পূর্ব লন্ডনে মুসলিমদের ওপর সাম্প্রতিক এসিড হামলার ফলে তারা এখন ঘর থেকে বের হতে আতঙ্কে আছেন। গত ২১ জুন পূর্ব লন্ডনের নিউহ্যামে উদীয়মান মডেল রেশাম খান (২১) ও তার কাজিন জামিল মুখতারের (৩৭) ওপর এসিড হামলার পর থেকেই এ আতঙ্ক বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশ বলেছে, বর্ণবাদী বা ধর্মীয় কোনো উদ্দেশে এমন হামলার পক্ষে তারা কোনো প্রমাণ পায়নি। তারা এটাকে দেখছেন ঘৃণাপ্রসূত অপরাধ হিসেবে। জানা গেছে, জন টমলিন (২৪) নামের এক যুবককে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এদিকে, এসিড হামলার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে আরো একই রকম হামলার খবর আসছে। অনেকেই ধরে নিচ্ছেন, মুসলিমরা অথবা দেখতে এশিয়ান এমন মানুষদেরকে টার্গেট করা হচ্ছে।
এমন অবস্থার প্রেক্ষিতে পূর্ব লন্ডনের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক তীব্র আকার ধারণ করেছে। তারা রবিবার সন্ধ্যায় এ নিয়ে টাওয়ার হ্যামলেটের মেয়র জন বিগসের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন। জন বিগসকে জানানো হয়, 'এসব হামলা এখন আমাদের ঘরের দরজায় পৌঁছে গেছে। আমাদের নারীরা, পুরুষরা, ছোটরা সবাই অনিরাপদ বোধ করছে। তারা ঘর থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছেন'।
উল্লেখ্য, এসিড হামলার এমন ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। মার্চে মেট্রোপলিটন পুলিশ বলেছে, লন্ডনের মধ্যে নিউ হ্যামে ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি এসিড হামলা হয়েছে। এর সংখ্যা ৩৯৮। এক্ষেত্রে একই সময়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে টাওয়ার হ্যামলেট। সেখানে এসিড হামলা হয়েছে ৮৪টি। এসব ঘটনায় দেখা যায়, লন্ডনজুড়ে এসিড হামলা দ্রুত বাড়ছে। ২০১৫ সালে এ সংখ্যা ছিল ২৬১। কিন্তু ২০১৬ তে এসে তা দাঁড়িয়েছে ৪৩১।
সূত্র: দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট অনলাইন
বিডি-প্রতিদিন/৪ জুলাই, ২০১৭/ওয়াসিফ