করুন, সেনাবাহিনীকে নয়’।

ইতিহাসে দেখা গেছে, যখন কোনো বাহিনী বা প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে নৈতিক দুর্বলতা প্রবেশ করে, তখন বাহ্যিক শক্তি যতই থাকুক না কেন, সেই প্রতিষ্ঠান ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সামরিক বাহিনীর মধ্যে দুর্নীতি, দলবাজি, বা স্বজনপ্রীতির কারণে কত মহৎ প্রতিষ্ঠানও ধ্বংস হয়েছে এমন উদাহরণ অজস্র। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য এই শিক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তারা শুধু একটি সামরিক বাহিনী নয়, বরং দেশের জনগণের সর্বোচ্চ আস্থার প্রতীক।

অন্যদিকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতা দেখায় যে যখন সামরিক বাহিনী জনগণের সঙ্গে সংযোগ হারায়, তখন সেই বাহিনী ধীরে ধীরে আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ে। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এখন পর্যন্ত সেই ভুল পথে যায়নি- তারা দুর্যোগে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে, দারিদ্র্যবিমোচন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে, অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করেছে। কিন্তু এই ধারাবাহিক ইতিবাচক কর্মকান্ডের মাঝেও কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা সামাজিক আস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সামনে তাই আজ দুটি কাজ সমানভাবে জরুরি, একদিকে জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসের বন্ধন আরও দৃঢ় করা, অন্যদিকে অভ্যন্তরীণভাবে শৃঙ্খলা ও নৈতিক মূল্যবোধের কঠোর অনুশীলন চালিয়ে যাওয়া। এই দুই দিক সমানভাবে শক্তিশালী থাকলে কোনো প্রোপাগান্ডা বা গুজবই তাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে পারবে না। কারণ জনগণের ভালোবাসাই সেনাবাহিনীর সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা। এই ভালোবাসা এক দিনে অর্জিত হয়নি- এটি এসেছে দীর্ঘ ত্যাগ, সততা ও নিঃস্বার্থ সেবার মাধ্যমে। এখন দায়িত্ব সেই আস্থাকে অটুট রাখা, যাতে ভবিষ্যতের প্রজন্মও একইভাবে গর্ব করে বলতে পারে- বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, তারা অপরাধকে না বলে, তারা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ায়।

সেনাবাহিনীর নিজস্ব বিচারব্যবস্থা, যা সামরিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ বা নিয়ম লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হয়। এ ছাড়াও বিভিন্ন অপরাধের শাস্তি জরিমানা, পদ হ্রাস, সাময়িক বহিষ্কার বা গুরুতর ক্ষেত্রে চূড়ান্ত বহিষ্কার বা কারাদন্ড পর্যন্ত হতে পারে। কোর্ট মার্শাল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে শৃঙ্খলা ও নিয়মনীতি বজায় রাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা। তবে নৈতিকতা কেবল শাস্তির ভয় দিয়ে টিকিয়ে রাখা যায় না। এটি গড়ে তুলতে হয় শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং উদাহরণের মাধ্যমে। এজন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে নেতৃত্ব, দায়িত্ববোধ, চরিত্র গঠন ও মানবিক মূল্যবোধের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়। একজন অফিসার বা সৈনিককে শেখানো হয়, ‘অস্ত্র তোমাকে শক্তি দেয়, কিন্তু নৈতিকতা তোমাকে সম্মান দেয়।’

এ কারণে সেনাবাহিনীতে নৈতিকতা কেবল ব্যক্তিগত মূল্যবোধ নয়; এটি প্রাতিষ্ঠানিক বেঁচে থাকার শর্ত। বাহিনীর সুনাম, কার্যকরতা, এমনকি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি- সবকিছুই এর সঙ্গে সম্পর্কিত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দীর্ঘকালীন সফলতা এসেছে এই নৈতিক সংস্কৃতি থেকেই। যেখানে অনেক দেশের সৈন্য দুর্নীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন বা অসদাচরণের অভিযোগে বিতর্কে জড়িয়েছে, সেখানে বাংলাদেশের সেনারা সব সময় পেশাদারত্ব ও সততার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

বিশ্বের ইতিহাসে দেখা গেছে, যেসব দেশে সেনাবাহিনী রাজনীতিতে অতিমাত্রায় জড়িয়ে পড়েছে, সেখানে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ও বাহিনীর ভাবমূর্তি- দুটিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাকিস্তান, মিয়ানমার কিংবা আফ্রিকার কিছু রাষ্ট্র এর উদাহরণ। সেখানে রাজনীতি সেনাবাহিনীর মধ্যে দলীয় বিভাজন এনেছে, আর সেনাবাহিনী রাজনীতির খেলায় জড়িয়ে পড়েছে নিজের অজান্তেই। ফলাফল প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলার অবক্ষয় ও জনগণের আস্থাহানি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন পর্যন্ত এই বিপজ্জনক পথ থেকে দূরে থেকেছে, যা একটি বড় সাফল্য।

আজকের যুগে রাজনীতি ও প্রশাসনের মধ্যে প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতা বেড়েছে। সেনাবাহিনীর অনেক অবসরপ্রাপ্ত সদস্য এখন বেসামরিক প্রশাসন, ব্যবসাবাণিজ্য বা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন, যা এক অর্থে স্বাভাবিক নাগরিক অধিকার, কিন্তু অপরদিকে এটি সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তিতে সূক্ষ্ম প্রভাব ফেলতে পারে। জনগণ প্রায়ই সক্রিয় বা অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্যদের বক্তব্য বা কর্মকান্ডকে বাহিনীর অফিসিয়াল অবস্থানের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলে। এই বিভ্রান্তি দূর করতে সেনাবাহিনীর উচিত আরও স্পষ্ট যোগাযোগনীতি গ্রহণ করা- যেখানে বাহিনীর প্রাতিষ্ঠানিক অবস্থান ও ব্যক্তিগত মতের মধ্যে পরিষ্কার পার্থক্য থাকবে।

এ ছাড়া দেশের রাজনীতিতে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা বা রাজনৈতিক গোষ্ঠীর প্রতি ঝুঁকে পড়া, যদি বাহিনীর কিছু সদস্যের মধ্যেও দেখা দেয়, তাহলে সেটি বাহিনীর পেশাদারত্বের জন্য মারাত্মক হুমকি। একইভাবে অর্থনৈতিক প্রভাব ও করপোরেট অংশগ্রহণের বিষয়টিও এখন আলোচনায় আসে। একজন পেশাদার সৈনিক রাজনীতির দিকে তাকান না; তিনি তাকান তার দায়িত্ব, কর্তব্য এবং জাতির সম্মানের দিকে। রাজনীতি ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু দেশপ্রেম ও পেশাদারত্ব স্থায়ী। এই নীতি অনুসরণ করেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসা কুড়িয়েছে- বিশেষ করে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে, যেখানে নিরপেক্ষতা ও নৈতিকতা হলো মূল মাপকাঠি।

