মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

আগেও ছয়বার পড়েছে গার্ডার

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর উত্তরায় গতকাল গার্ডার পড়ে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাইভেট কারে থাকা পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ ধরনের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগে এ রকম ছয়টি ঘটনা ঘটেছে। গত বছর ১৪ মার্চ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে নির্মাণাধীন বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের গার্ডার পড়ে চারজন আহত হন। তাদের মধ্যে দুজন চীনের নাগরিক ছিলেন। এ ছাড়া দেশের অনেক জায়গায় মহাসড়কে গার্ডার পড়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। ১৫ জুলাই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর মহানগরীর চৌধুরীবাড়ী এলাকায় বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভারের লঞ্চিং গার্ডার গাড়িতে নিয়ে  যাওয়ার সময় কাত হয়ে পড়ে জিয়াউর রহমান (৩০) নামে এক নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু হয়। এ সময় এক পথচারীও আহত হন।

৭ জুন গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় নির্মাণাধীন একটি সেতুর গার্ডার ধসে পড়ে লিয়াকত হোসেন (৩৫) নামে এক শ্রমিক নিহত হন। তিনি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার নাকগুহা এলাকার সাত্তার পরামানিকের ছেলে। কামাল শরিফ নামে এক ঠিকাদারি ব্যবসায়ীর ‘এমটিবি/এমএমই’ (জিবি) নামক একটি কনস্ট্রাকশন ফার্ম সেতুটির নির্মাণ কাজ করছিল।

১৬ জুন সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে নির্মাণাধীন জাদুকাটা সেতুর একটি গার্ডার পিলার ঢলের পানিতে ধসে পড়ার ঘটনা ঘটে। এলজিইডির তত্ত্বাবধানে প্রায় ৮৬ কোটি টাকা নির্মাণ ব্যয় সাপেক্ষে ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পূর্বপ্রতিশ্রুত জাদুকাটা নদীর ওপর তমা কনস্ট্রাকশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করে। ৭৩ শতাংশ কাজ শেষ হওয়ার পর পাহাড়ি ঢলের স্রোতে সেতুর পূর্ব তীরের একটি গার্ডার পিলার ঢালাইসহ ধসে পড়ে। ২৮ এপ্রিল রাঙামাটি-কাপ্তাই সড়কে একটি নির্মাণাধীন সেতুর গার্ডার ধসে একজন শ্রমিক নিহত এবং ১৫ জন আহত হন।

গার্ডার ধসে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটে ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাট এলাকায়। নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার ধসে ১৩ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ওই বছর ২৬ নভেম্বর চান্দগাঁও থানার তৎকালীন এসআই আবুল কালাম আজাদ ২৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। তবে আজও শেষ হয়নি মামলার বিচার কাজ। সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ না হওয়ায় মামলাটি এখনো ঝুলে আছে।

সর্বশেষ খবর