ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সড়ক ও জনপথ বিভাগ প্রথম আন্ডারপাস নির্মাণ করছে কুমিল্লার বেলতলীতে। এতে নিরসন হবে ওই এলাকার যানজট। বাঁচবে সময়। কমে আসবে দুর্ঘটনা। বিশেষ করে এতে বেশি উপকৃত হবেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয় সূত্র মতে, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বেলতলী এলাকায় একটি বাঁক রয়েছে। এখানে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও বেলতলীর দুই পাশ থেকে দুটি সড়ক মহাসড়কে এসে মিশেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সড়ক নিচু- মহাসড়ক উঁচু। মহাসড়কে নিচ থেকে বাস ওঠা ঝুঁকিপূর্ণ। বাস ওঠার সময় মহাসড়কের পরিবহন থেমে যায়। এতে সৃষ্টি হয় যানজট। থাকে দুর্ঘটনার আশঙ্কা।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ কুমিল্লার উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সফিকুল ইসলাম ভূঞা বলেন, কুমিল্লা নগরীর জাঙ্গালিয়া থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গামী সড়কটি বেলতলী এলাকায় মহাসড়কের নিচ দিয়ে অতিবাহিত হবে। এখানের আন্ডারপাসের দৈর্ঘ্য হবে ৬৫ মিটার। উচ্চতা ১৮ ফুটের মতো। এখানে দুটি গাড়ি ক্রস করতে পারবে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এ আন্ডারপাসের কাজ শুরু হয়েছে। কাজ শেষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২০২৪ সালের জুন। কংক্রিট অ্যান্ড স্টিল টেকনোলজিস্ট লি. ও হাসান টেকনোলজিস্ট বিল্ডার্স যৌথভাবে এ আন্ডারপাসের কাজ করছে। আন্ডারপাসের এক্সেস রোড ও সার্ভিস রোডের ভূমি অধিগ্রহণ বাকি রয়েছে। সেটি নিয়েও কাজ চলছে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) আমিরুল হক চৌধুরী বলেন, এখানে মহাসড়কে নিচ থেকে বাস ওঠা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। এ সড়কে আমাদের অনেকগুলো বাস চলাচল করে। আন্ডারপাসের কাজ শেষ হলে শিক্ষার্থী পরিবহন করা বাসগুলো ঝুঁকিমুক্ত হবে। কাজটি যত দ্রুত শেষ হয় ততই শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবেন। সড়ক ও জনপথ বিভাগ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আমরা প্রথম আন্ডারপাস নির্মাণ করছি কুমিল্লার বেলতলীতে। এর মতো ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আরেকটি আন্ডারপাস নির্মিত হবে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা অফিসের সামনে। যদিও সেটির কাজ শুরু হতে আরও কিছু সময় লাগবে।