কাশ্মীরের উপর থেকে বিশেষ মর্যাদা সম্পর্কিত সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করেছে ভারত। সেই ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে নেয়ার দিন থেকেই সেখানে যে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। মঙ্গলবার বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের একশো দিন পূর্ণ হলো।
প্রথম দিকে যেরকম কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল রাস্তায় চলাচলের ওপরে, সেসব শিথিল করা হয়েছে। এখন শুধুমাত্র ১৪৪ ধারায় চারজনের বেশি একসঙ্গে চলাফেরার ওপরে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। দোকানপাট, বাজারঘাট সকালে ঘণ্টা তিনেকের জন্য খোলা হয়। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ওই তিন ঘণ্টার মধ্যেই কিনতে হয়। অন্যদিকে পর্যটন ব্যবসায় নেমেছে ধস।
এদিকে, মঙ্গলবার থেকেই ট্রেন চালু হয়েছে শ্রীনগর আর বারামুলার মধ্যে। স্কুল খোলা আছে, তবে শিক্ষক শিক্ষিকারাই যান। ক্লাস টেন এবং টুয়েলভের যেহেতু বোর্ড পরীক্ষা আছে তাদের পরীক্ষাগুলো হচ্ছে, অন্য ক্লাসের ছাত্রছাত্রীদের বাড়িতে অভিভাবকদের সামনে পরীক্ষা দিতে হচ্ছে।
শীর্ষ রাজনৈতিক নেতারাও এই ১০০ দিন ধরেই আটক হয়ে আছেন। জারি রয়েছে ১৪৪ ধারাও। ৩৬ লাখ প্রিপেইড মোবাইল এখনও চালু হয় নি, নেই ইন্টারনেটও। তবে চালু হয়েছে ল্যান্ডলাইন ফোন আর পোস্ট পেইড মোবাইল ফোন। ইন্টারনেট চালুর দাবিতে মঙ্গলবারই শ্রীনগরে বিক্ষোভ করেছেন সেখানকার সাংবাদিকরা।
শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা নেত্রী এমন কি সাবেক মুখ্যমন্ত্রীরাও আটক হয়ে আছেন। একই সঙ্গে বহু কাশ্মীরীও সেখানকার জেলে এবং এবং উত্তর প্রদেশের জেলে আটক রয়েছেন। এই নতুন রুটিনে মানুষ অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু মাঝে মাঝেই বিক্ষোভের মাধ্যমে এটা টের পাওয়া যায় যে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ এখনও কমেনি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন