শনিবার, ১১ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিশ্বের ২৫তম ধনী গৌতম আদানি

প্রতিদিন ডেস্ক

বিশ্বের ২৫তম ধনী গৌতম আদানি

ভারতের অন্যতম শীর্ষ ধনী গৌতম আদানি এখন বিশ্বের ২৫তম ধনী। ফোর্বস ম্যাগাজিনের তথ্যানুসারে, বৃহস্পতিবার দিন শেষে তার সম্পদের মূল্য বেড়েছে ১৩৩ মিলিয়ন বা ১৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার। ফলে এখন তার সম্পদমূল্য ৪৬ দশমিক ৭ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৬৭০ কোটি ডলার। সূত্র : রয়টার্স।

হিনডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর গৌতম আদানির সাজানো বাগান রীতিমতো লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। গত ২৪ জানুয়ারি এই প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়, নানা ধরনের জালিয়াতির মাধ্যমে    গৌতম আদানি তার মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বৃদ্ধি করেছেন। ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিনডেনবার্গ প্রতিবেদন প্রকাশের জেরে গৌতম আদানি গোষ্ঠীর বাজার মূলধন ১৫৩ বিলিয়ন বা ১৫ হাজার ৩০০ কোটি ডলার কমে গেছে। হিনডেনবার্গ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মরিশাসে ভুয়া কোম্পানি সংস্থা খুলে ঘুরপথে আদানি গোষ্ঠীতে বিনিয়োগ করেছেন গৌতম আদানির ভাই বিনোদ আদানি। অভিযোগ, বিদেশে আদানি গোষ্ঠীর যাবতীয় লেনদেন সামলাতেন আড়ালে থাকতে পছন্দ করা এই বিনোদ আদানি। তার কোম্পানির হাত ধরেই শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সেবির নিয়ম এড়িয়ে ভুয়া লেনদেনের মাধ্যমে অর্থ ঢুকেছে ভারতে আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন কোম্পানিতে। শুধু তা-ই নয়, হিনডেনবার্গের অভিযোগ আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন শেয়ারে বিনিয়োগের বদলে রাশিয়ার বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ২৪ কোটি ডলারের বেশি ঋণ নিয়েছেন বিনোদ, যা ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়নি। আদানিরা অবশ্য আগেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। হিনডেনবার্গের প্রতিবেদনে ৫০ বারের বেশি এসেছে গৌতম আদানির নাম। অথচ বিনোদ আদানির নাম এসেছে ১৫১ বার। গ্লোবাল ট্যাক্স জাস্টিস নেটওয়ার্কের তথ্যানুসারে, বিশ্বের ট্যাক্স হ্যাভেন বা যেসব স্থানে সামান্য কর দিয়ে ব্যবসা করা যায়, এমন অঞ্চলগুলো দিয়ে যে পরিমাণ অর্থ প্রবাহিত হয়, তার ২ দশমিক ৩ শতাংশ যায় মরিশাস হয়ে। সবচেয়ে বেশি প্রবাহিত হয় ব্রিটিশ ভার্জিনিয়া আইল্যান্ড দিয়ে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। কিন্তু মরিশাসকে ট্যাক্স হ্যাভেন আখ্যা দেওয়া অন্যায্য বলে মনে করেন দেশটির অর্থমন্ত্রী মহেন কুমার সেরাতান। সম্প্রতি ভারত সফরে এসে এনডিটিভির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, মরিশাস এমন কিছু করে না, যার কারণে কর ফাঁকি উৎসাহিত হয়। সে দেশেও আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আছে। ভারতের পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবির সঙ্গে তাদের চুক্তি আছে। তার আলোকে দুই সংস্থা তথ্য বিনিময় করে।

সর্বশেষ খবর