বুধবার, ১৭ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

জনভোগান্তি তাড়াতাড়ি শেষ হবে না

--- অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুব

জনভোগান্তি তাড়াতাড়ি শেষ হবে না

চলমান করোনা পরিস্থিতিতে জনভোগান্তি শিগগিরই শেষ হবে না বলে মনে করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুব। তিনি বলেন,  বর্তমান পরিস্থিতিতে বর্তমান স্বাস্থ্যবিধি মানুষকে মানতে হবে। সরকারকেও মানাতে বাধ্য করতে হবে। এই দুই পক্ষ যদি ঠিক না থাকে তাহলে তা ওপরওয়ালার হাতেই ছেড়ে দিতে হবে। তবে সামাজিক সংক্রমণ চলছে। সরকার নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে একটা সময় গিয়ে এমনিতেই শেষ হয়ে যাবে। তখন হয়তো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে। তাই সরকারের পক্ষে যতটুকু সম্ভব কমিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে। তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে, জনভোগান্তি তাড়াতাড়ি শেষ হবে না।

গতকাল সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, ১৬ কোটি মানুষের দেশে বর্তমান টেস্টের পরিমাণ কিছুই নয়। এটা বাড়ানো উচিত। তবে সরকারের সক্ষমতা কতটুকু আছে তা জানি না। তবে স্বাস্থ্য বাজেট বাড়ানো হয়নি। এটা করোনা পরিস্থিতির বাজেট হয়নি। যদি সরকার মনে করত, তাহলে স্বাস্থ্য বাজেট বাড়াতে পারত। আরও অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকা এ খাতে দিতে পারত।

এলাকাভিত্তিক লকডাউন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ নিয়ে যারা কাজ করছেন, অবশ্যই তারা একটি ভালো উদ্দেশ্যেই করছেন। তারা জনগণেরও ভালোই চান। কিন্তু বাস্তবায়ন কতটুকু করতে পারবেন তা নিয়ে সংশয় আছে। এত লকডাউন, এত কড়াকড়ির মধ্যেও মানুষ যেভাবে ছুটে চলেছে, তাতে এটুকুই বলব, মানুষের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। যেহেতু তাদের মরণের ভয় নেই, তাই কোনো বাধাই মানছে না। এতে আর কী-ইবা বলার আছে!

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক এই মহাসচিব বলেন, এটা ঠিক, মানুষ যদি স্বাস্থ্যবিধি না মানে, তাহলে এটা শুধু ব্যক্তি-সমস্যাই নয়, রাষ্ট্রীয় সমস্যাও। এত মানুষকে তো আর হাত-পা বেঁধে রাখা সম্ভব নয়। কিন্তু এটাও ঠিক, মানুষ যদি স্বাস্থ্যবিধি না মানে, তাতে বড় ধরনের সমস্যা হয়ে যাবে। আগুনে ঝাঁপ দিলে মৃত্যুমুখে পড়বেই- এটা জানার পর কেউ যদি ঝাঁপ দেয় তাতে কী করার আছে। তবে করোনায় এতে ওই ব্যক্তি নিজেই শুধু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না, পরিবার ও সমাজকেও সে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

সর্বশেষ খবর