শনিবার, ১৯ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

গাজীপুরের দুঃখ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক

ছুটির দিনেও যানজট ভোগান্তি জমেছে পানি

গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরের দুঃখ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়কে বিআরটি প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ চলার কারণে দীর্ঘদিন ধরে এ পথে চলাচলকারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে -বাংলাদেশ প্রতিদিন

বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েছেন টঙ্গী থেকে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা হয়ে চলাচলকারী যানবাহন ও যাত্রী সাধারণ। বৃষ্টির কারণে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে পানি জমায় যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। যে কারণে শুক্রবার ছুটির দিন থাকলেও সকাল থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যানজটের সৃষ্টি হয়। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়কে বিআরটি প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ চলার কারণে দীর্ঘদিন ধরে এ পথে চলাচলকারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়কের দুই পাশ দিয়ে ড্রেন নির্মাণ করা হলেও সেগুলো দিয়ে সামান্য বৃষ্টি হলেই দ্রুত পানি নিষ্কাশন হতে না পেরে মহাসড়কে পানি জমে যায়। গাজীপুর মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এবং শুক্রবার সকালে টানা ঘন্টাখানেক বৃষ্টির কারণে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে যায়। এর মধ্যে ওই মহাসড়কের গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা, ভোগড়া বাইপাস বাসনসড়ক মোড়, বোর্ডবাজার, কুনিয়া তারাগাছ, টঙ্গীর চেরাগ আলী, স্টেশন রোড, আনারকলি মধুমিতাসহ কয়েকটি এলাকায় পানি জমে যায়। এতে মহাসড়কের ওইসব স্থানসহ অন্যান্য এলাকা হয়ে যানবাহন স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারেনি। ছুটির দিন থাকায় সকালে যানবাহনের চাপ না থাকলেও সড়কে পানি জমে যাওয়ায় বিভিন্ন পয়েন্টে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়। মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যানবাহন আটকা পড়ে। এতে কর্মস্থলে যাওয়া মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েন। এদিকে মহাসড়কে পানি জমে যাওয়ার সংবাদ পেয়ে সকাল থেকেই বিআরটি প্রকল্পের লোকজন মহাসড়কের দুই পাশের ড্রেনগুলো পরিষ্কার করে পানি সরিয়ে দিতে কাজ শুরু করেন। সকাল সাড়ে ৯টার পর থেকে কিছু এলাকার পানি সরে যাওয়ার পর যান চলাচলে গতি বাড়ে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার মো. আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা ও বাইপাস মোড় সংলগ্ন এলাকা, কুনিয়া তারগাছ, টঙ্গীর আনারকলি মধুমিতা এলাকায় বৃষ্টির পানি বেশি জমে যায়। সকাল সোয়া ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত মহাসড়কের ওইসব স্থানে পানি বেশি ছিল। তবে অন্যান্য স্থানের পানি সরে যাওয়ার পর যান চলাচলের গতি বাড়ে এবং যানজট কেটে যায়। কিন্তু টঙ্গীর আনারকলি মধুমিতা এলাকার রাস্তার পানি পুরাপুরি না সরার কারণে বিকাল পর্যন্ত ওই এলাকায় থেমে থেমে যানজট ছিল। আনারকলি মধুমিতা এলাকার সড়কে জমে থাকা পানি সরানোর কাজ বিকালেও করছিল বিআরটির লোকজন। রাস্তার পানি পুরোপুরি সরে গেলেই যান চলাচলের গতি বাড়বে। ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা মহাসড়কের যানজট নিরসনে বিভিন্ন স্থানে কাজ করতে দেখা যায়।

সর্বশেষ খবর