আলোর ঝলকানিতে দ্যুতি ছড়াচ্ছিল শিল্পের সুষমা। শাস্ত্রীয় নাচের সঙ্গে গানের সুরের সংযোগে অনন্য হয়ে উঠে মাঘের হিমেল সন্ধ্যা। শিল্পীদের নাচের মুগ্ধতায় বিমোহিত ছিল মিলনায়তনের দর্শক-শ্রোতারা। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে চলমান জাতীয় নৃত্য উৎসবের দ্বিতীয় দিনে এমন দৃশ্যকল্পই চিত্রিত করেছিলেন নৃত্যশিল্পীরা।
মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘ড্যান্স এগেইনস্ট করোনা’ শীর্ষক তিন দিনের এই উৎসবের আয়োজন করেছে শিল্পকলা একাডেমি। গতকাল ৭৫টি নৃত্যদলের অংশগ্রহণে তিন দিনের এই উৎসবের দ্বিতীয় দিনে অংশ নেয় নৃত্যালোক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ধীনা ড্যান্স একাডেমি, ধৃতি নর্তনালয়, নৃত্যাঙ্গন নৃত্যকলা, নৃত্যাশ্রম, একাডেমি ফর মনিপুরী কালচার অ্যান্ড আর্টস, কত্থক নৃত্য সম্প্রদায়, ধ্রুপদালোক, নর্ত্তন, ঘাস ফুল নদী, দীক্ষা, নৃত্যকথা, কং নৃত্যালয়, নৃত্যাঙ্গন, সপ্তস্বর সংগীত বিদ্যাপাঠ, নিশুতি, ধ্রুপদী নৃত্যালয়, নৃত্যাক্ষ, নবরস, স্পন্দন, শিখর কালচারাল অর্গানাইজেশন ও ম্যাশ মাহাবুব কোরিওগ্রাফি টিম। পরিচয় ধানমন্ডি ৩২, গণমাধ্যমে মুজিব, বঙ্গবন্ধুর বিজয় উল্লাস, জাতির পিতা আসুন আরেকটি বার, সোনার বাংলার সোনার ছেলে আমার বঙ্গবন্ধু বৈচিত্র্যে সৌন্দর্যে স্বাধীনতা, জয়ের আলোকবর্তিকা, আবার আসিব ফিরে, বঙ্গমাতা, নারীর মুক্তিযুদ্ধ, প্রদীপ্ত অগ্নি শিখা, আলোর পথযাত্রী এ রকম চেতনা জাগানিয়া গানের সঙ্গে নৃত্যের খেলায় শিল্পকলা একাডেমির এই উৎসবকে অনন্য করে তোলেন শিল্পীরা। আজ শনিবার শেষ হবে তিন দিনের এই নৃত্য উৎসব।