রবিবার, ২ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

ভালো আইন আছে কিন্তু প্রয়োগ নেই

সালমা আলী

ভালো আইন আছে কিন্তু প্রয়োগ নেই

‘নারী নির্যাতন প্রতিরোধে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আমাদের ভালো কিছু আইন আছে কিন্তু তার প্রয়োগ নেই। নারীর বিচার প্রাপ্তিতে যে সহজলভ্যতা তা-ও নিশ্চিত করা যায়নি।’ বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা আলী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব কথা বলেন।

সালমা আলী বলেন, ‘পারিবারিক নির্যাতন রোধে ভালো একটি আইন হয়েছে কিন্তু তার কোনো প্রয়োগ নেই।  বিশেষ করে জেলা পর্যায়ে যে মহিলাবিষয়ক কমকর্তারা আছেন, যাদের আমরা বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছি কীভাবে স্বামী-স্ত্রীর মিল করে দেওয়া যায় বা প্রটেকশন অর্ডার এসব বিষয়ে তাদের মাঠপর্যায়ে মানুষকে সচেতন করার বিষয়টি দেখা যাচ্ছে না। এটি এখনো আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।’

তিনি বলেন, ‘ধর্ষণের মতো মামলাগুলো বৃদ্ধি পেয়েছে। সে ক্ষেত্রে বেগমগঞ্জের মতো একটি-দুটি মামলায় বিচার পেয়েছি। হয়তো এটি ভাইরাল হওয়াতেই বিচার পেয়েছি। সমস্যা হচ্ছে আইন আছে কিন্তু এর প্রয়োগ হবে কি না সেখানেই মূল চ্যালেঞ্জ। এজন্য আমাদের গণতন্ত্র টেকসই করতে হবে এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি থাকবে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আইন মন্ত্রণালয় থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে বাজেট বরাদ্দ, ট্রাইব্যুনালগুলোয় পর্যাপ্ত বিচারক নিয়োগ ও সংশ্লিষ্টদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করতে হবে। এত বছর ধরে কাজ করে আসার পরও কেন নারী নির্যাতন প্রতিরোধে আমরা পিছিয়ে আছি? বিচার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে এখনো নারীর সহজগম্যতা নেই।’ সালমা আলী বলেন, ‘সংবিধানের ১১১ ধারা অনুযায়ী উচ্চ আদালতের সব জাজমেন্ট একটি আইন, যতক্ষণ পর্যন্ত এখানে আইন না থাকবে। প্রশ্ন হচ্ছে, আইন মন্ত্রণালয় উচ্চ আদালতের সেই জাজমেন্ট ধরে সেই কাজগুলো কি করেছে? যৌন হয়রানি রোধে যে কমিটি গঠনের কথা তা কি করা হয়েছে? এখানে আইন মন্ত্রণালয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় সবার দায়িত্ব আছে। আবার কর্মক্ষেত্রগুলোয় এ-সংক্রান্ত কমিটি তৈরি হয়েছে কি না তা-ও দেখা উচিত। যৌন হয়রানির জন্য আমরা একটি বিশেষ আইন চেয়েছিলাম। আর এ আইন যৌন হয়রানি প্রতিরোধের জন্য কিন্তু আমাদের এ নির্দেশনাগুলো গুরুত্ব দিচ্ছে না।’

 

সর্বশেষ খবর