রাজনীতি ও ক্ষমতার প্রলোভন প্রতিটি সমাজেই থাকে। কিন্তু যে বাহিনী এই প্রলোভনকে অগ্রাহ্য করে, সেই বাহিনীই টিকে থাকে ইতিহাসে সম্মানের সঙ্গে। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী আজ যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, তা এসেছে দীর্ঘদিনের আত্মনিয়ন্ত্রণ ও নৈতিক প্রশিক্ষণের ফল। এই অবস্থান অটুট রাখতে হলে বাহিনীর ভিতরে ‘রাজনীতির প্রতি নিরপেক্ষতা’কে একটি সাংস্কৃতিক নীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ শুধু দেশের সীমান্তরক্ষী নয়- তারা পৃথিবীর শান্তিরক্ষী। জাতিসংঘের নীল পতাকার নিচে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈন্যরা যে সম্মান অর্জন করেছেন, তা কেবল সামরিক সাফল্য নয়, এটি এক অনন্য মানবিক ইতিহাস। ১৯৮৮ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রথম অংশগ্রহণের পর থেকে আজ পর্যন্ত বাহিনীটি ৪০টিরও বেশি দেশে ৫৫টিরও বেশি শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করেছে। বর্তমানে প্রায় ৭ হাজার বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী বিভিন্ন দেশে কর্মরত, যার মধ্যে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্য ছাড়াও নারী শান্তিরক্ষীর সংখ্যাও দ্রুত বাড়ছে। ২০২৫ সালের শুরু পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় বিশ্বের শীর্ষ তিন অবদানকারী দেশের একটি, যা একদিকে জাতির জন্য গর্ব, অন্যদিকে সেনাবাহিনীর পেশাদারত্বের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর পেশাদারত্ব ও শৃঙ্খলা, মানবিক সংবেদনশীলতা এবং নৈতিক নিরপেক্ষ ভূমিকা- তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মানদন্ডে বিশেষভাবে প্রশংসিত। কিন্তু এই গৌরব অর্জনের পথ একেবারে সহজ ছিল না। নব্বইয়ের দশক থেকে আজ পর্যন্ত বহু বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী জীবন উৎসর্গ করেছেন। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত ১৮০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী কর্তব্যরত অবস্থায় প্রাণ দিয়েছেন। তারা রক্ত দিয়ে লিখেছেন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মর্যাদার ইতিহাস। এই আত্মত্যাগ শুধু সংখ্যায় পরিমাপযোগ্য নয়। শান্তিরক্ষীরা বিদেশে কর্মরত থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছেন, যা সরাসরি দেশের অর্থনীতিতে অবদান রেখেছে। জাতিসংঘের মহাসচিব একাধিকবার বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন, বিশেষত নারী শান্তিরক্ষীদের ভূমিকার জন্য। ২০২৩ সালে জাতিসংঘের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ নারী শান্তিরক্ষায় বৈশ্বিক নেতৃত্বের উদাহরণ।’

এককথায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ যে মর্যাদা ও বিশ্বাসের অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে, তার মূল কারণ তাদের অভ্যন্তরীণ নৈতিকতা ও শৃঙ্খলা। অপরাধ ও দুর্নীতিকে ‘না’ বলা কেবল একটি স্লোগান নয়- এটি সেনাবাহিনীর আত্মপরিচয়ের অংশ। এই চেতনাই বাহিনীকে অনন্য করে তুলেছে দেশের ভিতরে এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতীয় নিরাপত্তা ও নৈতিকতা, ভাবমূর্তির আন্তর্জাতিক প্রতিফলন, বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ এবং প্রযুক্তি ও তথ্যযুদ্ধ, প্রাতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতা ও তথ্য-নিরপেক্ষতার ভারসাম্য বজায় রেখেছে, সামরিক শক্তি ও নৈতিক শক্তির মধ্যকার সঠিক সমন্বয়।

কোনো পেশাদার বাহিনীর ভিতরে যদি কিছু সদস্য লোভ, ক্ষমতা বা প্রভাবের প্রলোভনে নীতিভ্রষ্ট হয়, তবে তা শুধু একটি ব্যক্তির নয়, পুরো প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি কলঙ্কিত করে। গণমাধ্যম বা সামাজিক প্ল্যাটফর্মে একটি অপরাধের খবর, সেটি যত ক্ষুদ্রই হোক, বহু গুণে ছড়িয়ে পড়ে। তখন সাধারণ মানুষ বাহিনীর নৈতিকতার ওপর প্রশ্ন তোলে, যদিও সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য সৎ ও নিষ্ঠাবান। তবে এর দায় কেবল বাহিনীর নয়; নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম ও রাষ্ট্রের প্রতিটি দায়িত্বশীল অংশকেও সমানভাবে সচেতন হতে হবে। গুজব ও প্রোপাগান্ডার যুগে তথ্য যাচাই না করে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মন্তব্য করা কেবল একটি বাহিনী নয়, পুরো রাষ্ট্রের নিরাপত্তা কাঠামোকেই দুর্বল করে।

