সোমবার, ১৩ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

তৎপর দুই দলেরই মনোনয়নপ্রত্যাশীরা

শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট

তৎপর দুই দলেরই মনোনয়নপ্রত্যাশীরা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বাগেরহাটের ভোটের মাঠে নেমে পড়েছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের পাশাপাশি সামাজিক কর্মকান্ডেও যোগ দিচ্ছেন তারা। জেলার চারটি সংসদীয় আসনই বর্তমানে আওয়ামী লীগের দখলে। তবে আগামীতে চারটি আসনেই জয় পেতে চায় বিএনপি। জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা বলছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চারটি আসনে জয় ধরে রাখতে কাজ করছেন তারা। এ জন্য দলের জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন কমিটিগুলো শক্তিশালী করে তৃণমূলে সাংগঠনিক তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।

বিএনপি নেতারা বলছেন, গত ১৪ বছরে জেলায় কাক্সিক্ষত উন্নয়ন হয়নি। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে জেলার সবকটি আসনে বিপুল ভোটে জয়ী হবেন বিএনপির প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীদের মধ্যে কে দলীয় মনোনয়ন পাচ্ছেন তা নিয়ে সাধারণ ভোটারদের পাশাপাশি দলীয় নেতা-কর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। এই দুই দলের কিছু হেভিওয়েট প্রার্থী নির্বাচনের পর অধিকাংশ সময় এলাকায় অনুপস্থিত থাকলেও তাদের প্রার্থিতা নিয়ে ভোটারদের মধ্যে চলছে আলোচনা। 

বাগেরহাট-১ (ফকিরহাট-মোল্লাহাট-চিতলমারী) : এ আসনটিতে বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ হেলাল উদ্দিন আওয়ামী লীগ দলীয় বর্তমান এমপি। আগামী নির্বাচনে শেখ হেলাল ছাড়া দলে আর কোনো মনোনয়নপ্রত্যাশী নেই। বিএনপি থেকে তিনজন মনোনয়নপ্রত্যাশীর মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য সাবেক এমপি শেখ মুজিবর রহমান, জেলা বিএনপি নেতা সাবেক প্রধান প্রকৌশলী (নৌ) শেখ মো. মাসুদ রানা ও জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু।

বাগেরহাট-২ (সদর-কচুয়া) : এ আসনে বঙ্গবন্ধু পরিবারের তৃতীয় প্রজন্ম শেখ সারহান নাসের তন্ময় আওয়ামী লীগ দলীয় বর্তমান এমপি। আগামী নির্বাচনে তিনি দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী। বিএনপি থেকে মনোনয়নপ্রত্যশীরা হলেন বর্তমান জেলা আহ্বায়ক প্রকৌশলী এটিএম আকরাম হোসেন তালিম, সাবেক সভাপতি এম এ সালাম, জেলা সদস্য ব্যারিস্টার শেখ মো. জাকির হোসেন, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ফকির তরিকুল ইসলাম ও জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. সুজাউদ্দিন মোল্লা সুজন।

বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) : এ আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় বর্তমান এমপি হাবিবুন নাহার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী। তিনি ছাড়াও মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া উপ-কমিটির সদস্য লায়ন ইকবাল লতিফ সোহেল, নায়ক শাকিল খান, শেখ ওবায়দুর রহমান।

বিএনপি থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী লায়ন শেখ ফরিদুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সামাজিক ও দলীয় কর্মসূচির মাধ্যমে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন। কেন্দ্রীয় বিএনপির সহপ্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামিমুর রহমান এই আসনে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী বলে তার সমর্থকরা জানিয়েছেন। 

বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে বিজয়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. মোজাম্মেল হোসেনের মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে এমপি হন মো. আমিরুল আলম মিলন। এবারও তিনি প্রার্থী। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সামাজিক ও দলীয় কর্মসূচির মাধ্যমে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন। বিএনপি থেকে এই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় তাঁতী দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ড. কাজী মো. মনিরুজ্জামান, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি কাজী খায়রুজ্জামান শিপন ও জেলা বিএনপির সদস্য মনিরুল হক ফরাজী।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর