দেশে অভিভাবকদের এখন প্যারেন্টিং শিখতে হচ্ছে। কারণ যে সন্তানটি ভিডিও গেমে আসক্ত তাকে এ থেকে কীভাবে মুক্ত করতে হবে তা মা-বাবাকে শিখতে হচ্ছে। ব্যস্ত থাকার কারণে অভিভাবকরা যখন সন্তানকে সময় দিতে পারছেন না তখন তারা বিভিন্ন ভিডিও গেমে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। আর এ অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই সেই সন্তানরা সমাজের কোনো কাজে আসছে না। অভিভাবকদের সঙ্গে এখন সন্তানদের সম্পর্ক ‘গিভ অ্যান্ড টেক’-এর মতো হয়ে গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসন খন্দকার ফারজানা রহমান গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব কথা বলেন। এই অধ্যাপক বলেন, কিশোররা যাতে অপরাধে জড়াতে না পারে সে জন্য যে পরিবেশ তৈরি প্রয়োজন তা বাংলাদেশে নেই। রাজধানীসহ সারা দেশে বেশ কয়েক বছর ধরেই কিশোর অপরাধের বিষয়টি ‘টক অব দ্য টাউন’। আমাদের সমাজে এখন সামাজিক স্ট্যাটাস নির্ধারণের বড় নিয়ামক হচ্ছে অর্থ ও রাজনীতি। আমাদের দেশে শিক্ষকের ইমেজ এমন যে, তার হয়তো টাকা-পয়সা কম থাকবে কিন্তু তাকে আমরা সম্মান করব। কিন্তু এখন ভালো চরিত্র সামাজিক স্ট্যাটাস নির্ধারণের নির্ণায়ক নয়। এ জন্য এখন কোনো শিক্ষক ভালো মানুষ হলেও তাকে সম্মান করা ছাত্রদের জন্য যেন জরুরি নয়। আমাদের সামাজিক ব্যবস্থাতেই আমরা দেখছি যে ছেলে-মেয়েরা বড় হওয়ার সময় তারা যেসব সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সংস্পর্শে আসে- পরিবার, স্কুল-কলেজ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান- সব স্থানেই একজন মানুষকে মূল্যায়ন করার মূল চাবিকাঠি হচ্ছে রাজনীতি ও অর্থ। এ কারণে এখনকার প্রজন্মের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই মানবিক গুণ, যেমন- ধৈর্য, স্থিরতা, মানুষকে সম্মান করা এই বিষয়গুলো খুব কম থাকে। কারণ তাদের পরিবারেও এর চর্চা কম করা হয়। তিনি বলেন, এখন মা-বাবা দুজনই কর্মজীবী হওয়ায় সন্তানরা সামাজিক মূল্যবোধগুলো শিখে বড় হচ্ছে না। আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও প্রচণ্ড দলাদলি, রাজনীতি থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা এসব মূল্যবোধ শিখতে পারছে না। এ জন্য সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোই দায়ী। বাইরের দেশে শিক্ষার্থীরা স্কুলের পরও এক্সট্রা কারিকুলাম বিষয়ে শিক্ষা নেয়। তাদের বিভিন্ন সামাজিক দায়িত্ব বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হয়। কিন্তু এ বিষয়গুলো আমাদের মূলধারার পাঠ্যসূচিতে নেই। শুধু গৎবাঁধা কিছু শিক্ষা নিয়ে শিশুদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব নয়। পরিবার ছাড়া এখন সবকিছুই রাজনীতিকরণ হয়ে গেছে। ফলে যে শিশুদের হাতে এখন অর্থ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর পেট্রোনাইজেশন আছে, তারা অল্প বয়সেই অনেক কিছু পেয়ে যায়। কিশোর বয়সী ছেলে-মেয়েদের হাতে হঠাৎ করে টাকা চলে এলে সে বুঝবে না আসলে এ অর্থ দিয়ে কী করবে। আর হঠাৎ চলে আসা এই টাকা দিয়ে কিশোররা হিরোইজম দেখাতে শুরু করে। টাকা দিয়ে মাদক কেনা, বাইক চালানোর মতো কাজ শুরু করে। এই সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে না পারলে সমাজ থেকে কিশোর গ্যাং কালচার দূর করা যাবে না।
শিরোনাম
- মুরাদনগরে ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে নতুন যে তথ্য দিল র্যাব
- প্রতিদিন ৪০ আত্মহত্যা: চামড়া ও চেহারার যুদ্ধ দক্ষিণ কোরিয়ায়
- ডেলিভারিম্যান সেজে তরুণীকে ধর্ষণ
- চীন নয়, আমিরাতও নয়- তালেবানকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল রাশিয়া!
- গাজায় গণহত্যায় ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েল
- ৮ অস্কারজয়ী স্টুডিও এক ছবিতে, বাজেট শুনে প্রোডিউসাররাও অবাক
- ‘ক্ষমা চাইলেন পরেশ’
- হাসপাতালে স্বস্তিকা
- পাবনায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৩
- চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নিহত ২
- আবুধাবিতে সাড়ে ৮৩ কোটি টাকার লটারি জিতলেন প্রবাসী বাংলাদেশি
- দৈনিক কোটি টাকার চাঁদাবাজি
- আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি বেড়েছে ২১০০ কোটি টাকা
- এবার নির্বাচনে সেনাবাহিনীই ভরসা
- পিআর : দেশ কতটা প্রস্তুত
- বাবার হাত ছেড়ে রাস্তা পার হতে গিয়ে গাড়িচাপায় সন্তানের মৃত্যু
- বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এসিড নিক্ষেপ, দুই নারী ও শিশু দগ্ধ
- এনএসডিএ'র নির্বাহী চেয়ারম্যান হলেন রেহানা পারভীন
- নারী পাচারে টোপ ‘ভালো চাকরি’
- মুগদায় ছিনতাইকারী সন্দেহে গণপিটুনি, হাসপাতালে তরুণের মৃত্যু
অভিভাবকের সঙ্গে সন্তানের গিভ অ্যান্ড টেক সম্পর্ক
খন্দকার ফারজানা রহমান
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর