বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

এসিড মেরে দুই পুলিশকে দগ্ধ

বিশেষ প্রতিনিধি

পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে দুর্বৃত্তের ছোড়া এসিডে টহল পুলিশের কনস্টেবল রফিকুল ইসলাম (৪৮) এএসআই নুরুজ্জামান দগ্ধ হয়েছেন। এদের মধ্যে রফিকুল ইসলামকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ও নুরুজ্জামানকে মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জোবায়ের আলম (২২) নামে একজনকে আটক করেছে  পুলিশ। মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে এক মোটরসাইকেল আরোহী ওই এসিড নিক্ষেপ করে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে দিয়ে তিনজন আরোহী নিয়ে একটি মোটরসাইকেল যাচ্ছিল। ওই এলাকায় চার পুলিশ সদস্য টহল ডিউটি করার সময় মোটরসাইকেল থামানোর জন্য সংকেত দিলে আরোহীদের একজন পুলিশকে লক্ষ্য করে এসিড ও পাউডার ছুড়ে মারে। এতে বংশাল পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল রফিকুল ও এএসআই নুরুজ্জামান দগ্ধ হন। পরে একই থানার এসআই আবদুর রউফ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। এসিডে রফিকুল ইসলামের মুখ ঝলসে গেছে। তিনি বর্তমানে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন পার্থ শংকর পাল জানিয়েছেন, পুলিশ সদস্যের শরীরে বার্নের পরিমাণ ৪ শতাংশ। তিনি বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন। পুলিশের লালবাগ বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার এম কামাল হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশকে এসিড ছুড়ে পালানোর সময় জোবায়েরকে আটক করা হয়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা অপর দুজন পালিয়ে যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জোবায়ের হাটহাজারী মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছে বলে জানা গেছে। তাদের গতিবিধি ও আক্রমণের মোটিভ দেখে জঙ্গি বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাই তাকে পঙ্গু হাসপাতালে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিটের (সিটিটিসি) সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, মোটরসাইকেলটির নম্বর প্লেট কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল। সেটি দেখে সন্দেহজনক মনে হলে মোটরসাইকেলটিকে থামার জন্য সংকেত দেয় পুলিশ। কিন্তু থামার পরই আরোহীদের একজন পুলিশকে লক্ষ্য করে এসিড নিক্ষেপ করে। এতে কনস্টেবল রফিকুল ইসলামের মুখ ও এএসআই নুরুজ্জামানের মুখ সামান্য ঝলসে গেছে এবং তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন। পঙ্গু হাসপাতাল সূত্র জানায়, জোবায়েরের পায়ে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। বর্তমানে সে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছে।

সর্বশেষ খবর