মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা
মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

রিজার্ভ থেকে সার্বভৌম সম্পদ তহবিল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ সার্বভৌম সম্পদ তহবিল গঠনের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে পড়ে থাকা টাকা থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার নিয়ে এ তহবিল গঠন করা হবে। প্রতি বছর ২ বিলিয়ন ডলার করে জমা হবে এ তহবিলে। গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। এ ছাড়া মন্ত্রিসভা বাণিজ্য সংগঠন আইন, ২০১৬, বাংলাদেশ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস আইন, ২০১৭ এবং কৃষি কাজে ভূ-গর্ভস্থ পানি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১৭-এর খসড়াও নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, মন্ত্রিসভা বাংলাদেশ সার্বভৌম সম্পদ তহবিল গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। এ তহবিল গঠিত হলে সরকার এর অর্থ জনস্বার্থে যে কোনো কাজে ব্যবহার করতে পারবে। এ তহবিল গঠনে আইন তৈরির পাশাপাশি কাঠামোও তৈরি করা হবে। তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে এ তহবিল গঠন করা হবে। আমাদের রিজার্ভ যদি ৩০-৩২ বিলিয়ন ডলারের হয়, ওখান থেকে আমরা ২ বিলিয়ন ডলার নিলে অর্থনীতিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে না। অনেক দেশেই এ ধরনের তহবিল আছে। এটা আমাদের বড় প্রয়োজন হয় যখন বিদেশিদের সঙ্গে ম্যাচিং ফান্ড করি, আমাদের ডলার দিতে হয়।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ তহবিলের বহুমুখী ব্যবহার হতে পারে। সরকার জনস্বার্থে যে কোনো বিনিয়োগে এর অর্থ ব্যবহার করতে পারবে। যে কোনো জরুরি প্রয়োজনে কাজে লাগানো যাবে। তিনি বলেন, সার্বভৌম সম্পদ তহবিল গঠনের এ প্রস্তাব পূর্ণাঙ্গ রূপ পাবে আইন ও কাঠামো তৈরির পর। আর আইন হওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।

এ ছাড়া মন্ত্রিসভা বৈঠকে আইএমও কর্তৃক প্রবর্তিত ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর দ্য কন্ট্রোল অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অব শিপ ব্যালাস্ট ওয়াটার অ্যান্ড সেডিমেন্টস (বিডব্লিউএম), ২০০৪-এর খসড়া অনুসমর্থনের প্রস্তাব এবং আইএমও কর্তৃক প্রবর্তিত ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন অন দ্য কন্ট্রোল অব হার্মফুল অ্যান্টি ফ্লোয়িং সিস্টেমস অন শিপ (এএফএস), ২০০১-এর খসড়া অনুসমর্থনের প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানিয়েছেন, এ দুই অনুসমর্থনে স্বাক্ষরের ফলে জাহাজের দূষিত ময়লা বর্জ্য সাগরে ফেলা যাবে না এবং জাহাজের নিচের যে অংশ তাকে পরিবর্তন করতে হবে। মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে বাংলাদেশের মিউচুয়াল ইভ্যালুয়েশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদন গৃহীত হওয়ার প্রক্রিয়া এবং এর ফলাফল সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করেছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান।

এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ আর মানি লন্ডারিং ঝুঁকিতে নেই। বাংলাদেশের অবস্থান এখন আগের চেয়ে অনেক ভালো।

সর্বশেষ খবর