বাংলাদেশে বিগত স্বৈরাচারী সরকারের শাসনামলে এবং সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমে উচ্চপদস্থ কিছু সেনা কর্মকর্তার নামে যে ‘আয়নাঘর ঘুম-খুন’ বা বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট ইত্যাদি ঘটনা প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলো নিয়ে প্রায়ই সেনাবাহিনীকে সরাসরি যুক্ত করার প্রচেষ্টা লক্ষ করা যায়। তবে বাস্তবতা হলো, এ ধরনের কার্যক্রমে যারা জড়িত, তারা মূলত ব্যক্তিগত লোভ, লালসা বা সরকারের চাপে বাধ্য হয়ে এমন কাজ করেছে। এটি কোনোভাবেই পুরো সেনাবাহিনী বা তার নীতি ও কর্মকান্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।

সেনাবাহিনী দেশের আইন ও সংবিধানের প্রতি অঙ্গীভূত এবং কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থে অনিয়ম বা অপরাধমূলক কার্যক্রমে যুক্ত হয় না। তাই এ ধরনের ঘটনাগুলোকে পুরো সেনাবাহিনীর নামে প্রচার করা তথ্যবহুল নয় এবং বিভ্রান্তিকর। বাস্তবধর্মী মূল্যায়ন নির্দেশ করে যে এ ধরনের অপরাধ মূলত ব্যক্তিগত দায়িত্ব ও নৈতিক পতনের ফল, যা রাষ্ট্রীয় আইন এবং বিচারব্যবস্থার মাধ্যমে সমাধানযোগ্য।  বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কঠোর শৃঙ্খলা, সংবিধানমুক্ত কার্যক্রম এবং দেশপ্রেমের ভিত্তিতে পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। ব্যক্তিগত কর্মকর্তা বা সাবেক কর্মকর্তাদের অনৈতিক কর্মকান্ডকে পুরো সেনাবাহিনীর সঙ্গে মেলানো ভিত্তিহীন এবং প্রকৃত সত্যের বিপরীত।

পরিশেষে বলা যায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কেবল একটি সামরিক প্রতিষ্ঠান নয়; এটি জাতির নৈতিক ও সাংস্কৃতিক মর্যাদার প্রতীক। ‘সেনাবাহিনীকে নয় বরং অপরাধীকে দায়ী করুন’ নীতি এই প্রতিষ্ঠানের মূল ভিত্তি।  এই প্রবাদবাক্য কেবল একটি সেøাগান নয়, এটি সেনাবাহিনীর নৈতিক চেতনা, শৃঙ্খলা এবং পেশাদারত্বের প্রতিফলন। প্রতিটি সদস্যের হৃদয়ে এই নীতি বাস্তবায়নই বাহিনীর শক্তি, জনগণের আস্থা এবং দেশের সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করে।

♦ লেখক : অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট

এই বিভাগের আরও খবর
গাজর
গাজর
ভোটের প্রস্তুতি
ভোটের প্রস্তুতি
রাজনীতিবিদদের ঐক্য
রাজনীতিবিদদের ঐক্য
ধর্মের বাতি জ্বলে ওয়াজের মাঠে
ধর্মের বাতি জ্বলে ওয়াজের মাঠে
পাকিস্তানে তালেবান সাপের ছোবল
পাকিস্তানে তালেবান সাপের ছোবল
শান্তি ও মুক্তির পাথেয় আল কোরআন
শান্তি ও মুক্তির পাথেয় আল কোরআন
পাসপোর্টের মান
পাসপোর্টের মান
কার্গো ভিলেজ অগ্নিকাণ্ড
কার্গো ভিলেজ অগ্নিকাণ্ড
টক-মিষ্টি আমড়া
টক-মিষ্টি আমড়া
এনসিপির নাগরিক রাষ্ট্রের অঙ্গীকার
এনসিপির নাগরিক রাষ্ট্রের অঙ্গীকার
উপাদেয় হিরণ্ময় হাতিয়া
উপাদেয় হিরণ্ময় হাতিয়া
আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার আমল
আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার আমল
সর্বশেষ খবর
গিফট নিয়ে হয়ে গেলাম প্রতারক : তানজিন তিশা
গিফট নিয়ে হয়ে গেলাম প্রতারক : তানজিন তিশা

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পিচ দেখে ভেবেছিলাম আমার টিভি নষ্ট: আকিল
পিচ দেখে ভেবেছিলাম আমার টিভি নষ্ট: আকিল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্টেশনে ঢুকে মেট্রোরেলে না চড়লেও দিতে হবে ১০০ টাকা
স্টেশনে ঢুকে মেট্রোরেলে না চড়লেও দিতে হবে ১০০ টাকা

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তরুণদের জন্য রাইজ এখন এআই–চালিত ডিজিটাল হাব
তরুণদের জন্য রাইজ এখন এআই–চালিত ডিজিটাল হাব

১ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ অক্টোবর)

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসলামে ইতিবাচক চিন্তার গুরুত্ব
ইসলামে ইতিবাচক চিন্তার গুরুত্ব

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

টিকটকে আশ্লীলতা, আদালতের নির্দেশে বিয়ে করতে হচ্ছে দুই নাইজেরিয়ান ইনফ্লুয়েন্সারকে
টিকটকে আশ্লীলতা, আদালতের নির্দেশে বিয়ে করতে হচ্ছে দুই নাইজেরিয়ান ইনফ্লুয়েন্সারকে

২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

চট্টগ্রামে এনসিপির নেতৃত্বে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ কার্যালয় দখল
চট্টগ্রামে এনসিপির নেতৃত্বে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ কার্যালয় দখল

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আফগানিস্তানের হোম ভেন্যু কিংস অ্যারিনা
আফগানিস্তানের হোম ভেন্যু কিংস অ্যারিনা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১৪ বলে ৩৯ রান, তবু সুপার ওভারে নেই রিশাদ! প্রতিপক্ষও অবাক
১৪ বলে ৩৯ রান, তবু সুপার ওভারে নেই রিশাদ! প্রতিপক্ষও অবাক

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফটিকছড়িতে ভিমরুলের কামড়ে যুবকের মৃত্যু
ফটিকছড়িতে ভিমরুলের কামড়ে যুবকের মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

এআই এজেন্ট: শুধু নির্দেশ নয়, নিজেরাই নিচ্ছে সিদ্ধান্ত
এআই এজেন্ট: শুধু নির্দেশ নয়, নিজেরাই নিচ্ছে সিদ্ধান্ত

২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ব্যর্থতার দায় নিজের কাঁধে নিলেন সৌম্য
ব্যর্থতার দায় নিজের কাঁধে নিলেন সৌম্য

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শরীয়তপুরে বসতঘর থেকে গৃহকর্মীর মরদেহ উদ্ধার
শরীয়তপুরে বসতঘর থেকে গৃহকর্মীর মরদেহ উদ্ধার

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জাতীয় সাঁতারের দ্বিতীয় দিনে রাফির চার রেকর্ড
জাতীয় সাঁতারের দ্বিতীয় দিনে রাফির চার রেকর্ড

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে হাতির আক্রমণে দুই মাহুত আহত
ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে হাতির আক্রমণে দুই মাহুত আহত

