প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের সঙ্গে পাল্টে গেছে অপরাধের ধরন। এখন আর আগের মতো বড় ধরনের খুন, অপহরণ, ডাকাতি বা ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ ঘটছে না। সাইবার ক্রাইম বেড়ে যাওয়ায় তা দমনে সেভাবেই পুলিশকে শক্তিশালী করা হচ্ছে। পুলিশ সদর দফতরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, গত দশ বছরে সারা দেশে অপরাধের ধরন পাল্টে গেছে। এ কারণে পুলিশের কাজে পরিবর্তন আনা হয়েছে। যুগোপযোগী করা হচ্ছে আইন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জঙ্গি তৎপরতা ও সাইবার ক্রাইম বেড়ে যাওয়ায় তা দমনে প্রযুক্তির ওপর বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। এ লক্ষ্যে এক দিকে যেমন জঙ্গি ও সাইবার ক্রাইমের মতো অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশে দক্ষ জনবল তৈরি করা হচ্ছে, তেমনি পুলিশের জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে পুলিশ বাহিনীকে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, দেশে জঙ্গি তৎপরতা ও সাইবার ক্রাইম বন্ধ করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি), পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি), পুলিশ সদর দফতরের (এলআইসি), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ ছাড়া সিআইডির অধীনে গঠন করা হচ্ছে সাইবার পুলিশ সেন্টার। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিআইডির পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, উপ মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) শাহ আলমের নেতৃত্বে পরিচালিত হবে এই সেন্টার। রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদর দফতরে থাকবে এর প্রধান কার্যালয়। এ ছাড়া জঙ্গি দমনে পুলিশে এন্টি টেররিজম ইউনিট নামে আরও একটি নতুন ইউনিট গঠন করা হয়েছে। এই ইউনিটটির সদর দফতর হচ্ছে বারিধারায় আর দায়িত্বে রয়েছেন পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক আবুল কাশেম এবং উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক খন্দকার লুৎফুল কবির। পুলিশে নবগঠিত এই দুটি ইউনিটের কার্যক্রম চালু করার জন্য বিধিমালা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যাচাই-বাছাই চলছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে এসটিএমসি জঙ্গি ও সাইবার ক্রাইমবিষয়ক সব ধরনের তথ্যউপাত্ত দিয়ে সহযোগিতা করে থাকে। সাইবার ক্রাইমের মামলাগুলো তদন্ত করছে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম-সিটিটিসি সাইবার ক্রাইম অ্যান্ড সাইবার সিকিউরিটি ডিভিশন, সিআইডি ও পিবিআই। ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম-সিটিটিসি সাইবার ক্রাইম অ্যান্ড সাইবার সিকিউরিটি ডিভিশনের উপ-পুলিশ কমিশনার এ এফ এম আল কিবরিয়া সাইবার ক্রাইম মামলার পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, ২০১৫ সালে সারা দেশে এই আইনে মামলা হয়েছিল ৬৩৮টি। ২০১৬ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৯৩২টিতে। ২০১৭ সালে এক হাজার ৪৮টি এবং ২০১৮ সালে এক হাজার ১৩৫টি মামলা হয়। তিনি বলেন, এটা শুধু মামলার সংখ্যা। এর বাইরেও অনেক ঘটনা আছে যা মামলা হিসেবে লিপিবদ্ধ হয়নি। তিনি বলেন, সিটিটিসি সাইবার ক্রাইম অ্যান্ড সাইবার সিকিউরিটি ডিভিশনে প্রতিদিন গড়ে দশটি করে অভিযোগ গ্রহণ করা হয়। যারা মামলা করতে চান না তারাই সিটিটিসির কার্যালয়ে হাজির হয়ে কিংবা হ্যালো সিটি অ্যাপ, ফেসবুক পেজ, ই-মেইলে অভিযোগ করে থাকেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
শিরোনাম
- যৌথ বাহিনীর অভিযানে সারা দেশে আটক ২৯ জন
- জয়ের পরই বাবার মৃত্যুর খবর পেলেন লঙ্কান ক্রিকেটার
- বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা
- বাংলাদেশকে নিয়ে শেষ চারে শ্রীলঙ্কা
- সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ ভাতা পুনর্নির্ধারণ
- রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও
- নেপালকে ৪ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
- ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির
- সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না : পুলিশ কমিশনার
- যে সকল ভারতীয়দের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র
- ৯১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে আফগানিস্তান
- জুলাই বিপ্লব পরবর্তীতে র্যাবের কার্যক্রম প্রশংসিত হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- সার সংকটে ঝিনাইদহের কৃষক, উৎপাদন খরচ বাড়ার শঙ্কা
- ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে : প্রেস সচিব
- লিবিয়ায় মাফিয়াদের গুলিতে নিহত মাদারীপুরের যুবক
- ট্রাম্পের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই: ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট
- ফিকি লিডারশিপ একাডেমি চালুর উদ্যোগ
- জাপানের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন তাকাইচি
- শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে ঝিনাইগাতীর মহারশি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর
- বগুড়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৩টি পরিবারের পাশে তারেক রহমান
প্রযুক্তি পাল্টে দিচ্ছে অপরাধের ধরন
আনিস রহমান
প্রিন্ট ভার্সন

টপিক
এই বিভাগের আরও খবর