বুধবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

দাম আড়াই ভাগ পর্যন্ত কমার সুযোগ দেওয়া হোক

-আবু আহমেদ

দাম আড়াই ভাগ পর্যন্ত কমার সুযোগ দেওয়া হোক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেছেন, ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া ১৬৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ শতকরা ১ ভাগ কমার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এটাকে সব কোম্পানির ক্ষেত্রে আড়াই ভাগ পর্যন্ত করা হোক।

গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে পুঁজিবাজারের সার্বিক অবস্থা নিয়ে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

আবু আহমেদ বলেন, দাম আড়াই ভাগ পর্যন্ত কমার সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি ব্লক মার্কেটে শেয়ার কেনাবেচার পরিমাণ ৫ লাখ টাকার পরিবর্তে ২ লাখ নির্ধারণ করে দেওয়া হোক। ফলে যাদের পুঁজি              কম তারাও লেনদেন করতে পারবেন। তাহলে লেনদেন বাড়বে। একটা পর্যায়ে তো ফ্লোর প্রাইস তুলেই নিতে হবে। আমার একাডেমিক ধারণা বা পুঁজিবাজারকে যেভাবে দেখি সেটা থেকে আমার এই মতামত। তিনি আরও বলেন, একটা পর্যায়ে বড় বিনিয়োগকারী বা উদ্যোক্তারা বলবে বেচাকেনা করতে পারছি না। সারা বিশ্বই যুদ্ধ আক্রান্ত হয়েছে। তেলের দাম সব জায়গায়ই বাড়ছে। কোনো দেশই দেয়নি ফ্লোর প্রাইস। এর নেতিবাচক দিকগুলোও চিন্তা করতে হবে। অনেকের ভয় কাজ করে বাজার পড়ে যেতে পারে উল্লেখ করে অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদ বলেন, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আর পড়লেও যেগুলো পড়ার সেগুলো পড়বে। ভালো শেয়ারগুলো অতটা পড়বে না। সেগুলো ওঠেওনি। যারা বিনিয়োগ করতে চায় তাদের জন্য তখন অনেক শেয়ার থাকবে। চাহিদা ও সরবরাহ মুক্তভাবে উঠানামা করতে দেওয়া উচিত। এটা বন্ধ করলেই ক্ষতিটা হবে। এখন অনেকেই আটকে গেছে। তারা আবার ঋণ করেছে। ঋণ করে বিনিয়োগ সৃষ্টি হয় না। ঋণ করে যারা লাভের পেছনে দৌড়ান বা জুয়া খেলেন এ নিয়ে তিনি বলেন, একটা শেয়ার যেখানে আছে এক মাসের মধ্যে দাম দ্বিগুণ করেছে। ওটা তো কোম্পানির আয়ের সঙ্গে সংযুক্ত না। ওটা তো পড়েই যাবে না। ওটাই এখন অসুবিধা সৃষ্টি করছে। অনেকেই বলছে মার্জিনের নিচে নেমে যাওয়ায় আমাদের ইক্যুইটি নেগেটিভ হয়ে যাবে। একদিকে মূলধন কমে গেছে। অন্যদিকে যারা বিনিয়োগ করার তারা সেটা করছে না। তারা মনে করছে এই দামে বিনিয়োগ করা ঠিক হবে না। আবার সুদের হার বাড়লে শেয়ারবাজারটা নিচের দিকে অ্যাডজাস্ট হবে। অর্থনীতিতে সুদের হারও বাড়ছে। ব্যাংকগুলোর তারল্য কম। বিনিয়োগ করতে পারতেছে না। সব মিলিয়ে তহবিল সরবরাহ কমে গেছে। আইসিবি যদি হস্তক্ষেপ করে অনেক শেয়ার কিনে তাহলে কিছুদিনের জন্য হলেও দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকবে। সেটা তো আইসিবি করছে না বা করবেও না। এটা সরকার চেষ্টা করে দেখতে পারে। মার্কেট অচল হয়ে গেল কার্যত ফ্লোর প্রাইসের কারণে।

সর্বশেষ খবর