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি রনি, সম্পাদক নোবেল
লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি রনি, সম্পাদক নোবেল

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ
সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসোয়াতিনি রাজ্যের অনারারি কনসাল হলেন মোরশেদুল আলম
ইসোয়াতিনি রাজ্যের অনারারি কনসাল হলেন মোরশেদুল আলম

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স, স্বাক্ষরিত হতে পারে প্রতিরক্ষা চুক্তি
ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স, স্বাক্ষরিত হতে পারে প্রতিরক্ষা চুক্তি

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাবির সমাবর্তন ১৭ ডিসেম্বর
রাবির সমাবর্তন ১৭ ডিসেম্বর

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

টঙ্গীতে উঠান বৈঠক
টঙ্গীতে উঠান বৈঠক

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে নদীতে মিললো গুলিসহ রাইফেল
সিলেটে নদীতে মিললো গুলিসহ রাইফেল

৫ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরছেন রিশাভ পান্ত
চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরছেন রিশাভ পান্ত

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইথিওপিয়ায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ১৪
ইথিওপিয়ায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ১৪

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলি কারাগারে ফিলিস্তিনি মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮০
ইসরায়েলি কারাগারে ফিলিস্তিনি মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮০

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আইআরআই প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আইআরআই প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত
সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সুপার ওভারের রোমাঞ্চে সিরিজে ফিরল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
সুপার ওভারের রোমাঞ্চে সিরিজে ফিরল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফটিকছড়িতে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
ফটিকছড়িতে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সর্বাধিক পঠিত
‘মাসখানেক আগেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে বর্ষা ও মাহির’
‘মাসখানেক আগেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে বর্ষা ও মাহির’

১৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইউক্রেনের ‘৭৮ শতাংশ দখল’ করে নিয়েছে রাশিয়া, ধারণা ট্রাম্পের
ইউক্রেনের ‘৭৮ শতাংশ দখল’ করে নিয়েছে রাশিয়া, ধারণা ট্রাম্পের

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া বাড়ছে ১৫ শতাংশ
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া বাড়ছে ১৫ শতাংশ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের পাশে দাঁড়াল প্রতিবেশী আরব দেশ, নিরাপত্তা নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি
ইরানের পাশে দাঁড়াল প্রতিবেশী আরব দেশ, নিরাপত্তা নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বকাপ থেকে বিদায়, যা বললেন বাংলাদেশ অধিনায়ক
বিশ্বকাপ থেকে বিদায়, যা বললেন বাংলাদেশ অধিনায়ক

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই বেতন কমিশনের সুপারিশ
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই বেতন কমিশনের সুপারিশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাশিয়ার শর্ত মেনে ইউক্রেনকে যুদ্ধ থামাতে বললেন ট্রাম্প
রাশিয়ার শর্ত মেনে ইউক্রেনকে যুদ্ধ থামাতে বললেন ট্রাম্প

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিটি কর্পোরেশন হচ্ছে সাভার, কেরানীগঞ্জ পৌরসভা
সিটি কর্পোরেশন হচ্ছে সাভার, কেরানীগঞ্জ পৌরসভা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ থাকবে কি না, সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের: রিজভী
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ থাকবে কি না, সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের: রিজভী

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দেব-রুক্মিণী নিয়ে নতুন গুঞ্জন, ফের ভাঙনের ইঙ্গিত?
দেব-রুক্মিণী নিয়ে নতুন গুঞ্জন, ফের ভাঙনের ইঙ্গিত?

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আজ দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম
আজ দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম

১৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বেতন কমিশনের প্রতিবেদন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দাখিল
বেতন কমিশনের প্রতিবেদন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দাখিল

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়কের ভূমিকায় যেতে হবে: মির্জা ফখরুল
অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়কের ভূমিকায় যেতে হবে: মির্জা ফখরুল

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আভাস, বাড়তে পারে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আভাস, বাড়তে পারে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মারা গেছে রাঙামাটির সেই ‘গোলাপি হাতি’
মারা গেছে রাঙামাটির সেই ‘গোলাপি হাতি’

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খার্তুম বিমানবন্দর চালুর আগেই ড্রোন হামলা
খার্তুম বিমানবন্দর চালুর আগেই ড্রোন হামলা

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষকরা নবউদ্যমে শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন, প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার
শিক্ষকরা নবউদ্যমে শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন, প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুলিশের ৮০ কর্মকর্তার পদোন্নতি
পুলিশের ৮০ কর্মকর্তার পদোন্নতি

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যে কারণে হোয়াইট হাউসের একাংশ ভেঙে ফেলছেন ট্রাম্প
যে কারণে হোয়াইট হাউসের একাংশ ভেঙে ফেলছেন ট্রাম্প

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জিরা ভেজানো পানির ৬ উপকারিতা
জিরা ভেজানো পানির ৬ উপকারিতা

১৪ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

একনেকে ১৩ প্রকল্প অনুমোদন
একনেকে ১৩ প্রকল্প অনুমোদন

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েল ফেরত দিয়েছে ১৩৫ ফিলিস্তিনির বিকৃত মরদেহ
ইসরায়েল ফেরত দিয়েছে ১৩৫ ফিলিস্তিনির বিকৃত মরদেহ

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতি টিকিয়ে রাখতে ইসরায়েলে উড়ে গেলেন জেডি ভ্যান্স
যুদ্ধবিরতি টিকিয়ে রাখতে ইসরায়েলে উড়ে গেলেন জেডি ভ্যান্স

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীন-যুক্তরাষ্ট্রে আইফোন ১৭ বিক্রির রেকর্ড
চীন-যুক্তরাষ্ট্রে আইফোন ১৭ বিক্রির রেকর্ড

২০ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

দেশে একমাত্র মুনাফাকারী ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক: বিটিএমএ সভাপতি
দেশে একমাত্র মুনাফাকারী ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক: বিটিএমএ সভাপতি

১১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২১ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২১ অক্টোবর)

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভারতের সঙ্গে ১০ চুক্তি ‘বাতিলের’ তথ্য সঠিক নয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ভারতের সঙ্গে ১০ চুক্তি ‘বাতিলের’ তথ্য সঠিক নয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইউক্রেন ‌‘বধে’ শীতকেই হাতিয়ার বানাচ্ছেন পুতিন!
ইউক্রেন ‌‘বধে’ শীতকেই হাতিয়ার বানাচ্ছেন পুতিন!

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে চূড়ান্ত শুনানি শুরু
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে চূড়ান্ত শুনানি শুরু

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
আরামের আড়ালে মারণফাঁদ
আরামের আড়ালে মারণফাঁদ

পেছনের পৃষ্ঠা

ইলিয়াস কাঞ্চনের পরিবার
ইলিয়াস কাঞ্চনের পরিবার

শোবিজ

গৌরীকে শাহরুখের বিশেষ বার্তা
গৌরীকে শাহরুখের বিশেষ বার্তা

শোবিজ

চলতি মাসেই ২০০ প্রার্থী চূড়ান্ত বিএনপির
চলতি মাসেই ২০০ প্রার্থী চূড়ান্ত বিএনপির

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকল মিরপুর
ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকল মিরপুর

মাঠে ময়দানে

ঢাকায় ‘শাম-ই-নুসরাত’
ঢাকায় ‘শাম-ই-নুসরাত’

শোবিজ

আফগানিস্তানের হোম ভেন্যু কিংস অ্যারিনা
আফগানিস্তানের হোম ভেন্যু কিংস অ্যারিনা

মাঠে ময়দানে

শতাধিক আসনে বিশেষ গুরুত্ব জামায়াতের
শতাধিক আসনে বিশেষ গুরুত্ব জামায়াতের

প্রথম পৃষ্ঠা

আসরানির শেষ পোস্ট
আসরানির শেষ পোস্ট

শোবিজ

উচ্ছ্বসিত কেন ঐশী
উচ্ছ্বসিত কেন ঐশী

শোবিজ

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সাঁতারে দিনটি ছিল রাফির
সাঁতারে দিনটি ছিল রাফির

মাঠে ময়দানে

গলফার সামিরের আকাশছোঁয়া স্বপ্ন
গলফার সামিরের আকাশছোঁয়া স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

প্রশাসনের প্রশ্রয়ে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনে এ কে আজাদ
প্রশাসনের প্রশ্রয়ে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনে এ কে আজাদ

প্রথম পৃষ্ঠা

সিআইডির নজর মাফিয়া চক্রের ৯৬ অ্যাকাউন্টে
সিআইডির নজর মাফিয়া চক্রের ৯৬ অ্যাকাউন্টে

পেছনের পৃষ্ঠা

চ্যালেঞ্জ লিগ খেলতে তপুরা গেলেন কুয়েতে
চ্যালেঞ্জ লিগ খেলতে তপুরা গেলেন কুয়েতে

মাঠে ময়দানে

মেয়েদের হাত ধরে বাংলাদেশের প্রথম পদক
মেয়েদের হাত ধরে বাংলাদেশের প্রথম পদক

মাঠে ময়দানে

অন্তর্বর্তী হবে তত্ত্বাবধায়ক
অন্তর্বর্তী হবে তত্ত্বাবধায়ক

প্রথম পৃষ্ঠা

সেই পর্ন তারকা যুগল পাঁচ দিনের রিমান্ডে
সেই পর্ন তারকা যুগল পাঁচ দিনের রিমান্ডে

পেছনের পৃষ্ঠা

ত্রিভুজ প্রেমের বলি জবি ছাত্র জোবায়েদ
ত্রিভুজ প্রেমের বলি জবি ছাত্র জোবায়েদ

প্রথম পৃষ্ঠা

দাবি পূরণ, আজ ক্লাসে ফিরছেন শিক্ষকরা
দাবি পূরণ, আজ ক্লাসে ফিরছেন শিক্ষকরা

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসী ১ কোটি ৩৭ লাখ
যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসী ১ কোটি ৩৭ লাখ

পেছনের পৃষ্ঠা

ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে ক্ষতি ৪ হাজার কোটি
ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে ক্ষতি ৪ হাজার কোটি

প্রথম পৃষ্ঠা

সহপাঠীদের পিটুনিতে মৃত্যু শিক্ষার্থীর
সহপাঠীদের পিটুনিতে মৃত্যু শিক্ষার্থীর

পেছনের পৃষ্ঠা

শাহজালালে আগুনের কারণ এখনো অস্পষ্ট
শাহজালালে আগুনের কারণ এখনো অস্পষ্ট

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তিতর্ক চলছে শেখ হাসিনার আইনজীবীর
যুক্তিতর্ক চলছে শেখ হাসিনার আইনজীবীর

পেছনের পৃষ্ঠা

নারী হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন গ্রেপ্তার ৩
নারী হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন গ্রেপ্তার ৩

পেছনের পৃষ্ঠা

মারা গেছে রাঙামাটির বিরল গোলাপি হাতি
মারা গেছে রাঙামাটির বিরল গোলাপি হাতি

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রাক্-নির্বাচনি পরিবেশ পর্যবেক্ষণে ঢাকায় মার্কিন মিশন
প্রাক্-নির্বাচনি পরিবেশ পর্যবেক্ষণে ঢাকায় মার্কিন মিশন

প্রথম পৃষ্ঠা

সাত খুন মামলার আপিল শুনানি চার সপ্তাহ মুলতবি
সাত খুন মামলার আপিল শুনানি চার সপ্তাহ মুলতবি

পেছনের পৃষ্ঠা