শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ত্বক ফর্সাকারী পণ্যে পারদে স্বাস্থ্যঝুঁকি

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাজারের ত্বক ফর্সাকারী পণ্যগুলো পাওয়া যাচ্ছে বেশিরভাগই অতি মাত্রায় পারদযুক্ত। এর ফলে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ ঝুঁকি বাড়ছে। এসব পণ্যে পারদ বন্ধে প্রয়োজন সচেতনতা। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক কর্মশালায় এসব কথা বলেন বক্তারা। পরিবেশ অধিদফতর এবং এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন  (এসডো) যৌথভাবে ‘স্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর পারদযুক্ত পণ্যের ক্ষতিকর প্রভাব’ শীর্ষক এ কর্মশালার আয়োজন করে।

এসডোর মহাসচিব ড. শাহরিয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সাবেক সচিব ও এসডোর চেয়ারম্যান সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন। প্যানেল স্পিকার হিসেবে প্রাক্তন অতিরিক্ত আইজিপি মোকলেসুর রহমান এবং বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. রওশান মমতাজ প্রমুখ এতে উপস্থিত ছিলেন। সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ বলেন, যেসব পণ্যে পারদ রয়েছে  সেগুলো প্রত্যাহার করতে হবে। ক্রমেই এর ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে। শুধু আইন করে এটি বন্ধ করা যাবে না। এটি বন্ধে সচেতনতা দরকার। উৎপাদনকারী,  ভোক্তাদেরও সতর্ক হতে হবে। যারা এ ক্ষতিকর পণ্যের প্রসারে কাজ করছে তাদেরও সচেতনতা জরুরি। পারদের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সবার সজাগ থাকতে হবে। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার জন্যই রং ফর্সাকারী ক্রিমের বাণিজ্য বাড়ছে। এ মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। রং ফর্সা বা কালোর পরিবর্তে মেয়েদের গুণাগুণ নাটক, সিনেমায় তুলে ধরতে হবে।

 দিনে দিনে  সৌন্দর্যের সংজ্ঞাই পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। কালো মেয়েরাও তাদের গুণাগুণ, উন্নত চিন্তাধারার ফলে বিশ্বসুন্দরীর  খেতাব পাচ্ছে। সুন্দর মানে চামড়া সুন্দর নয়, বরং সুন্দর মানে ভিতরের সৌন্দর্য। বিভিন্ন প্রসাধনীতে ক্ষতিকর রাসায়নিকের ব্যবহার বন্ধে তিনি সামাজিক আন্দোলনের ওপর জোর দেন।

সর্বশেষ খবর