বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৯ ০০:০০ টা

নতুন করে সময় চাওয়া হয়নি : বিজিএমইএ

নিজস্ব প্রতিবেদক

হাতিরঝিলের ক্যান্সারখ্যাত বিজিএমইএর অবৈধ ভবন থেকে কার্যালয় গুছিয়ে উত্তরায় নির্মাণাধীন নতুন বৈধ ভবনে আসাকে নিজেদের সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে দেখছেন সংগঠনটির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, বিজিএমইএ সভাপতি হিসেবে আমি নতুন করে সময় চেয়ে আদালতের কাছে কোনো আবেদন করিনি। যদি কেউ করে থাকে, তাহলে আমি আদালতের কাছে আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে বিচার চাচ্ছি। কারা আবেদন করেছে? কেন করেছে? তারা কীভাবে আবেদন করে, তাদেরকে আইনের আওতায় নেওয়া হোক। গতকাল রাজধানীর উত্তরায় বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি-বিজিএমইএর নতুন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন সংগঠনটির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। আরও বক্তব্য দেন বিজিএমইএর সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান, সহ-সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু, এস এম মান্নান কচি ও মোহাম্মদ নাসির প্রমুখ। বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমরা যেহেতু আদালতে মুচলেকা দিয়েছিলাম। সে জন্য সব সময় বলেছি, আমরা নিজস্ব ভবনে চলে যাব। আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক ভবন ছেড়ে দিয়েছি। এখন নতুন ভবনে অফিস করছি। তবে হাতিরঝিলের ভবন নিয়ে দুঃখ-বেদনা তো থাকবেই। কারণ ১৪ বছর ওই ভবনে আমরা অফিস করেছি।

উকিল নোটিস : ভবন ভাঙতে ফের এক বছর সময় চেয়ে করা আবেদন প্রত্যাহার করতে বিজিএমইএ সভাপতিকে আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে। নোটিসে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাদের সময় চেয়ে করা আবেদন প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে। তা না করলে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে বলে নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছে। গতকাল রেজিস্ট্রি ডাকযোগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এ নোটিস পাঠান। মনজিল মোরসেদ জানান, ১২ এপ্রিল বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে আপিল বিভাগের দেওয়া সময় শেষ হয়। তবে ১১ এপ্রিল ভবন ভাঙতে পুনরায় এক বছর সময় চেয়ে আবেদন জানায় বিজিএমইএ। অথচ আর সময় চাইবে না বলে গত বছর মুচলেকা দিয়েছিল বিজিএমইএ। তাই পুনরায় এক বছর সময় চেয়ে করা বিজিএমইএর আবেদন প্রত্যাহার চেয়ে এ নোটিস পাঠানো হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর