আন্তর্জাতিক বাজারে দরপতনের পর দেশের বাজারে সোনার দাম কমতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত ২ আগস্ট থেকে টানা উত্থানের পর অবশেষে ৭ আগস্টে এসে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দামে বড় ধরনের পতন হয়েছে। এদিন বাংলাদেশ সময় রাত আটটার দিকে প্রতি আউন্স সোনা বিক্রি হয় ২০২৮.১১ ডলারে। যা আগের দিনের সবশেষ দামের চেয়ে প্রায় ৪২ ডলার কম। শেষ কর্মদিবসে এসে সোনার দাম কমেছে ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ। সোনার আন্তর্জাতিক বাজারমূল্যের হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়। এর আগে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে দেশের বাজারেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল সোনার দাম।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ২ আগস্ট প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়েছিল ১০ ডলার। এর পরের দিন বেড়েছে ২ ডলার। আর ৪ আগস্ট বেড়েছে ৩৯.৬৫ ডলার। ৫ আগস্ট প্রতি আউন্স সোনার দাম বাড়ে ২৭.১৫ ডলার। ৬ আগস্ট সোনার বাজার থামে ২০৬৫.৪১ ডলারে। এদিন প্রতি আউন্স সোনার দাম বাড়ে ২৩.৩০ ডলার। চলতি বছরের শুরু থেকেই বিশ্ববাজারে সোনার দাম লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে। জুলাই মাসের ২৭ তারিখে এসে এই মূল্যবান ধাতুটি অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ দামের নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করে। তবে এখানেই সোনার দাম বাড়ার প্রবণতা থেমে থাকেনি। গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো দুই হাজার ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করে সোনা। বিশ্ববাজারে সোনার দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে ৬ আগস্ট থেকে দেশের বাজারেও সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী, ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম চার হাজার ৪৩২ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৭ হাজার ২১৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের সোনা ৭৪ হাজার ৬৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের সোনা ৬৫ হাজার ৩১৮ টাকায় ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৫৪ হাজার ৯৯৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যেহেতু বাংলাদেশে সোনার দাম আন্তর্জাতিক বাজারমূল্যের সঙ্গে মিল রেখে ওঠানামা করে, এজন্য আশা করা হচ্ছে খুব শিগগিরই বাংলাদেশেও মূল্যবান এ ধাতুটির দাম কমানো হবে।