আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে জঙ্গি হামলায় গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের জামিনের বিষয়ে কঠোর হতে বিচারকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। জঙ্গি হামলায় গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা জামিনে বের হয়ে যাচ্ছেন, সাংবাদিকরা এমন প্রসঙ্গের উল্লেখ করলে মন্ত্রী বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার উপর কোনো হস্তক্ষেপ না করে আমি শুধু এটুকু অনুরোধ করব, দেশ ও জাতি আমাদের সবার। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার একটা বিরাট দায়িত্ব কিন্তু বিচার বিভাগেরও। সেদিকে লক্ষ্য রেখে বিচার বিভাগকে তার সুবিবেচনায় অত্যন্ত কঠিন হতে আমি আবেদন করব। রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউশনে নিম্ন আদালতের বিচারকদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে গতকাল সাংবাদিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে মন্ত্রী কথা বলেন। জঙ্গিদের জামিনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি আবারও বলব, বিচার বিভাগ স্বাধীন। জামিনের হাত আমাদের নয়। আমরা সরকারের দিক থেকে বা নির্বাহী বিভাগ থেকে যেটা পারি, প্রসিকিউশন সার্ভিস যেটা আছে, তাদেরকে আমরা এসব মামলায় জামিন না দিতে বিচারকদের প্রতি অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে তাদের যুক্তি-তর্ক রাখতে বলেছি এবং বলছি। মামলার চার্জশিটের দুর্বলতায় অনেকের ছাড় পাওয়ার বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমরা কো-অপারেশনে বিশ্বাসী, সব কিছুর একটা পদ্ধতি আছে। এসব গুরুত্বপূর্ণ মামলায় এ রকম ফাঁকফোকর যাতে না থাকে, সেগুলো দেখে দেব। গুলশানে জঙ্গি হামলার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, এই তদন্ত সঠিক পদ্ধতিতে এবং সঠিক দিকে এগুচ্ছে। হাইকোর্টে বিচারাধীন রমনা বটমূলে বোমা হামলার মামলা ও নিম্ন আদালতে বিচারাধীন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা নিয়ে প্রশ্নে আনিসুল হক বলেন, আমরা প্রসিকিউশন থেকে, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস থেকে চেষ্টা করব, এগুলোর ত্বরিত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা আমরা নিব। আপনারা এই ব্যবস্থার প্রতিফলন কিছু দিনের মধ্যেই দেখবেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা এখন চলমান। যতটুকু আমি জানি, শেষ পর্যন্ত ২২৫ জনের ঊর্ধ্বে সাক্ষী হয়েছে, বিচার যেহেতু চলমান, সেই সম্পর্কে কোনো কথা বলব না। এ ধরনের মামলার বিচারে ট্রাইব্যুনাল গঠন প্রশ্নে তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রচলিত আইন এই অপরাধগুলোকে অপরাধ হিসাবে গণ্য করতে যথেষ্ট। আইন কিন্তু আমাদের দেশে রয়েছে। যে ব্যবস্থা নিব, সেটা হচ্ছে, যে মুহূর্তে পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে পৌঁছবে এবং সেটা আদালতে গৃহীত হবে, সে মুহূর্ত থেকে এই বিচারগুলো যেন ত্বরিত হয়, সে ব্যবস্থা সরকার গ্রহণ করবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ছে এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই পর্যায়ে কোনো প্রতিষ্ঠান বা কোনো একটা ইংরেজি মাধ্যম বা বাংলা মাধ্যম এভাবে ক্যাটাগরি করা ঠিক হবে না। সে কারণে যারা অপরাধ করেছে, লেট আস বি স্পেসেফিক তাদের ব্যাপারে।
শিরোনাম
- গুপ্তচরবৃত্তির শাস্তি কঠোর করে ইরানের পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস
- বিএনপির বিরুদ্ধে সকল অপপ্রচার হাওয়ায় মিলে গেছে : রিজভী
- গাকৃবিতে গমের ব্লাস্ট রোগ দমনে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ
- নোয়াখালীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশ
- নারায়ণগঞ্জে দেশের প্রথম ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ উদ্বোধন
- রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আবাসিক হোটেল থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার
- রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে শেখ মইনউদ্দিন, প্রজ্ঞাপন জারি
- ই-স্পোর্টসকে ‘ক্রীড়া’ হিসেবে ঘোষণা
- বরিশালে পৃথক অভিযানে মাদক ও জালনোটসহ আটক ৪
- সিভাসুতে রাজনৈতিক পদায়ন পাওয়া তিন কর্মকর্তাকে পদাবনতি
- খাগড়াছড়িতে মব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্রদলের সমাবেশ
- দেশ ও দলের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে: নবীউল্লাহ নবী
- অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পেট্রোল ঢেলে হত্যার চেষ্টায় স্বামী গ্রেফতার
- ১৩ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা
- নেত্রকোনার ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু
- রাজবাড়ীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ
- গোবিন্দগঞ্জে গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার
- মুখে ভালো কথা বলে সবার ওপর বোমা মারেন পুতিন, বললেন ট্রাম্প
- সিলেটে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
- পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধূর আত্মহত্যা