রবিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

কাগজপত্রে মৃত বাস্তবে তিনি জীবিত

দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের গৃহবধূ সহিদা বেগম (৪৮)। এক যুগ আগে মারা যাওয়া স্বামীর অবসর ভাতায় সংসার চলছিল তার। নির্বাচন কমিশনের তালিকায় তাকে (সহিদা) মৃত দেখানোয় ১৪ মাস ধরে স্বামীর অবসর ভাতা উত্তোলন করতে পারছেন না। পাচ্ছেন না অন্য নাগরিক সুবিধাও। ‘মৃত’ সহিদা এখন জীবিত হওয়ার আশায় ঘুরছেন বিভিন্ন দফতরে।

চিরিরবন্দর উপজেলা ভূমি অফিসের চতুর্থ শ্রেণির অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আবদুলপুর ইউনিয়নের নান্দেড়াই গ্রামের বাসিন্দা মৃত ফজিরউদ্দিনের স্ত্রী সহিদা বেগম। বাস্তবে জীবিত থাকলেও ভোটার তালিকায় তিনি মৃত। সহিদার একমাত্র       ছেলে সহিদুল ইসলাম ভ্যান চালিয়ে সংসার চালান। সহিদা বলেন, আমার স্বামী মারা গেছেন প্রায় এক যুগ আগে। তার মৃত্যুর পর আমি অবসর ভাতা তুলে কোনোভাবে সংসার চালাতাম। আগে পাস বইয়ের মাধ্যমে টাকা তুলতাম। গত বছর পাস বইয়ের স্থলে ব্যাংকে গিয়ে টাকা উত্তোলনের নিয়ম চালু হয়। ব্যাংকে গিয়ে জানা যায়, আমাকে মৃত হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। আইডি কার্ড অনলাইনে সাপোর্ট নিচ্ছে না এবং মৃত দেখাচ্ছে। ফলে অবসর ভাতা থেকে বঞ্চিত হন। পরে নির্বাচন অফিসে গেলে ইউপি চেয়ারম্যানের প্রত্যয়নপত্র, ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি, পাস বই, ব্যাংকের চেকবইসহ যাবতীয় কাগজপত্র জমা দিতে বলে। নির্বাচন অফিস থেকে বিষয়টি সংশোধন করে দেওয়ার কথা বললেও এখন সংশোধন হয়নি। আমি জীবিত আছি, অথচ কমিশনের এমন ভুলের কারণে ১৪ মাস ধরে ভাতা তুলতে পারছি না। স্থানীয় আবদুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান ময়েনউদ্দিন শাহ্ বলেন, ওই মহিলার নাম ভোটার তালিকা থেকে ভুলবশত কর্তন করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে জীবিত ও সুস্থ আছেন। চিরিরবন্দর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল মালেক জানান, গত ২০ জানুয়ারি ভোটার তালিকায় ওই মহিলার নাম পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ঢাকা আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অণুবিভাগের মহাপরিচালক বরাবর পত্র পাঠানো হয়েছে। এখনো জবাব আসেনি। দ্রুত সমস্যা সমাধান হয়, সেই চেষ্টা করছি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর