বাণিজ্যিকভাবে তিতির পাখি পালন করে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছেন নওগাঁর মান্দার কিত্তলী গ্রামের অনিল কর্মকারের ছেলে সুমন কর্মকার। তিতির পালন করে ঘুরেছে তার ভাগ্যের চাকা। মৃত্যুঝুঁকি কম হওয়ায় তিতির পালনে আমিষের অভাব পূরণের পাশাপাশি বেকারত্ব দূর হবে।
সফল উদ্যোক্তা সুমন কর্মকার বলেন, ২০২২ সালে টিভিতে দেখে তিতির পালনের প্রতি আগ্রহ জন্মে। প্রথমে মাত্র পাঁচটি তিতিরের বাচ্চা দিয়ে খামার শুরু করি। এখন আমার খামারে ৫০০ তিতির রয়েছে। অনেক বড় বড় হোটেল ও রেস্তোরাঁয় এই মাংসের বেশ কদর আছে। সবকিছু বাদ দিয়ে প্রতি মাসে অন্তত ৫০ হাজার টাকা আয় হয়। সুমন কর্মকার বলেন, তিতিরের আদি বাসস্থান আফ্রিকা মহাদেশে। আমাদের দেশে পাহাড়ি এলাকায় প্রচুর পরিমাণে এ পাখি দেখা যায়। এরা বন্য প্রকৃতির। সাধারণত এদের পার্ল প্রজাতি, সাদা প্রজাতি ও ল্যাভেন্ডার এই তিন প্রজাতি হয়ে থাকে। তবে পার্ল প্রজাতি সবচেয়ে জনপ্রিয়। বাংলাদেশের আবহাওয়ায় সাধারণত ফেব্রুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে ডিম পাড়ে। প্রতিটি ডিমের ওজন ৪০-৪৫ গ্রাম। দানাদার শস্য, কচি ঘাস, ভুসি, কুঁড়া, পোকামাকড়, সবজি এদের প্রধান খাদ্য। ঘর আলো-বাতাস পূর্ণ স্থানে করতে হয়। ঘর প্রতিদিন পরিষ্কার রাখতে হয়। স্যাঁতসেঁতে যাতে না হয়। তিতিরের তেমন কোনো রোগবালাই নেই। শুধু বাচ্চা ফোটার প্রথম দুই সপ্তাহ ভালোভাবে পরিচর্যা করলে পরবর্তী সময়ে মৃত্যুর হার নেই বললেই চলে। তাই বাড়িতে তিতির পালন করা খুব সহজ। তিনি বলেন, বিদেশি গিনি ফাউল ও চিনা মুরগি নামে পরিচিত তিতির শোভাবর্ধনকারী পাখিগুলোর মধ্যে অন্যতম। সুস্বাদু মাংস ও ডিমের জন্য শত শত বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এটি পালিত হয়ে আসছে। আমাদের দেশে তিতির একটি শৌখিন পাখি। তবে বাণিজ্যিকভাবে তিতির খামার এ দেশে তেমন একটা গড়ে ওঠেনি।