বৃহস্পতিবার, ২ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

নাশকতায় হুকুমদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

নাশকতায় হুকুমদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা : প্রধানমন্ত্রী

সংসদে গতকাল বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা —বাংলাদেশ প্রতিদিন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সব ধরনের জঙ্গিবাদ, নাশকতা ও সহিংসতার সঙ্গে জড়িত ও হুকুমদাতাদের আইনের আওতায় আনতে ও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশসহ সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা সমূহে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে সব বাহিনী সমন্বিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

গতকাল বাজেট অধিবেশনে সংসদ সদস্য এম এ আউয়ালের (লক্ষ্মীপুর-১) লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী সংসদকে এসব তথ্য জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদসহ যে কোনো ধরনের অরাজকতা রোধ করে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান এবং সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, জনগণের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থার ফলে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। মানুষ ন্যায়বিচার পাচ্ছে। এর ফলে, শান্তিপূর্ণ ও স্বাভাবিকভাবে দেশি-বিদেশি নাগরিকরা তাদের জীবনযাপন ও ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তত্পর থাকায় দেশে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকার কারণে বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি দৃঢ়তর হচ্ছে।

ঈদ ঘরেফেরা মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করা হবে

মাহফুজুর রহমানের (চট্টগ্রাম-৩) এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আগামী ঈদুল ফিতরের নির্বিঘ্ন বাড়ি ফেরা নিশ্চিত করা হবে। ঈদে ঘরেফেরা মানুষের যানজটমুক্ত ও ভোগান্তিমুক্ত যাত্রা নিশ্চিত করতে ৩২টি সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব সমস্যা সমাধানে আজ আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হবে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ঈদুল ফিতরে টার্মিনাল ও সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি চুরি, ডাকাতি, পকেটমার, মলমপার্টি ও অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ম্য রোধে সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন করা হবে। লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ি যাতে মহাসড়কে দূরপাল্লায় চলাচল করতে না পারে তা নিশ্চিত করা হবে এবং ফেরি পারাপার নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত সংখ্যক যান্ত্রিক ত্রুটিমুক্ত ফেরি চলাচল নিশ্চিত করার পাশাপাশি অতিরিক্ত ফেরি রাখা হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ঈদে চলাচলের সুবিধার্থে বিআরটিসি রিজার্ভ এবং সিটি সার্ভিসের প্রয়োজন হবে না। বিআরটিএ ও ডিএমপি এবং মালিক ও শ্রমিক সমিতির মাধ্যমে ঈদে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যানজটমুক্তভাবে ঢাকায় গাড়ি প্রবেশ ও বাহিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ঈদের আগে-পরে মোট সাত দিন ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরি চলাচল বন্ধ থাকবে। এ সময় মডেল আউট ও ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান চলবে। নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করতে ঈদের আগের সাত দিন ও পরের তিন দিন মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখা হবে। তিনি বলেন, আগামী ২০ জুনের মধ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ, চট্টগ্রাম, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন সব সড়ক মেরামতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২০ জুনের পরে সব মেরামত ও সংস্কার কাজ বন্ধ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঈদের আগে-পরে মোট ১০ দিন সিএনজি স্টেশনগুলো ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হবে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ঈদে সড়ক, রেল ও নৌপথের আকস্মিক দুর্ঘটনা মোকাবিলার জন্য পূর্ব প্রস্তুতি রাখা হবে। উদ্ধার ও চিকিৎসা সামগ্রী এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি মজুদ রাখা হবে। বড় দুর্ঘটনায় প্রাণহানি এড়াতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হবে।

সর্বশেষ খবর