শিরোনাম
শুক্রবার, ১ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

নতুন করে বন্যায় উৎকণ্ঠা

পানি বাড়ছে বিভিন্ন স্থানে সংকট খাবারের

প্রতিদিন ডেস্ক

নতুন করে বন্যায় উৎকণ্ঠা

লালমনিরহাটে পানিতে তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

কুড়িগ্রামে নদনদীর পানি বেড়ে নতুন করে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৪০ হাজার মানুষ। সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বাড়ছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের হিসাব মতে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ৬৫ হাজার ৪৫০ কৃষকের ১৪০ কোটি ৫০ লাখ ৬৬ হাজার টাকার ফসল নষ্ট হয়েছে। বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি আবারও বাড়তে শুরু করেছে। বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে ৮ শতাধিক পরিবার। বাড়ছে দিনাজপুরের ছোট-বড় সব নদীর পানিও। লালমনিরহাটে উজানের ঢলে ফুঁসে উঠেছে তিস্তা ধরলা। নেত্রকোনা জেলার প্রায় সাড়ে ৫ লাখ মানুষ এখনো পানিবন্দি। সিলেটে ধীরগতিতে পানি নামায় দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। প্রতিনিধি ও নিজস্ব প্রতিবেদকের পাঠানো খবর-

কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামে দ্বিতীয় দফা বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড গতকাল দুপুরে জানায়, ধরলা নদীর সেতু পয়েন্টে পানি বেড়ে বিপৎসীমার ১২ সে.মি ও শিমুলবাড়ি পয়েন্টে ১৪ সে.মি এবং দুধকুমোর নদের পানি বেড়ে বিপৎসীমার ১০ সে.মি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এসব নদনদীর অববাহিকার নিম্নাঞ্চলে ফের পানি উঠছে। চর ও দ্বীপচরের নিম্নাঞ্চলগুলো আবারও ডুবছে। দ্বিতীয় দফা বন্যায় পাট খেতের ক্ষতি নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।  জেলার নাগেশ্বরী, ফুলবাড়ী, কুড়িগ্রাম সদর ও উলিপুর উপজেলার অন্তত ৫০টি চর ও এর নিম্নাঞ্চলের কিছু এলাকা আবারও প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ৪০ হাজার মানুষ।

সিরাজগঞ্জ : গত দুই দিন যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ ও কাজিপুর পয়েন্টে বাড়ছে। জেলার পাঁচটি উপজেলার ৭ হাজার ৭৪১ দশমিক ৫০ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। ভাঙনে প্রায় ১ হাজার বসতভিটাসহ শতাধিক ফসলি জমি সম্পূর্ণ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

বগুড়া : সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি আবারও বাড়তে শুরু করেছে। বাঁধে আশ্রয় নিয়ে আছে ৮ শতাধিক পরিবার।

নেত্রকোনা : জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ সূত্রে জানা গেছে, জেলার ১০ উপজেলার ৮৪টি ইউনিয়নের ৭৭টিই প্লাবিত হওয়ায় পানিবন্দি প্রায় সাড়ে ৫ লাখ মানুষ। ৭৮টি মেডিকেল টিম রয়েছে মাঠে।

দিনাজপুর : দিনাজপুরের ছোট-বড় সব নদীতেই পানি বাড়ছে। নদী-তীরবর্তী এলাকায় বসবাসকারী পরিবারগুলো পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

লালমনিরহাট : উজানের ঢলে ফুঁসে উঠেছে তিস্তা ধরলা নদী। তিস্তার পানি ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে ও ধরলার পানি কুলাঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাউবোর ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা বলেন, পানির চাপ সামলাতে ব্যারাজের ৪৪টি কপাট খুলে রাখা হয়েছে।

সিলেট : সিলেটে বন্যার পানি ধীরগতিতে নামায় মানুষের দুর্ভোগও বাড়ছে। কুশিয়ারা তীরবর্তী জকিগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ, বালাগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, বিয়ানীবাজার ও ওসমানীনগর উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা এখনো বন্যাকবলিত রয়েছে। কিছু কিছু গ্রামীণ রাস্তাঘাট থেকে পানি নামলেও বাড়িঘরে এখনো পানি রয়েছে। এসব এলাকায় খাবার ও পানীয়র তীব্র সংকট রয়েছে। ডায়রিয়া ও চর্মরোগসহ পানিবাহিত নানা ধরনের রোগবালাই দেখা দেওয়ায় চিকিৎসা সংকটও তৈরি হয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে ১৪০টি মেডিকেল টিম কাজ করছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর