রবিবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

প্রচারণা জমেছে উপনির্বাচনে

প্রতিদিন ডেস্ক

জাতীয় সংসদের উপনির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ভোটের প্রচারণাও তত জমে উঠছে। প্রার্থীরা নানা কথামালায় নিজ নিজ পক্ষে ভোট প্রার্থনা করে চলেছেন। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো বিবরণ-

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ ভাসানী বলেছেন, ‘জাতীয় পার্টি গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় নিয়ামক। জাতীয় পার্টি মহাজোটের শরিক দল হয়েও বিরোধী দলের দায়িত্ব নিয়ে সংসদ কার্যকর রেখেছে। অথচ এখানকার স্থানীয় আওয়ামী লীগ উল্টো পথে হাঁটছে। ৪০ বছর ধরে যে লোকটি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বিরুদ্ধে কথা বললেন, তারা আজ তাকে নিয়েই নাচছে। জাতির জনকের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এমন নির্দেশ দিয়েছেন বলে আমি বিশ্বাস করি না।’ তিনি বলেন, ‘আশুগঞ্জ-সরাইলের মানুষ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদকে ভালোবাসেন। তারা লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দিতে চান। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে লাঙ্গল বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে।’

আশুগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারণা শেষে শুক্রবার রাত ১০টায় আশুগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তার সঙ্গে আশুগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মেরাজুল হক সিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন মুন্সী, উপজেলা জাপা নেতা জামাল আহমেদ, উজ্জ্বল মিয়াসহ জাতীয় পার্টির স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভায় জাপা প্রার্থী আরও বলেন, ‘আশুগঞ্জ-সরাইলের ব্যাপক অর্থনৈতিক গুরুত্ব থাকলেও আমরা বরাবরই উন্নয়নবঞ্চিত। আমাদের বয়োজ্যেষ্ঠ নেতা উকিল আবদুস সাত্তার বারবার এমপি-মন্ত্রী হয়েও এলাকার কাক্সিক্ষত উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারেননি। তাই মানুষ পরিবর্তন চায়।’ তিনি বলেন, ‘স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রচারণায় মানুষ কেন্দ্রে যেতে নিরুৎসাহ হচ্ছে। তারা অবলীলায় বক্তৃতা-বিবৃতিতে বলে বেড়াচ্ছে, সাত্তার সাহেব আবার এমপি হয়েই গেছেন। তাহলে আর ভোটের কী প্রয়োজন রয়েছে? ডিক্লেয়ার দিয়ে দিলেই হয়!’ তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, নির্বাচনে কোনোরূপ অনিয়ম বা ইঞ্জিনিয়ারিং করলে নির্বাচন কমিশন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি সরকারকেও দায় নিতে হবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও ৩ আসনে মোট ভোটার ৮ লাখ ১৬ হাজার ৯৪৫ জন। নয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৫ হাজার ৪৫০ জন। পুরুষ ২ লাখ ১ হাজার ১৭০, নারী ২ লাখ ৪ হাজার ২৮০ জন। তারা ১৮০ কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ছয়জন। তারা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মুহা. জিয়াউর রহমান (নৌকা), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী খুরশিদ আলম বাচ্চু (মাথাল) ও রাজশাহী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার (আপেল); জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক (লাঙ্গল), বিএনএফের নবিউল ইসলাম (টেলিভিশন) ও জাকের পার্টির গোলাম মোস্তফা (গোলাপ ফুল)। অন্যদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ১১ হাজার ৪৯৫ জন। পুরুষ ২ লাখ ৮ হাজার ৮৮৩, নারী ২ লাখ ৫ হাজার ৬১২ জন। তারা ১৭২ কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনজন- জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল ওদুদ (নৌকা), স্বতন্ত্র ও গত পৌর নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী হয়ে বহিষ্কৃত সাবেক যুবলীগ নেতা মো. সামিউল হক লিটন (আপেল) ও বিএনএফের কামরুজ্জামান (টেলিভিশন)। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের রিটার্নিং ও আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেন এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের রিটার্নিং অফিসার জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান জানান, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত শান্ত পরিবেশ বজায় রয়েছে। তাঁরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কেন্দ্রে এসে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে ভোটারদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

 

সর্বশেষ খবর