টাঙ্গাইলের মধুপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বৃদ্ধ মা, দুই ছেলে ও এক পুত্রবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। ৯৯৯-এ কল করে নির্যাতিত পরিবারের সদস্যরা মুক্ত হওয়ার পর একজন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং বউ-শাশুড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মঙ্গলবার মধুপুর পৌর এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পুন্ডুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গাছে বাঁধা অবস্থায় নির্যাতনের শিকাররা হলেন- ওই গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের স্ত্রী শাফিয়া বেগম (৫৫), বড় ছেলে আলমগীর হোসেন, ছোট ছেলে জুব্বার আলী ও আলমগীরের স্ত্রী জ্যোৎস্না বেগম। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আলমগীরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও শাশুড়ি শাফিয়া এবং ছেলে বউ জ্যোৎস্নাকে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, পুন্ডুরার মৃত নুরুল ইসলামের দুই ছেলে আলমগীর, জুব্বারের সঙ্গে প্রতিবেশী মৃত আবু শেখের ছেলে কালু মিয়া শেখসহ তার ভাইদের ১.১৯ একর জমি নিয়ে বিরোধ বহুদিন থেকে। দুই পক্ষের মধ্যে মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে। ২৩ বছর বাটোয়ারা মামলা চলার পর চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি আলমগীর জুব্বাররা রায় পেয়ে জমির খাজনা খারিজ করেছেন। মাঠ ও প্রিন্ট পর্চা তাদের নামেই এসেছে। প্রতিপক্ষ কালু মিয়া শেখ, ভাই আজগর, সামাদরা এ নিয়ে গত কয়েক মাস আগে ওই জমির মালিক দাবি করে আদালতে ১৪৪ ধারা জারি চেয়ে আবেদন করলে আদালত স্থানীয় সংশ্লিষ্ট বিভাগের তদন্ত রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে ১৪৪ ধারা জারি করে। আলমগীর, জুব্বাররা কাগজপত্রের ভিত্তিতে ১৪৪ ধারার বিপরীতে জজ কোর্টে আপিল করেছেন। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে দুই পরিবারে উত্তেজনা চলছিল। মঙ্গলবার সকালে কালু মিয়া গং বিবদমান ৬০ শতক জমিতে গিয়ে ঘর নির্মাণ শুরু করেন। আলমগীর, জুব্বাররা বাধা দিতে গেলে তাদের প্রথমে পিটিয়ে পরে গাছের সঙ্গে বেঁধে ফেলে তারা। মা শাফিয়া ফেরাতে গেলে প্রতিপক্ষ তাকেও গাছে বেঁধে ফেলেন। শাশুড়িকে রক্ষায় এগিয়ে আসেন পর্দানশীল ছেলের বউ জ্যোৎস্না বেগম। ওই ছেলের বউকেও বাদ দেয়নি প্রতিপক্ষ। তাকেও হাত-পা বেঁধে বসিয়ে রাখেন। এ অবস্থায় পুলিশকে ফোন দিয়ে জানানো হলেও পুলিশ দ্রুত না আসায় নির্যাতিতদের পক্ষে ৯৯৯-এ কল করে সাহায্য চাওয়া হয়। পরে মধুপুর থানা পুলিশ এসে বাঁধা অবস্থা থেকে তাদের উদ্ধার করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারুন অর রশীদ ও স্থানীয় মাতাব্বররা ঘটনাস্থলে এসে উভয় পক্ষকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। মধুপুর থানাকে ফোন করে জানানো হয়। কাউন্সিলর হারুন রশীদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এদিকে পুলিশি উদ্ধার শেষে আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আলমগীরকে ময়মনসিংহ মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। শাশুড়ি শাফিয়া, ছেলের বউ জ্যোৎস্নাকে মধুপুর হাসপাতালে রাখা হয়েছে। জুব্বারকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে মধুপুর থানার ওসি মোল্লা আজিজুর রহমান বলেন, জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের জেরে ধাক্কা ধাক্কি হয়েছে। আজকের ঘটনায় কেউ লিখিত দেয়নি বলে মামলা হয়নি জানিয়ে ওসি আজিজুর রহমান আরও বলেন, দুই পক্ষকে ডেকে এনে ১৪৪ ধারা জারি ও তার আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শান্তি রক্ষায় জমিতে যেতে বারণ করা হয়েছে।
শিরোনাম
- ওষুধের আগ্রাসী বিপণনে ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘন
- রোনালদোকে ছাড়াই আল-নাসরের গোল উৎসব
- আজ ঢাকার বাতাসের মান কেমন?
- অস্ট্রেলিয়া সিরিজে নেই স্যান্টনার, দায়িত্বে ব্রেসওয়েল
- নতুন অ্যালবামে প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রে যাবে অর্থহীন
- শেষ মুহূর্তের নাটকীয় গোলে অ্যাতলেটিকোকে হারাল লিভারপুল
- কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন
- রাজধানীতে বহুতল ভবনের ছাদ থেকে পড়ে বৃদ্ধ নিহত
- রাজধানী ঢাকায় আজ যেসব কর্মসূচি
- যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীর গুলিতে ৩ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত
- আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান
- গাজা নগরীতে দুই দিনে দেড় শতাধিক হামলা ইসরায়েলের
- গাজাবাসীকে ফের জোরপূর্বক উচ্ছেদের নিন্দায় পোপ
- স্বর্ণের দাম কমেছে
- ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের
- ছাত্র সংসদ আর জাতীয় নির্বাচন এক নয় : টুকু
- যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কেনা বন্ধ করলো কলম্বিয়া
- রেমিট্যান্স প্রবাহে ২৮.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি
- বিশ্ব বাণিজ্যে রূপান্তর ঘটাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা : বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা
- আবারও রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল
থামছে না বর্বরতা
পরিবারের চারজনকে বেঁধে নির্যাতন
টঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর