শুক্রবার, ২১ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনার উপসর্গে সারা দেশে ২১১০ জনের মৃত্যু : সিজিএস

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ২ হাজার ১১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মাঝে টানা পাঁচ সপ্তাহ বাড়ার পর সাত সপ্তাহ ধরে এমন মৃত্যুর সংখ্যা কমছে। সর্বশেষ সপ্তাহে এমন মৃত্যু হয়েছে ৫৬ জনের। এর আগের সপ্তাহে এটি ছিল ৬৩ জন।

৯ থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ের করোনা পরিস্থিতি তুলে ধরতে গিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ পিস অবজারভেটরি (বিপিও)। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের (সিজিএস) একটি প্রকল্প। জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনডিপির আর্থিক সহায়তায় কয়েকটি বিষয় নিয়ে নিয়মিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে বিপিও। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতি সপ্তাহে একটি প্রতিবেদন দিচ্ছে তারা। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর এক-তৃতীয়াংশ চট্টগ্রাম বিভাগেই। এ বিভাগে মারা গেছেন ৭০৪ জন। ঢাকা বিভাগে ৩৯১ জনের এমন মৃত্যু হয়েছে। খুলনা বিভাগে ৩০৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ২১৬ জন, বরিশালে ২৪১ জন, সিলেটে ১০০ জন, রংপুরে ৯২ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ৬০ জন মারা গেছেন করোনার উপসর্গ নিয়ে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দেশের ২৫টি গণমাধ্যমের সংবাদ বিশ্লেষণ করে গতকাল নতুন প্রতিবেদন দিয়েছে বিপিও। বিপিও বলছে, ৮ মার্চ থেকে করোনার বিষয়ে গণমাধ্যমের প্রকাশিত তথ্য সংগ্রহ করে প্রতি সপ্তাহে একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে। এতে দেখা যায়, ২২ থেকে ২৮ মার্চের সপ্তাহে করোনা উপসর্গ নিয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। পরের সপ্তাহে এটি বেড়ে দাঁড়ায় ৬৩ জনে। এরপর এটি বাড়তে থাকে। এক সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২২২ জনের মৃত্যু হয়েছে গত ২১ থেকে ২৭ জুন। বিপিও গবেষকরা বলছেন, তারা নিয়মিতভাবে তথ্য যাচাই-বাছাই করে সংশোধন করছেন। ফলে প্রকাশিত পুরনো তথ্যও মাঝেমধ্যে পরিবর্তন করা হচ্ছে। এর আগে মে মাসের শেষ প্রতিবেদনে বড় আকারের সংশোধন করা হয়। তখন উপসর্গে মোট মৃত্যুর সংখ্যা আগের চেয়ে কমানো হয়। তবে কয়েক সপ্তাহ ধরে সংশোধনের পর প্রতি সপ্তাহে এটি কিছুটা বাড়ছে। গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, করোনা রোগীর মতো উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেও তারা করোনায় সংক্রমিত না-ও হতে পারেন। একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এসব ক্ষেত্রে পরীক্ষা করে ৮৫ শতাংশের করোনা পাওয়া যায়নি বলেও উল্লেখ করা হয়েছে গবেষণা প্রতিবেদনে। গবেষকরা বলছেন, জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক সংবাদপত্র, টেলিভিশন, অনলাইন মিলে ২৫টি গণমাধ্যম থেকে প্রতিদিন তথ্য নিচ্ছে বিপিও। এরপর এসব তথ্য থেকে মোটামুটি গ্রহণযোগ্যটা চূড়ান্ত করা হচ্ছে। তবে মাঠপর্যায় থেকে এসব তথ্য যাচাই করা হয় না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর