শিরোনাম
শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা
আ-মরি বাংলা ভাষা

আমাদের অনুবাদ সাহিত্যের অবস্থা শোচনীয়

হায়াৎ মামুদ

আমাদের অনুবাদ সাহিত্যের অবস্থা শোচনীয়

ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জীবনের সবচেয়ে গৌরবের বিষয়। অথচ এসব ভালো কাজের খোঁজ বিদেশিরা তেমন জানে না। এগুলো জানানোর কর্তব্য রাষ্ট্রের। আমরা কোন কাজটা ঠিকমতো করি! আমরা কথা বলতে পারি, কাজ করি সামান্য। ফেব্রুয়ারি মাস এলেই কর্তা ব্যক্তিদের খোঁজ-খবর শুরু হয়। সারা বছর নীরব। তাদের যেন কাজের শেষ নেই। মহাব্যস্ত। কেন একুশে ফেব্রুয়ারি। কেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এ দিবসের তাৎপর্য হলো পৃথিবীর সব জাতির মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো। পৃথিবীব্যাপী পাঠকের কাছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে তথ্য পৌঁছাতে হবে। কয়টা উচ্চমানের বই লেখা হয়েছে? যেসব বই প্রকাশ হয়েছে তা পৃথিবীর বহুল প্রচলিত কয়টি ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। আমাদের অনুবাদ সাহিত্যের অবস্থা শোচনীয়। আমার বই তো আমি অনুবাদ করলে লোকে পড়বে না। অনুবাদের জন্য ভিন্ন ভাষী কিন্তু ভালো বাংলা জানেন এমন কাউকে আনতে হবে। ধরা যাক লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক উইলিয়াম রাদিচি। তার মতো অভিজ্ঞ পণ্ডিতকে দিয়ে বাংলায় লিখিত বই ইংরেজি অনুবাদ করালে নির্ভরযোগ্য অনুবাদ পাওয়া যাবে। বাংলা একাডেমি তাকে নিয়ে আসুক। কেবল বাংলা একাডেমি কেন বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের মাতৃভাষা, দেশের সংস্কৃতি ইত্যাদি বিষয়ে উচ্চতর গবেষণা ও প্রকাশনা করতে পারে। ভাষা বিষয়ে গবেষণা করার জন্য আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা হলো। এ প্রতিষ্ঠানটি আবেগের ফসল। তারা কি করছে আমরা কেউ জানি না। প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম সম্পর্কে আমাদের জানা দরকার। কয়টি গবেষণা তারা পরিচালনা করেছে। তাদের কী প্রকাশনা রয়েছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কাজ সাধারণ মানুষের জানা দরকার। এ ব্যাপারে দেশের গণমাধ্যমে এগিয়ে আসতে হবে। আমার ধারণা এগুলো তৈরি হয় জনগণকে ধোকা দেওয়ার জন্য। তাছাড়া রাজনৈতিক পর্যায় থেকে একাডেমিক কাজ কখনো হয় না। বাঙালি দেশের জন্য সম্মিলিতভাবে বড় কোনো কাজ করতে পারে না। লেখক : শিক্ষাবিদ-প্রাবন্ধিক।

সর্বশেষ খবর