শুক্রবার, ৩ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

নানা রোগে আক্রান্ত বাড়ছে

এম আলমগীর চৌধুরী

নানা রোগে আক্রান্ত বাড়ছে

আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এম আলমগীর চৌধুরী বলেছেন, শ্রবণশক্তির সমস্যায় ভোগা মানুষের সংখ্যা ক্রমে বাড়ছে। অসংখ্য মানুষ এখন হিয়ারিং এইড ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন। শব্দদূষণের কারণেই বাড়ছে বধির মানুষ। এ ছাড়া শব্দদূষণের কারণে স্মৃতি লোপ, হাইপারটেনশন, এমনকি ব্রেন টিউমারসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, শব্দদূষণে প্রথম আক্রান্ত হয় কান বা শ্রবণশক্তি। এতে বধিরতা সৃষ্টি হয়। এর পরই আক্রান্ত হয় মস্তিষ্ক। দীর্ঘ সময় উচ্চ শব্দের মধ্যে থাকলে কম শোনা, মাথা ঘোরাসহ নানা শারীরিক সমস্যা তৈরি হয়। দৈনিক ছয় ঘণ্টার বেশি উচ্চ শব্দের মধ্যে টানা পাঁচ-সাত বছর থাকলে স্থায়ীভাবে বধিরতা সৃষ্টি হতে পারে। কানের ভিতরের রিসেপ্টর শব্দতরঙ্গ ধারণ করে ককলিয়ার নার্ভের মাধ্যমে মস্তিষ্কে পাঠায়। দীর্ঘদিন অতিরিক্ত শব্দ এ রিসেপ্টরকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। দিনের পর দিন লম্বা সময় ধরে কেউ ৭০ ডেসিবলের ওপর শব্দের মধ্যে থাকলে তার শ্রবণশক্তি ক্রমেই কমতে থাকে। সারাক্ষণ হর্ন বাজানো গাড়িচালক নিজেই সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার। এ ছাড়া মোবাইলের ভলিউম বাড়িয়ে দীর্ঘ সময় কথা বললে কানের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। শহরে সবচেয়ে বেশি শব্দদূষণ ঘটাচ্ছে গাড়ির হর্ন। কনসার্ট, হাইড্রোলিক হর্ন, অ্যাম্বুলেন্সের হর্ন, নির্মাণকাজে পাথর ভাঙা, টাইলস ও রড কাটায় উচ্চমাত্রার শব্দদূষণ হচ্ছে। আবাসিক এলাকায় ঘরের ভিতরে থেকেও গাড়ির হর্ন, নির্মাণকাজ বা মাইকের শব্দে মানুষ শব্দদূষণের শিকার হচ্ছে। নাক-কান-গলা বিভাগের এই চিকিৎসক বলেন, বিমানবন্দর, শব্দযুক্ত কল-কারখানা, হেভি ট্রাফিক পয়েন্টে কানে ইয়ারপ্লাগ লাগালে শব্দ দূষণ শতকরা ৩০ ভাগ কমে যায়। মোবাইলের ভলিউম ৭৫ ভাগের নিচে রাখা উচিত। আবাসিক এলাকা, হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ এলাকায় গাড়ির অপ্রয়োজনীয় হর্ন বাজানো উচিত নয়। হাইড্রোলিক হর্ন পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা দরকার।

সর্বশেষ খবর