বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

৩০০ কোটি টাকার সুতা অবিক্রীত

রাশেদ হোসাইন

৩০০ কোটি টাকার সুতা অবিক্রীত

বৈশ্বিক মন্দার কারণে দেশে বস্ত্রকলগুলোয় ৩০০ কোটি টাকার সুতা অবিক্রীত রয়ে গেছে। মহামারি করোনার ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকটে ক্রয়াদেশ কমে যাওয়ায় মিলগুলোতে সুতার মজুদ বেড়েছে। বিক্রি কমে যাওয়ার কারণে কমে গেছে সুতার দামও।

বস্ত্র খাতের শিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) মোহাম্মদ আলী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এ সেক্টর তুলা থেকে সুতা, সুতা থেকে কাপড়, কাপড় থেকে ডাইং তৈরি করে থাকে। এই তিন সেক্টর নিয়ে কাজ করে বিটিএমএ। উৎপাদিত সুতার ৮৫ শতাংশ যায় গার্মেন্ট শিল্পে। ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ যায় ওভেন গার্মেন্টে। সাড়ে ৪ মিলিয়ন শ্রমিক এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ মহিলা ও ৪০ শতাংশ পুরুষ কাজ করে।

দেশের অর্থনীতিতে বস্ত্র খাতের অবদান ৩৬ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে রপ্তানি থেকে  আসে ২৮ বিলিয়ন ডলার। বাকি ৮ বিলিয়ন ডলার আসে দেশের স্থানীয় বাজার থেকে
জানা যায়, বস্ত্র খাতের প্রাথমিক উপকরণ হলো তুলা। তুলা একটি প্রাকৃতিক ফাইবার যা পণ্যকে শক্তিশালী এবং টেকসই করে। পণ্যের নিখুঁত মান বজায় রেখে স্থায়িত্ব ও শক্ত করে। তুলা পরিবেশসম্মত। যা একটি পোশাক কারখানায় ব্যবহার করার পরে কোনো ক্ষতিকারক বর্জ্য তৈরি করে না। তুলা থেকে সুতা উৎপাদন হয়ে থাকে। দেশে তুলা উৎপাদন হয় ১.৫ লাখ বেল। বেশির ভাগই দেশের বাহির থেকে আমদানি করা হয়। ২০২০-২১ অর্থবছরে ৮.২ মিলিয়ন বেল তুলা আমদানি করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, চায়না, পাকিস্তান, কোরিয়া ও থাইল্যন্ডসহ অন্যান্য দেশ থেকে তুলা আমদানি করা হয়। এই তুলা থেকে তৈরি হয় সুতা।

দেশের অর্থনীতিতে বস্ত্র খাতের অবদান ৩৬ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে রপ্তানি থেকে আসে ২৮ বিলিয়ন ডলার। বাকি ৮ বিলিয়ন ডলার আসে দেশের স্থানীয় বাজার থেকে। গত অর্থবছরে ৩৮ হাজার ৭৫৮ মিলিয়ন ডলার রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে বস্ত্র ও পোশাক শিল্পে রপ্তানি হয় ৩২ হাজার ৫৮৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ ৮৪ শতাংশ রপ্তানি আয় আসে এই খাত থেকে। এ খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ ১৬ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে এ খাতে ১৭২৮ মিল রয়েছে। এর মধ্যে ৫১০টি সুতা তৈরির কারখানা, ৯১০টি ফেব্রিক্স তৈরির কারখানা। ডাইং, প্রিন্টিং ও ফিনিশিং কারখানা রয়েছে ৩১৭টি।

সর্বশেষ খবর